ছিঃ, এবার সিপিএমের মঞ্চেই অভিজিৎ

এর পরেও নিরপেক্ষ বিচারের আশা করা যায়? এর পরেও বলা যাবে বিচারপতি নিরপেক্ষ? এর পরেও কেন বলা যাবে না বিচারপতি আসলে রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট

Must read

প্রতিবেদন : এর পরেও নিরপেক্ষ বিচারের আশা করা যায়? এর পরেও বলা যাবে বিচারপতি নিরপেক্ষ? এর পরেও কেন বলা যাবে না বিচারপতি আসলে রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট! অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সব সীমা ছাড়িয়ে গেলেন। বিচার ব্যবস্থার নীতি-নৈতিকতা ফুৎকারে উড়িয়ে সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় আর সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্যর সঙ্গে এক মঞ্চে রবিবার। নামেই এটি প্রতিবন্ধীদের সংগঠন।

আরও পড়ুন-জেরায় মুখ খুললেন ধৃত ইডি অফিসার, আঙ্গুল ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের দিকে

আসলে এটা বকলমে সিপিএমের সংগঠন। অভিজিৎকে নিয়ে এর আগেও বারবার অভিযোগ উঠেছে। বারবার তিনি এজলাসে বসে অনাবশ্যকভাবে শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন। বিচারমহল বারবার সেই সময় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, বিচারপতি তাঁর সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আইন প্রতিষ্ঠা করবেন, পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে নিজের নিরপেক্ষ মানসিকতা বুঝিয়ে দেবেন। কিন্তু অভিজিৎ বারেবারেই সেই সীমা লঙ্ঘন করেছেন। নিজের সিপিএম-পন্থা বুঝিয়ে দিতে খুল্লাম-খুল্লা বলেছেন, সিপিএমের বিকাশ ভট্টাচার্যর পায়ের কাছে বসে তিনি কাজ শিখেছেন। তাঁর সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও নিজেকে বদল করতে রাজি নন অভিজিৎ।

আরও পড়ুন-মুখোমুখি মারুতি ভ্যান ও ইট বোঝাই ট্রাক্টর, নিজের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠালেন মন্ত্রী

রবিবার সরাসরি রানি রাসমণিতে প্রতিবন্ধীদের সম্মেলনে। এটি সিপিএমের কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সংগঠন। যারা দায়িত্বে তারা সকলেই আগমার্কা সিপিএম। একটিও বিরোধী সংগঠনের মুখ নেই। আসলে নামে গণসংগঠন, আসলে সিপিএমের সংগঠন। কিন্তু সেখানে কেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? নিশ্চয় তিনি যেতে পারেন সভায়। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তাঁর অধিকার রয়েছে রাজনীতি করার, সিপিএমের রাজনীতি করার। কিন্তু তিনি এখনও বিচারপতি, সিটিং জাজ! কী করে যাবেন? এ তো সব সীমা লঙ্ঘন করে চেয়ারের মর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া। এরপর বিচারপতির কাছ থেকে নিরপেক্ষ বিচার আশা করা যায়? দেওয়া সম্ভব? এই কারণেই বিচারক বা বিচারপতিরা সাধারণত চেয়ারে থাকাকালীন সভা-সমিতি এড়িয়ে চলেন। অভিজিৎ সেই সীমারেখাও পেরিয়ে গেলেন। এতদিন আড়ালে আবডালে বলা হচ্ছিল। এবার সরাসরি সিপিএমের সভায়।
বাঃ বিচারপতি!
ছিঃ বিচারপতি!

Latest article