কার্তিক ঘোষ, বাঁকুড়া : বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভা জন্মলগ্ন থেকেই ছিল বামেদের দখলে। গত ৬৮ বছরের মধ্যে এই পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯৮০-৮৫ সাল পাঁচ বছর ছাড়া জিতে আসছে মুখার্জি পরিবার। যা একটা রেকর্ড।
দাদু, প্রয়াত নিবারণচন্দ্র মুখোপাধ্যায় অবিভক্ত কংগ্রেসের হয়ে সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন ১৯৬৪ থেকে ’৬৭ সাল পর্যন্ত। তার আগে দু’বার কাউন্সিলর হন। সেই সময় কোনও দলীয় প্রতীকে লড়াই হত না।
আরও পড়ুন-বদলে গেল জয়নগরের রং
১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দল আত্মপ্রকাশ করলে নিবারণের পুত্র মিহির মুখোপাধ্যায় হাল ধরেন। ২০০০ সালে পুর নির্বাচনে মিহিরের নেতৃত্বে পুরসভার দায়িত্ব নেয় তৃণমূল। পরে মিহিরের স্ত্রী সবিতাও এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হন। এবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন মিহির-সবিতার ছেলে সন্তোষ মুখোপাধ্যায়। সন্তোষ বিষ্ণুপুর আদালতের আইনজীবী। এই পরিবারের ছেলে বিশ্বনাথ বর্তমানে সোনামুখী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। এবার সোনামুখী পুরসভার দায়িত্ব নিতে চলেছেন সন্তোষ।
আরও পড়ুন-সবাইকে নিয়ে কাজের অঙ্গীকার কবিতার
এই গৌরবময় ইতিহাস নিয়ে সোনামুখী ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বনাথ ওরফে পল্টু মুখোপাধ্যায় জানালেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৬ শতাংশ মানুষ বাউড়ি এবং বাগদি সম্প্রদায় ভুক্ত। অর্থাৎ তফসিলি জাতি। মুখার্জি পরিবার সব সময় এই গরিব মানুষগুলোকে দেখে। এছাড়াও ওয়ার্ডের যেসব তৃণমূল কর্মী আছেন, তাঁদের রুটিন ভাগ করে দেওয়া আছে। সকাল, বিকেল ও রাতে প্রত্যেকটি বাড়িতে খোঁজখবর নেন। এইভাবে মানুষের সঙ্গে থাকার ফলেই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।