চা সুন্দরী প্রকল্প এগিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে

প্রথমেই বন্ধ চা-বাগানগুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। প্রকল্পর ডিপিআর তৈরি করে দ্রুত কাজ শেষ করা হয় আবাসন তৈরির।

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার: চা সুন্দরী-র জন্যই ভোট বাড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের। বিগত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিয়ে, সহজ সরল আদিবাসী চা-শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে তাদের ভোটটা পুরোটাই পদ্ম শিবিরে টেনে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। সে সময়ের দেওয়া বহু প্রতিশ্রুতির একটিও পালন করেননি তাঁরা।

আরও পড়ুন-মনোনয়ন পেশে বিরোধীরা দেখল তৃণমূল বিধায়কের সৌজন্য

পাশাপাশি এই জেলায় লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে ফল খারাপ হওয়ার পরেও, রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা-শ্রমিকদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টিকারী এক প্রকল্প নিয়ে আসেন, যার নাম চা সুন্দরী। প্রথমেই বন্ধ চা-বাগানগুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। প্রকল্পর ডিপিআর তৈরি করে দ্রুত কাজ শেষ করা হয় আবাসন তৈরির। এবং মাত্র কয়েক মাস আগেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে আলিপুরদুয়ারে উপস্থিত হয়ে চা সুন্দরী আবাসন প্রকল্পের চাবি নিজেই তুলে দেন চা-শ্রমিকদের হাতে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে দৃষ্টিনন্দন আবাসনের চাবি পেয়ে যথেষ্ট আপ্লুত চা-শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন-পরাজয় নিশ্চিত জেনে তির-ধনুক-বাঁশ নিয়ে নির্বাচন বিঘ্নিত করার অপপ্রয়াস, সন্ত্রাস ছড়ানোয় বাজেয়াপ্ত বামেদের ৫০ ডান্ডা

আবাসন প্রকল্পে চা-শ্রমিকদের সুবিধার জন্য রয়েছে ঝাঁ-চকচকে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর একটি শৌচালয় এবং নিজস্ব বাগান করার বেশ কিছুটা খালি জায়গা। পাশাপাশি এই আবাসন প্রকল্পে রয়েছে ঝাঁ-চকচকে রাস্তা, পানীয় জল ও বিদ্যুতের সংযোগ। ইতিমধ্যেই পাঁচটি চা-বাগানে প্রায় তিন হাজার ঘর তৈরি হয়ে গিয়েছে। যা তৈরি করতে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। মোট আবাসনের ১১২৭টি ইতিমধ্যেই চা-শ্রমিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি চা-শ্রমিকরাও এই আবাসন প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে মুখিয়ে আছেন। চা-বলয়ের চা- শ্রমিকদের মন জিতে নিয়েছে রাজ্য সরকার, যার ফল আগামী পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিফলিত হবে নিঃসন্দেহে, এটাই বিশ্বাস জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।

Latest article