সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : ক্ষমতায় আসার পর নরেন্দ্র মেদি বলেছিলেন, ‘‘বাংলার মায়েদের জন্য সুখবর। আর জ্বালাতে হবে না কাঠের উনুন। বিনামূল্যে দেওয়া হবে গ্যাসের সংযোগ। পাবেন ভরতুকিও।’’ উজালা গ্যাসের সংযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই গ্যাসের দামের বাড়বৃদ্ধিতেই এখন ‘আগুন জ্বলছে’ বিপিএল পরিবারগুলির হেঁশেলে। ধুলো জমেছে আভেনে। ফ্যাকাশে হয়েছে সিলিন্ডার। উনুন আর কাঠপাতার জ্বালানিই ভরসা গ্রাম-বাংলার অধিকাংশ নিম্ন আয়ের পরিবারে। দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে কমছে গ্যাসের বুকিং। আর সমস্যায় পড়েছেন ডিলাররা। এই যোজনার অন্তর্গত দেশের সাধারণ গরিব মানুষ বিনামূল্যে এলপিজি’র সংযোগ পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-রবিপ্রণামে মুখরিত পাহাড় থেকে সমতল
কিন্তু গ্যাসের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি হয়ে হাজার ছাড়িয়েছে। এমনিতেই কেন্দ্র সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মুল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ, তার ওপর এই অবস্থায় গৃহস্থের গ্যাস নিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় হয়েছে। কেন্দ্রের উজালা যোজনার গ্যাস পেয়ে অনেকের বাড়িতেই পুরনো কাঠের উনুন ভেঙে ফেলা হয়েছে, কিন্তু এখন গ্যাসের দাম লাগামছাড়া হওয়ায়, সেই সব বাড়িতে গ্যাস ছেড়ে আবার তৈরি হচ্ছে মাটির উনুন। গ্রামে সাধারণ মানুষ উনুন ব্যবহার করলেও, শহরের গৃহিণীদের না আছে ইচ্ছে, না আছে উপায়। তাই এক প্রকার বাধ্য হয়ে সংসারের অন্য খরচে কাটছাঁট করে গ্যাসের সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে অনেকটাই বাড়তি দাম দিয়ে।
আরও পড়ুন-ডবল ইঞ্জিনের নমুনা! মোদির গুজরাতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি ৬০০ মৎস্যজীবীর
জেলার বিভিন্ন গ্যাস ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে উজালা যোজনার রিফিলিং নেমে এসেছে মাত্র ত্রিশ শতাংশে। বাকি সত্তর শতাংশ উজালা ব্যবহারকারী মানুষ ফিরে গিয়েছেন পুরনো পদ্ধতিতে। এতদিন গ্যাস ব্যবহারকারীদের এখন একটাই কথা, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যথেচ্ছভাবে প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। চাল, ডাল, আনাজপাতি কিনতে হিমশিম অবস্থা। সেখানে পেট্রোপণ্যের দাম এই হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছি আমরা।’’ উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারেরর জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন রাজ্যের মানুষ। মূল্যবৃদ্ধি তার অন্যতম কারণ। বিজেপির মিথ্যে আশ্বাসে স্বাভাবিকভাবেই আর ভুলছে না সাধারণ মানুষ।