ঘরের কাজ সামলে জঙ্গলরক্ষা করছেন গাঁয়ের বধূরা

বিশ্ব উষ্ণায়ন আর আবহাওয়ার অদ্ভুত পরিবর্তনে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। এমনই এক পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রামে একদল মহিলা পরিবেশরক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : বিশ্ব উষ্ণায়ন আর আবহাওয়ার অদ্ভুত পরিবর্তনে বিজ্ঞানীরা চিন্তিত। এমনই এক পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রামে একদল মহিলা পরিবেশরক্ষার লড়াই চালাচ্ছেন। রক্ষা করছেন বিস্তীর্ণ জঙ্গল। সংসারের কাজের মাঝে সবুজরক্ষায় ওঁরা ব্রতী। ওঁরা বলতে জঙ্গলঘেরা শালবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিরষি গ্রামের শতাধিক মহিলা। ঝাড়গ্রামের এক সময়ের মাওবাদী প্রভাবিত সিরষি এলাকায় শাল, সেগুন, মহুল, কেন্দু, আকাশমণির প্রায় ১০০ হেক্টরের বেশি ঘন জঙ্গল রক্ষা করে নজির গড়েছেন মহিলারা।

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বৈঠক নতুন সভাধিপতি উত্তম

ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের প্রাক্তন এক কর্তা বলেন, ‘‘মাওবাদী অস্থিরতার সময়ে সিরষি জঙ্গলের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছিল। জঙ্গলরক্ষা তো দূরের কথা, বনকর্মীরা পর্যন্ত কাজে যেতে পারেননি। মহিলারা এগিয়ে আসায় অসাধ্যসাধন হয়েছে। মহিলা জঙ্গলরক্ষা কমিটি ছিল না। তৈরি করার পর মহিলারাই জঙ্গলরক্ষায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’’ এখন সিরষি গ্রামের উত্তর-পশ্চিম দিকের কংসাবতী ক্যানেলের পাশে দিগন্তবিস্তৃত দীর্ঘ ঘন সবুজের প্রাচীর। গ্রামের সুমিত্রা, কল্পনা, বাসন্তী, ছবি, অর্চনা মাহাতোদের মতো গৃহস্থ চাষিঘরের বধূরা রান্নাবান্না, গরু-ছাগল দেখাশোনা করেও হাসিমুখে সবুজরক্ষা করে চলেছেন। সুমিত্রা, বাসন্তীরা বললেন, ‘‘সবাই মিলে বনরক্ষা করতে বেশ আনন্দ লাগে। কেন্দুপাতা, শালপাতা তোলা, শালগাছ থেকে ধুনো-জ্বালানি সংগ্রহ ইত্যাদি নানাভাবে গাছ থেকে তো উপকার পাই। এই উপলব্ধি থেকেই জঙ্গলরক্ষা করি।” শতাধিক মহিলা দশটি দলে ভাগ হয়ে পালাক্রমে পাহারার কাজ চলে।

Latest article