প্রতিবেদন : রাজ্য সরকার (State Government) শিশুশিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকদের বেতন বার্ষিক তিন শতাংশ হারে বৃদ্ধি করেছে। গত বছর থেকেই এই বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারির বেতনে এই ইনক্রিমেন্ট কার্যকর হবে। পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশনের অর্ডারে প্রকাশ, এসএসকের শিক্ষা সহায়ক সহায়িকাদের বেতন ১০,৩০০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ১০,৬০৯ টাকা। মুখ্যশিক্ষা সহায়ক-সহায়িকাদের বেতন ১০,৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ১০,৯৭০ টাকা। এমএসকের শিক্ষা সম্প্রসারক এবং সম্প্রসারিকাদের বেতন তিন শতাংশ বেড়ে হচ্ছে ১৩,৭৯২ টাকা এবং মুখ্যশিক্ষা সম্প্রসারকদের ক্ষেত্রে তা হবে ১৪,৮৫৩ টাকা। এ ধরনের শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার। নব্বইয়ের দশকে শিশুশিক্ষা সম্প্রসারণে কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েত স্তরে এই এসএসকে, এমএসকে তৈরির প্রকল্প ঘোষণা করে। বহু গ্রামে যেখানে কাছাকাছির মধ্যে স্কুল নেই, সেখানে এই কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে জানায়, হয় এই কেন্দ্রগুলিকে স্বাভাবিক স্কুলের মর্যাদা দেওয়া হোক বা তুলে দেওয়া হোক। এ রাজ্যে তদানীন্তন বামফ্রন্ট (CPM) সরকার এই কেন্দ্রগুলিকে স্কুলের তকমা দেয়। তবে শিক্ষকরা বেতন-মর্যাদা কোনওটাই পাননি। দীর্ঘদিন পর ২০১৯ সালে এসএসকে-এমএসকে শিক্ষকদের বেতন বাড়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার (State Government)। পাশাপাশি সম্প্রসারক থেকে শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয় তাঁদের। চাকরির শর্তেও কিছু বদল আনা হয়। শিক্ষা দফতর জানায়, আগের নিয়ম মোতাবেক এই শিক্ষকদের অবসরের বয়স থাকছে ৬৫ বছরই। তবে শিক্ষা দফতরের অধীনে আসার পর দু’টি শর্ত দেওয়া হবে। যাঁরা এসএসকে-এমএসকের নিয়ম মোতাবেক ৬৫ বছরেই অবসর নিতে চান, তাঁরা নেবেন। আর কেউ যদি শিক্ষা দফতরের অধীন অন্য শিক্ষকদের মতো ৬০ বছরে অবসর নেন, তা হলে পার্শ্বশিক্ষকদের মতো তাঁদের অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস, দার্জিলিং হবে কর্পোরেশন