চা-শ্রমিকদের স্বার্থে আজ থেকে মাঠে তৃণমূল

এর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চা-শ্রমিকদের জন্য পদক্ষেপ ক্রেস এবং হেলথ সেন্টারগুলির উদ্বোধন হবে।

Must read

প্রতিবেদন : চা-শ্রমিকদের দাবি আদায়ে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের ধারাবাহিক কর্মসূচি। আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কর্মসূচিগুলিকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-‘মানুষের উন্নয়নের জন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে’ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ ২৩ নভেম্বর থেকে আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিটি বাগানের ইউিনট ধরে হবে শিবির। বিরাট এই কর্মসূচি নিয়ে চা-বলয়গুলিতে শ্রমিকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি বৈঠকও। চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বরা ওঁরাও জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে ক্যাম্প। দার্জিলিঙ জেলা (সমতল) আইএনটিটিইউসির সভাপতি নির্জল দে জানিয়েছেন, তরাই অঞ্চলের ৪৮টি চা-বাগানেই হবে এই কর্মসূচি। ২৪ নভেম্বর থেকে এই ক্যাম্প শুরু হবে।

আরও পড়ুন-১৮৮ MOU স্বাক্ষর, ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

জলপাইগুড়ির আইএনটিটিইউসির জেলাসভাপতি রাজেশ লাকরা জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার বড়দিঘি, বাতাবাড়ি, আইভিল এই তিনটি চা-বাগানে ক্যাম্প হবে। কী কারণে এই শিবির? আইএনটিটিইউসির রাজ্যসভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাগান শ্রমিকদের পিএফ সমস্যা সমধানে কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না কেন্দ্র। এ নিয়ে চা-বাগান শ্রমিকদের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত বছর থেকে দফায় দফায় চলছে আন্দোলন। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। গতবছর জলপাইগুড়ি পিএফ অফিসে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পরেও বাগান শ্রমিকদের পিএফ নিয়ে ভাবেনি কেন্দ্র। বারবার শ্রমিকদের তথ্য দেওয়ার পরেও তা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এবার শ্রমিকদের তথ্য জোগাড় করবেন চা-বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মীরা। বাগানভিত্তিক এই তথ্যগুলি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জলপাইগুড়ি রিজিওনাল পিএফ অফিসের কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন-কলকাতায় চলবে উবের বাস, হল মউ স্বাক্ষর

এর সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চা-শ্রমিকদের জন্য পদক্ষেপ ক্রেস এবং হেলথ সেন্টারগুলির উদ্বোধন হবে। বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং এর পাশাপাশিই রাজ্যের উন্নয়ন প্রকল্পগুলির প্রচারও চলবে। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শিবিরগুলির পর শুরু হবে কর্মসূচির পরবর্তী পর্যায়। ৯-২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিতে ট্রেড ইউনিয়ন ব্লক ধরে চা-বলয়ে সংগঠনের মূল কর্মীদের নিয়ে হবে ট্রেনিং। ৯ ডিসেম্বর মাদারিহাট এবং ফালাকাটায় হবে ট্রেনিং। ১১ ডিসেম্বর কালচিনি ব্লকে। ১৩ ডিসেম্বর কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার ১ ও ২ নং ব্লকে এই ক্যাম্প হবে। ১৫ ডিসম্বর বানারহাট ব্লক, ১৭ ডিসেম্বর নাগরাকাটা, ১৯ ডিসেম্বর চালসাতে, ২১ ডিসেম্বর মালবাজার ও মেটিলিতে, ২২ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি সদর এবং রাজগঞ্জে হবে এই ক্যাম্প।

Latest article