প্রতিবেদন : রাজ্যসভার সাংসদ তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইকের আলিপুরদুয়ারের ফ্ল্যাটে বুধবার গভীররাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় গ্রেফতার হয় ছয় দুষ্কৃতী। প্রশ্ন ওঠে সাংসদের নিরাপত্তা নিয়ে। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকাশ চিক এনিয়ে বিজেপির দিকে সরাসরি আঙুল তুলে অভিযোগ করেন, গত পুরভোট ও সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে এই জেলায় গোহারা হেরেছে বিজেপি। ওদের হাতে রাজনীতি চালানোর কোনও ইস্যু এই মুহূর্তে নেই। আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির অভিযোগও বিজেপি আনতে পারছে না। তাই হতাশ হয়ে অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে দুষ্কৃতীদের পাঠিয়ে আমার ক্ষতি করার ফন্দি এঁটেছে বিজেপি। কিন্তু এই জেলার মানুষ আমার পাশে আছেন। সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আমার সঙ্গে আছে। তাই বিজেপির কোনও দুষ্কৃতী আমার কিছুই করতে পারবে না।
আরও পড়ুন-জাগোবাংলার স্টলে ভিড়
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ। ওই সময় আলিপুরদুয়ার নেতাজি রোড এলাকায় নর্থ উইন্ড আবাসনে রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইকের ভাড়ার ফ্ল্যাট ই-৪-এর নিচে এসে কেয়ারটেকারকে মারতে মারতে সোজা লিফটে নিয়ে তোলে ওই দুষ্কৃতীরা। তারপর সোজা ই-৪ নম্বর ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতে বলে। সেখানে তারা জনৈক খোকনের খোঁজ করার নামে ঢুকে পড়ে। সেই সময় নিজের ওই ফ্ল্যাটে বৃহস্পতিবারের জেলার বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন সাংসদ। তখন তাঁর ফ্ল্যাটে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন ব্লকের বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন-নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, পার্টি অফিসে তালা, দল ছাড়ার হিড়িক
দুষ্কৃতীরা প্রথমে লাথি মারে প্রকাশের ফ্ল্যাটের দরজায়। তারপর কলিং বেল বাজায়। ফ্ল্যাটের কেয়ারটেকার দরজা খুলতেই তাঁকে মারধর শুরু করে তারা। বাইরে গন্ডগোলের আওয়াজ পেয়ে, ভেতরের ঘরের বৈঠক ছেড়ে উঠে আসেন তৃণমূলের নেতারা। বড় কিছু ঘটার আগেই তাঁরা ওই দুষ্কৃতীদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের সবাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। দুষ্কৃতীরা চপার ও ধারালো তরোয়াল-জাতীয় অস্ত্র নিয়ে একটি গাড়িতে করে এসেছিল। পুলিশ সেই অস্ত্রগুলো উদ্ধার করার পর ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।