নয়া নিয়ম, হাজিরা খাতায় সই করে বিধানসভার অধিবেশনে TMC বিধায়করা

Must read

এবার বিধানসভায় বিধায়কদের জন্য হাজিরা খাতা চালু করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Assembly- TMC MLA)৷ বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের উপস্থিতি নিয়ে একাধিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাই দলের বিধায়কদের বিধানসভায় উপস্থিতির হার বাড়াতেই এই পদক্ষেপ।

বিধানসভার (Assembly- TMC MLA) শীতকালীন অধিবেশনে আসবে জরুরি বিল। সেই বিল পাশের ক্ষেত্রে বিধায়কদের উপস্থিতির হার অত্যন্ত জরুরি। তাই চলতি অধিবেশনে দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতির উপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার, ইন্ডোর স্টেডিয়ামের বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, অধিবেশনে ঢোকা-বেরনোর সময় স্বাক্ষর করতে হবে। দলের অনুমতি ছাড়া কেউ অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। শুক্রবার থেকে শুরু হল বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। সেই মতো সেই খাতায় সই করে, সময় লিখে অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে হল মন্ত্রী-বিধায়কদের। এ নিয়ে কে কী বললেন? নয়া নিয়ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মন্ত্রীদের।

সময় লিখে অধিবেশনে ঢোকার বিষয়ে খুব একটা পছন্দ নয় করেন পুর এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা কি স্কুলে পড়ি! পার্টি বলেছে, তাই করলাম। কিন্তু এটার সঙ্গে আমি সহমত নই।“

তবে, কারও কারও মত ভিন্ন। তাঁদের মতে এই নয়া নিয়মটা ভালোই লেগেছে। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, “সই করলাম, সময় লিখলাম। বেশ ভালই লাগছে।“

পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে লাইন দিয়ে সই করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, সুজিত বসু, বীরবাহা হাঁসদা, স্বপন দেবনাথ, বেচারাম মান্না, উজ্জ্বল বিশ্বাসরা।

আরও পড়ুন- রাজারহাটের পর এবার উত্তরবঙ্গে বিশ্বমানের তথ্য প্রযুক্তি হাব গড়বে বাংলা

আবার রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক নতুন নিয়ম নিয়ে কোনও মন্তব্য না করেও বলেন, “১১ বছর ধরে বিধানসভায় রয়েছি। একদিনও কামাই করিনি।’’

এসবের মধ্যে রসিকতাও করতে শোনা যায়। ব্রাত্য বসুকে রসিকতা করে একজন প্রশ্ন করেন, “প্রক্সি সই করা যাবে নাকি?“ শুনে হেসে ফেলেন শিক্ষামন্ত্রী।

তবে, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানান, অধিবেশন শুরু হলে সকাল ১১টায় দেখা যাচ্ছে অনেক বিধায়ক অনুপস্থিত। এটা তো ঠিক নয় বলে মত শোভনদেবের। তাঁর কথায়, “মানুষ তো তাঁদের নির্বাচিত করেছে বিধানসভায় কথা বলার জন্য।“ বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের কথায়, ‘‘যখন বিরোধীদলে ছিলাম, তখন দেখতাম সরকার পক্ষের ৫০ শতাংশ বিধায়ক অধিবেশনে থাকতেন। এখন সেটাও দেখা যাচ্ছে না।’’

পরিষদীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পাঁচজনের একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি হয়েছে। কে, কখন বিধানসভায় আসছেন, যাচ্ছেন- তার ৭দিনের রিপোর্ট তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন।

Latest article