প্রতিবেদন: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় পরিকল্পিতভাবে অসত্য প্রচার করছেন বলে অমিত শাহের কাছে কড়া নালিশ জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূল সংসদীয় দলের প্রতিনিধিরা। লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন সহ প্রতিনিধিদলে ছিলেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শতাব্দী রায়, মহুয়া মৈত্র, জহর সরকার, অসিত মাল, শুভাশিস চক্রবর্তী, সাজদা আহমেদ, খলিলুর রহমান, মৌসম বেনজির নূর, অপরূপা পোদ্দার।
আরও পড়ুন-অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
বগটুই গ্রামে তৃণমূল নেতা খুন ও আটজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বাংলাবিরোধী অসত্য প্রচার চালানো হচ্ছে বলে সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সুদীপবাবুরা ব্যাখ্যা দেন, কীভাবে এই মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে সাংবিধানিক পদে থেকেও রাজ্যবিরোধী কুৎসিত চক্রান্ত করছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার দোষীদের ধরতে দ্রুত সিট গঠন করে নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, ইতিমধ্যেই বহু গ্রেফতার হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দোষীদের ধরার নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক কর্মীর কায়দায় সরকার বিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন সাংবিধানিক পদে থাকা জগদীপ ধনকড়। শুধু এটাই প্রথম নয়, ধারাবাহিকভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে হেনস্থা করতে বাংলাবিরোধী প্রচারে সামিল এই রাজ্যপাল। তৃণমূলের দাবি, এই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মর্যাদা রক্ষায় এই রাজ্যপালকে অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-তিনদিন বন্ধ সেতু
প্রসঙ্গত, বগটুই কান্ডের পর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কায়দায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জগদীপ ধনখড়। প্রকৃত ঘটনা না জেনেই তিনি বিরোধীদের সুরে সুর মিলিয়ে রাজ্য সরকারবিরোধী মন্তব্য করে বাংলাকে হেয় করার চেষ্টা করেন। সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ জানিয়ে ধনকড়কে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-জ্বালানির দাম বেড়েই চলেছে আমজনতার নাভিশ্বাস
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতপর্বে সেই চিঠির প্রতিলিপিও তাঁকে দেন তৃণমূল সাংসদরা। অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা বলেছি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে এখনই সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। বীরভূমের রামপুরহাট ইস্যুতে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা সাংবিধানিক নিয়মের পরিপন্থী। সাংবিধানিক পদে এরকম ব্যক্তির থাকা সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।