সংবাদদাতা, ভাঙড় : সরকার কথা রাখল। প্রশাসনিক বৈঠকের দু’দিনের মাথায় ভাঙড়ের প্রস্তাবিত হিমঘরের জন্য জমি কেনা শুরু করল প্রশাসন। ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিডে জমি কমিটির অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিল জমি কমিটি। শুক্রবার বিকেলে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জমি কমিটির নেতা অলীক চক্রবর্তী। এদিন থেকে প্রস্তাবিত হিমঘরের জন্য সরকারিভাবে জমি কেনা শুরু হয়। জমি কেনা শুরু হওয়ার পরেই জমি কমিটির নেতৃত্ব আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন-প্রতিরক্ষা করিডর গড়তে চায় রাজ্য
গত মঙ্গলবার থেকে পাওয়ার গ্রিডের গেটে তালা লাগিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিল জমি কমিটি। পরের দিন বারুইপুর মহকুমা প্রশাসন ভবনে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার উপস্থিতিতে জমি কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা শুরু হয়। গত মঙ্গলবার হঠাৎ করেই পাওয়ার গ্রিড সাব স্টেশনের সামনে ধরনায় বসেন জমি কমিটির সদস্যরা। হুঁশিয়ারি দিয়ে পাওয়ার গ্রিডের গেটে তালা মেরে চাঁদোয়া খাটিয়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য আন্দোলনে বসেন কর্মীরা। পরদিন বারুইপুরে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে কমিটির নেতা অলীক চক্রবর্তী-সহ ছয় সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা, পুলিশ সুপার শ্রীমতী পুষ্পা। বৈঠকের পর জেলাশাসক জমি কেনার জন্য ভাঙড়-২ ব্লকের বিডিওকে নির্দেশ দেন দ্রুত পদক্ষেপ করার জন্য।
আরও পড়ুন-বাতিস্তম্ভ মুড়ে ফেলা হচ্ছে ম্যাট দিয়ে
সেই মোতাবেক শুক্রবার চারজন জমিদাতা ৩৬ একর জমি সরকারকে বিক্রি করেন ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা কাঠা হিসাবে। আব্দুস সামাদ নামে এক জমিদাতা বলেন, ‘‘এলাকায় হিমঘর হলে ভাঙড়ের বাসিন্দাদের উপকার হবে। তাই এলাকার স্বার্থে কিছুটা কম দামে আমরা জমি বিক্রি করলাম সরকারকে।” জমি কমিটির নেতা মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘‘সরকার জমি কেনা শুরু করায় আমরা খুশি।’’ বিডিও কার্তিকচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘মঙ্গলবারের মধ্যে বাকি জমিদাতারা ভূমি সংস্কার দফতরে এসে জমি রেজিস্ট্রি করে দেবেন। এলাকাবাসীর হাতে ক্ষতিপূরণের বাকি ২৫ লক্ষ টাকা দ্রুত তুলে দেওয়া হবে।’’