প্রতিবেদন : শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র প্রতিষ্ঠা দিবস (INTTUC Foundation day)। কলকাতার পাশাপাশি গোটা রাজ্য জুড়ে এই দিনটি পালিত হয়। কলকাতার মূল অনুষ্ঠান ছিল শিয়ালদহে। উপস্থিত ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন, শক্তিপদ মণ্ডল, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন সমাদ্দার, অলোক দাস-সহ বহু পুরপিতা ও সাংগঠনিক নেতৃত্ব। এদিনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকারকে উপড়ে ফেলার ডাক দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলার বকেয়ার দাবিতে সাংসদদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুরাহা না হলে তিনি দিল্লিতে সত্যাগ্রহে বসবেন। ইন্ডিয়া জোট সফল হবে। কিন্তু সাফল্য পেতে গেলে তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়ে এগোতে হবে। কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রের অপশাসনের অবসান ঘটাতে বিজেপিকে হারিয়ে বিকল্প সরকার চাই, যার নেতৃত্বে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল একদিকে প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে লড়ছে। অন্যদিকে, বাংলায় এমন উন্নয়ন করছে যা নকল করতে হচ্ছে অন্য রাজ্যকে। ফলে দেশে এখন বাংলা মডেলই চাইছেন মানুষ। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, একটা সময় রাজ্যের সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নের ধারাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল সিপিএম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এটা হতে পারে না। শ্রমিকরা নিশ্চয় আন্দোলন করবেন, সঙ্গে কাজটাও করতে হবে। সিপিএম শ্রমিকদের মধ্যে কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করে দিয়েছিল। বর্তমানে দেশের শাসন ক্ষমতায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছেন। শ্রমিক বিরোধী আইন করছে। এদের বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিক কল্যাণে আইএনটিটিইউসির (INTTUC Foundation day) ভূমিকা ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র সংসদের গণতান্ত্রিক চেহারা ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদকে প্রকট করছে। শুধু সংখ্যার জোরে ২৯টি শ্রম আইন বাতিল করে ৪টি সর্বনাশা লেবার কোডকে আইনে পরিণত করা হয়েছে। ৮ ঘণ্টার বদলে ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
কুণাল আরও বলেন, যে বিজেপির সাংসদরা হাত তুলে ভোট দিয়ে গায়ের জোরে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করলেন, তাঁরা যাতে সংসদে আর না ফিরতে পারেন, সেইভাবে জনমত গঠন করতে হবে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় সিপিএম, কংগ্রেসকে যেমন শূন্য করা হয়েছে, লোকসভায় বিজেপিকেও শূন্য করতে হবে। এই উপলক্ষে এদিন একটি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন- জনজোয়ার যাত্রার সুফল, রসুলপুর নদীর উপর হচ্ছে সেতু নির্মাণ