‘বাংলায় যা সামাজিক প্রকল্প আছে, সারা বিশ্বে কোথাও নেই’ মজুরদের পাশে থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে শঙ্খর আদলে । পূর্ত দফতর ও হিডকোকে এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি মঞ্চ থেকে।

Must read

আজ বৃহস্পতিবার আলিপুরে (Alipur) ধনধান্য অডিটোরিয়ামের (Dhandhanya stadium) উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি জানিয়েছেন, ৪৪০ কোটি টাকা খরচ করে এই থ্রি টায়ার ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে। এই স্টেডিয়াম তৈরি করা হয়েছে শঙ্খর আদলে । পূর্ত দফতর ও হিডকোকে এই স্টেডিয়াম তৈরির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি মঞ্চ থেকে।

আরও পড়ুন-‘নতুন দার্জিলিঙের কথা ভাবছি’ ধনধান্য অডিটোরিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামের গরিব মজুররা এই কাজ করে। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে গেলে তাঁদের আর এখানে ঢুকতে দেওয়া হয় না। নো এন্ট্রি বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়। আমি মুখ্যসচিবকে বলব, ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে যে সব মজুর ও শ্রমিক এই স্টেডিয়াম নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের একদিন এখানে ডেকে এনে সম্বর্ধনা দেওয়াও ব্যবস্থা করতে।’

আরও পড়ুন-খাদে পড়ল গাড়ি, নেপালের দুর্ঘটনায় মৃত ৪ ভারতীয়

এদিনও কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সীমিত আর্থিক ক্ষমতার মধ্যে সব করার চেষ্টা করি। আমাদের অনেক টাকা আটকে রাখা হয়েছে। শুনেছি ২০২৪ অবধি টাকা দেবে না। না দিক, ঠিক চালিয়ে নেব। দরকার হলে শাড়ির আঁচল নিয়ে ভিক্ষে চাইব মায়ের কাছে। কিন্তু দিল্লির কাছে ভিক্ষে চাইতে যাব না।’

রেড রোডে ধরনা চলাকালীন যাদবপুর, কলকাতা ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল পড়ুয়ার গান তার ভাল লেগেছে। সেই নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘ওঁদের গান শুনে আমার খুব ভালো লাগল। আমি সেই কারণে ওঁদের বাংলা ব্যান্ড তৈরি করার কথা বলেছি।’

আরও পড়ুন-খাদে পড়ল গাড়ি, নেপালের দুর্ঘটনায় মৃত ৪ ভারতীয়

বাংলার উন্নয়নের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় যা সামাজিক প্রকল্প আছে, সার বিশ্বে কোথাও নেই। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রকল্প রয়েছে। সব ভাবনা চিন্তা আপনাদের জন্য। আমার নিজের বলে কিছু নেই। একটাই জিনিস বলার, মানুষ যেন আমাকে ভুল না বোঝে।’

আরও পড়ুন-নিশীথের কনভয়ে হামলার ঘটনা: সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতায় মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে এদিন মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘এই যে মেটো রেলের কাজ হচ্ছে, আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম ২ লাখ টাকা বরাদ্দ করে দিয়ে এসেছিলাম। তবে এরা কাজ করতে বড্ড বেশি সময় নিচ্ছে কাজ শেষ করতে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম দিঘা-তমলুক ন’মাসে করে দিয়েছিলাম।’

Latest article