প্রতিবেদন : পুজোর মধ্যেও কুৎসা সিপিএমের। এবার বইয়ের স্টল দেওয়া নিয়ে কুৎসা শুরু করেছে। অর্বাচীন ও প্ররোচনামূলক কুৎসার জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করিয়ে দিয়েছে বাম জমানায় ‘জাগোবাংলা’ স্টল ভেঙে দেওয়ার প্রসঙ্গটিও। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দলের অবস্থান পরিষ্কার করে যুক্তি দিয়ে বলেন…
এক, পুজোয় বইয়ের স্টল যে কেউ করতে পারেন। যেমন সিপিএম ছাড়া অন্য দল এবারও করেছে কলকাতা এবং বাংলা জুড়ে। কেন সমস্যা হল রাসবিহারীর স্টল নিয়ে? স্টলে সিপিএমের কর্মীরা দৈনন্দিন রাজনীতির কুৎসামূলক পোস্টার, এমনকী স্লোগানও দিচ্ছিলেন পুজোর ভিড়কে ব্যবহার করে। এলাকার পুজো কমিটি বা স্থানীয় মানুষ উৎসবের সময়ে এই রাজনীতির আপত্তি করেছেন। বই নিয়ে তো কোনও সমস্যা হয়নি! এই একটি স্টল বাদ দিয়ে সারা বাংলায় অজস্র স্টল করেছে বিরোধীরা। কই, কোথাও তো কোনও ন্যূনতম বিবাদের খবর নেই!
আরও পড়ুন-উত্তরাখণ্ডে তুষারধসে হত ১০, নিখোঁজ ১১
দুই, সিপিএমের পায়ের তলায় জমি নেই তাই, নাটক শুরু করেছে। পুজো বা উৎসবের মধ্যে কেন রাজনীতি হবে? বছরের বাকি ৩৬০ দিন তো পড়ে রয়েছে! ধরা যাক জাগোবাংলা স্টলে যদি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে পোস্টার স্টলে লাগানো হতো, কিংবা নারদায় যাকে কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গেছে, তার ভিডিও যদি চালানো হতো, সেটা কী শোভনীয় হতো? কিংবা বুদ্ধবাবুর সেই বক্তব্য, চোরেদের মন্ত্রিসভায় আমি থাকি না, সেই পোস্টার স্টলে লাগালে কী ভাল দেখাত? রুচিশীল হতো? আর সেই উস্কানি সিপিএমের স্টল থেকে ক্রমান্বয়ে চালিয়ে যাওয়া হয়েছে সোমবার।
আরও পড়ুন-বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে ভিজল বাংলা
তিন, তৃণমূল নেতা-কর্মীরা স্টল করার সময় তো শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে চেয়েছিলেন, স্টলে স্টলে কেন্দ্র বিরোধী, বিজেপি বিরোধী প্রচার। কেউ চেয়েছিলেন বাম জমানার আনন্দমার্গী, নানুর, নেতাইয়ের গণহত্যার ছবি পোস্টার টাঙাতে। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সারা বছর রাজনীতি হবে। পুজো মন্ডপে বা বইয়ের স্টলে কোনও রাজনীতি নয়। বই থাকবে, পুজো সংখ্যা থাকবে, সাহিত্যের পরিমণ্ডল থাকবে। কর্মীরাও সেই নির্দেশ মেনে নিয়েছেন। কিন্তু সিপিএমের কয়েকজন সিনিয়র ছুটে ছুটে গিয়েছেন। লক্ষ্য শকুনের রাজনীতি। যে ভাষায় তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ করা হয়েছে, সেটা উৎসবের সময়ে মোটেই কাম্য নয়, অভিপ্রেত নয়, রুচিশীল নয়, সাংস্কৃতিক নয়।
আরও পড়ুন-লন্ডন ম্যারাথনে মৃত্যু প্রতিযোগীর
চার, মানুষের সমর্থন নেই তাই বামেরা পুজোর ভিড়কে কাজে লাগাতে নেমে পড়েছে। মানুষকে বোঝানোর জন্য যদি এতটা উৎসাহ, তাহলে প্রতি রবিবার স্টল নিয়ে বসুক না! কেউ বাধা দেয়নি তো!
পাঁচ, সিপিএম বলবে, তারা পুজো মানে না। অথচ পুজোর ভিড় কিংবা পুজো মন্ডপকে কাজে লাগিয়ে বই বিক্রির আড়ালে চক্রান্ত ও কুৎসার খেলা শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-জাদেজার বদলি অক্ষরে সন্তুষ্ট সানি
ছয়, সিপিএম কুৎসা করে বলছে, তৃণমূল বই বিরোধী। আগাপাশতলা মিথ্যাচার। বইয়ের স্টলের আড়ালে মিছিলের স্লোগান, জনসভার বক্তব্য যদি পুজোর বইয়ের স্টল থেকে ওঠে তাহলে প্রতিবাদ হওয়া স্বাভাবিক। হয়েওছে। পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে সিপিএম। মানুষ নিশ্চয়ই বুঝেছেন, শূন্যতে নেমে যাওয়া পার্টি তরুণ অপেরার নাটক করতে নেমেছে।