রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের

এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল রাজ্যের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করতে চাইছেন।

Must read

প্রতিবেদন : রাজ্যপাল কোথায় কী মামলা লড়বেন তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন টাকা দিতে যাবে? প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। মঙ্গলবার রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেন, তিনি রাজ্যের গতিশীল কাজে বাধা দেবেন আবার রাজ্যের থেকেই ফান্ড নেবেন এটা হতে পারে না। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা লড়তে রাজ্য থেকেই টাকা আদায় করছেন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় সরব প্রকাশ চিক বরাইক, চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী

এই নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল রাজ্যের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করতে চাইছেন। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে অত্যন্ত উচ্চ জায়গায় রয়েছে, সেখানে রাজ্যপাল এভাবে উচ্চশিক্ষাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছেন কি না সেটাও আমাদের ভাবতে হচ্ছে। আমরা আইনি পরামর্শ নিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছি এবং সুপ্রিম কোর্টের গোচরে আনছি বিষয়টা। কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে টাকা তোলা হচ্ছে তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই নথি সামনে এনেছেন প্রাক্তন উপাচার্য এবং বিশিষ্ট অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র।

আরও পড়ুন-প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে আসছেন না বাইডেন

সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের সঙ্গে আচার্য রাজ্যপালের আইনি খরচ জোগানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে টাকা তুলছে রাজভবন। যা একেবারেই অনৈতিক বলে দাবি অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রের। তিনি এদিন বলেন, ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নয় লক্ষ নব্বই হাজার টাকা নাইডু (যিনি সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যপালের হয়ে লড়ছেন) নামে এক ব্যক্তিকে পাঠিয়েছে। যা একেবারে অনৈতিক। এটা রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সংঘাতকে বাড়িয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়া এই ধরনের বৈঠক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ নজিরবিহীন ঘটনা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের এই মামলা ওঠার কথা থাকলেও, তার শুনানি এদিন হয়নি। মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বৈঠক বন্ধ করতে রেজিস্ট্রারের কাছে উচ্চশিক্ষা দফতরে চিঠি গিয়েছে।

Latest article