প্রতিবেদন : ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী ডোকলাম মালভূমিতে ফের লালফৌজের ছাউনি নির্মাণের খবর পাওয়া গেল। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ডোকলামে তোর্সা নদীর উপত্যকায় একাধিক সেনা ছাউনি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চিন। ওই সমস্ত সেনা ছাউনিতে হাজারেরও বেশি সেনা থাকতে পারবে। পাশাপাশি অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন রাখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-রাজভবনে ‘বাংলার নববর্ষ’ উৎসব, সেদিন থেকেই রাজভবন খুলছে জনসাধারণের জন্য
ভারত, ভুটান এবং চিন তিন দেশের সীমান্তবর্তী ডোকলাম মালভূমি এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই জায়গা থেকে চিন সহজেই ভারত ও ভুটানের উপর নজরদারি চালাতে পারবে। সে কারণেই তারা বারেবারে ডোকলামে সেনা ছাউনি নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে। ছয় বছর আগে ২০১৭ সালে ডোকলামে ভারতীয় সেনা ও লালফৌজ ৭৩ দিন একটানা মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। ওই জায়গাতেই ফের নতুন করে ছাউনি তৈরির কাজ চালাচ্ছে বেজিং। ওই এলাকা থেকে শিলিগুড়ি করিডরের দূরত্ব খুবই কম। ফলে ওই এলাকায় সেনা ছাউনি তৈরি হলে সরাসরি শিলিগুড়ি করিডরেও নজর রাখতে পারবে চিন।
আরও পড়ুন-রক্ষাকবচ সঞ্জয়ের: অযথা তলব বা অফিস-বাড়িতে তল্লাশি নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিন যেভাবে সেখানে সেনাবাঙ্কার তৈরি করছে তাতে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ওই অঞ্চলে তারা আরও বেশি সেনা মোতায়েন রাখতে চায়। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ডোকলামে যদি কোনও কারণে বিরোধ বাধে তাহলে চিনের শক্তি হবে অনেক বেশি। উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় চিনারা কার্যত একটি গ্রাম তৈরি করেছে। তারপর ফের একবার বেজিংয়ের সেনা ছাউনি তৈরির খবর সামনে এল।
আরও পড়ুন-হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ
কূটনৈতিক মহলের একাংশ আবার বলছে, ভুটানকে চাপে রাখতেই লালফৌজের এই কৌশল। ভারতে পূর্ব লাদাখের একটা অংশকে চিন যেমন নিজেদের বলে দাবি করে, তেমনই ডোকলাম সীমান্তের পশ্চিম দিকের বেশ কিছু এলাকাকে নিজেদের বলে দাবি করে। বেজিং ওই এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। সে কারণেই সেনা ছাউনি নির্মাণ করা হচ্ছে। ভুটানের দাবি, ডোকলাম মালভূমি তাদের দেশের অংশ। চিন এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ডোকলামকে নিজেদের দেশের অংশ বলে দাবি করে।