সহযোদ্ধাদের প্রাণ বাঁচিয়ে শহিদ এই মা

Must read

প্রতিবেদন : ওলগা সেমিডিয়ানোভা। ৪৮ বছরের ওলগাকে কয়েকদিন আগেও মানুষ সেভাবে চিনতেন না। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধই ওলগাকে এক অসামান্য পরিচিতি দিল। ইউক্রেন (Ukraine) সেনাবাহিনীর কর্মী ছিলেন ওলগা। এই মহিলা সেনাকর্মী ছ’টি শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন। ইউক্রেনে কৃতী মায়েদের সাধারণত ‘মাদার হিরোইনের’ সম্মান দেওয়া হয়। ওলগাও সেই সম্মান পেয়েছিলেন। তবে ইউক্রেনবাসী বর্তমানে ওলগাকে তাঁর অসামান্য বীরত্বের জন্য ‘হিরো মম’ বলে ডাকছেন। ইউক্রেনের (Ukraine) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উপদেষ্টা অ্যান্টন গেরশেচেঙ্কো জানিয়েছেন, ডোনেৎস্ক অঞ্চলে যুদ্ধক্ষেত্রের ময়দানে ছিলেন ওলগা। সেখানে তিনি একাই রুশ সেনার বিরুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। লড়াই করে ওলগা বাঁচিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন সহযোদ্ধার প্রাণ। কিন্তু নিজে শহিদের মৃত্যু বরণ করেন। যেভাবে নিজের জীবন দিয়ে ওলগা সহযোদ্ধাদের প্রাণ বাঁচিয়ে গিয়েছেন তার জন্য গোটা দেশ আজ ওলগাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে।

জুলিয়া নামে ওলগার এক সন্তান জানিয়েছে, আমার মা দেশের বহু মানুষ ও সহযোদ্ধাদের প্রাণ বাঁচিয়ে নিজে মৃত্যুবরণ করেছেন। রুশ সেনার গোলায় যে জায়গায় তাঁর মায়ের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে সেখানকার ছবি তাদের কাছে আছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে রুশ সেনা এমন হামলা চালাচ্ছে যে তারা তাদের মায়ের শেষকৃত্য করতে পারেনি।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে রুশ সেনা বারেবারেই সাধারণ নিরীহ মানুষকে নিশানা করেছে, এই অভিযোগ উঠেছে। রাশিয়া সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও ইউক্রেন তাদের দাবির সপক্ষে সম্প্রতি একটি ভিডিও সামনে এনেছে। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, রুশ সেনার ট্যাঙ্কের সামনে হঠাৎই চলে এসেছেন ইউক্রেনের এক বৃদ্ধ। ট্যাঙ্কটি থেমে না গিয়ে ওই বৃদ্ধকে পিষে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, এভাবেই রাশিয়া গণহত্যা চালাচ্ছে। হেগের আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পাঠিয়েছে ইউক্রেন।

Latest article