সৌমালি বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়া: শিগগিরই উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় বন্যাসমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে। সেইসঙ্গে নিশ্চিত করা হচ্ছে এলাকার বহু জমিতে চাষের জল পাঠানোর বিষয়টি। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় বন্যা প্রতিরোধের এই মেগা প্রকল্পের কাজ করছে রাজ্য। সেচ দফতর ও হাওড়া জেলা পরিষদের উদ্যোগে পুরো প্রকল্পটি রূপায়িত হচ্ছে। ২৭০০ কোটি টাকার এই মেগা প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ। এবার শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। এই মেগা প্রকল্পে দামোদারের পূর্ব পাড়ের বাঁধকে পর্যাপ্ত উঁচু করে কংক্রিটের দেওয়াল তুলে দেওয়া হচ্ছে। যা ভেঙে পড়া কার্যত অসম্ভব।
আরও পড়ুন-রাজ্য শ্রমিকদের মজুরি বাড়াচ্ছে, কেন্দ্র বেচে দিচ্ছে লাভদায়ী সংস্থা
পশ্চিম পাড়েও যেখানে যতটা উঁচু করা দরকার তা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দামোদরের পশ্চিম পাড়ে ৮ ইঞ্চি উঁচু করে পাকা রাস্তা তৈরি হচ্ছে। এরই সঙ্গে এই প্রকল্পে দামোদরের প্রতিটি খাল ও নিকাশি নালাগুলিকেও সংস্কার করা হবে। যার ফলে এগুলি থেকে পাশ্ববর্তী এলাকা অন্তত ৪ বছর আর জলমগ্ন হবে না। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় এই বছরই বর্ষায় এর সুফল পাবেন এলাকার মানুষ। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর আগে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা একাধিকবার এলাকায় কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। কাজ দেখে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশও করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর আগে কীভাবে কী কী কাজ হবে সেচ দফতর ও জেলা পরিষদের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তা ঘুরে দেখেন এলাকার বিধায়করা। বাঁধসংস্কার, নদীর নাব্যতা, জলধারণ ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়ের ওপর তথ্য সংগ্রহ করে মডেল স্টাডি করা হচ্ছে। তার ওপর ভিত্তি করেই হবে বন্যা প্রতিরোধে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মহামিছিল
উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘বাম জমানায় স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণে কোনও কাজই হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় বন্যাসমস্যার স্থায়ী সমাধানে জোরকদমে কাজ চলছে। যার সুফল এবারের বর্ষার মরশুমেই পাওয়া যাবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মেগা প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। তখন এই এলাকায় বন্যাসমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় এবং রাজ্যের সেচ দফতর ও জেলা পরিষদের পক্ষে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সমস্ত দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পুরো কাজ করা হচ্ছে।’