প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে লাগামছাড়া উন্নয়নে এবার রাশ টানল সরকার

রাজ্য প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হিমাচল প্রদেশে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাহাড় কাটা এবং নতুন ভবনের অনুমতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Must read

প্রতিবেদন: লাগাতার বন্যা আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচলের পাহাড়ি এলাকা। মৃত্যু হয়েছে কয়েকশো মানুষের। সরকারি হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকার উপরে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিবেশবিধি না মেনে লাগামছাড়া উন্নয়নের জন্য পাহাড় কাটা এবং টানেল বানানোর জন্য ডিনামাইট বিস্ফোরণকেই দায়ী করেছেন পরিবেশবিদরা।

আরও পড়ুন-মণিপুর নিয়ে নির্বিকার মোদি

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে এবার তথাকথিত উন্নয়নে রাশ টানতে উদ্যোগী হল হিমাচলের কংগ্রেস সরকার। রাজ্য প্রশাসনের সিদ্ধান্তে হিমাচল প্রদেশে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাহাড় কাটা এবং নতুন ভবনের অনুমতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি এবং রাস্তার পুনর্নির্মাণ ছাড়া অন্য কোনও নির্মাণকার্য করা যাবে না। প্রয়োজনে এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হবে।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে বাংলার ‘ছট’ নৌকো

এর পাশাপাশি সিমলা, মান্ডি, কুল্লু, কাংড়া, সোলান এবং চাম্বা জেলায় বাণিজ্যিক বা পর্যটন ইউনিটগুলির জন্য পরিকল্পনা ও ভবন নির্মাণের নতুন অনুমতিও দু-সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গত ২৪ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জানিয়েছেন, রাজ্যের ১২,০০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের সিদ্ধান্তে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পাহাড় কেটে কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজও।

আরও পড়ুন-চুয়াড় বিদ্রোহের নায়ককে ঘিরে আদিবাসী মানুষদের উচ্ছ্বাস, শহিদ রঘুনাথ সিংয়ের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসল

এসব ক্ষেত্রে মূলত পরিবেশবিধি মানাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী হর্ষবর্ধন চৌহান জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশ ভূমিকম্প, ভূমিধস, বন্যা এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিধসের কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এবং ধরমপুরে ওএনজিসি দ্বারা বিস্ফোরণ এবং খননের পাশাপাশি রাস্তাগুলিতে সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবই রাজ্যের এই মারাত্মক ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ। পরিবেশ বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Latest article