প্রতিবেদন : দেশের সব মহিলারই নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার রয়েছে। মেডিক্যাল টারমিনেশন অফ প্রেগন্যান্সি আইনে গর্ভপাতের বিষয়ে বিবাহিত এবং অবিবাহিত মহিলাদের মধ্যে কোনও প্রভেদ নেই। ২০ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত করাতে পারবেন অবিবাহিত মহিলারাও। বৃহস্পতিবার এ-কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India) একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, বিবাহিতা মহিলাকে সন্তান ধারণে বাধ্য করা হলে সেটিকে গণ্য করা হবে বৈবাহিক ধর্ষণ হিসেবে। অপরাধ বলেই পরিগণিত হবে সেই ধর্ষণও।
আরও পড়ুন-হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ, ১৯ তৃণমূল নেতার সম্পত্তি বৃদ্ধি ‘অস্বাভাবিক’ নয়
এদিন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ-বিষয়ে একটি মামলা শুনানির জন্য ওঠে। সেখানেই ১৯৭১ সালের আইনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন বিচারপতিরা। ২০২১ সালে সেই আইনের সংশোধনীর কথাও উল্লেখ করেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতিরা। তাঁদের মতে, নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার বিবাহিতা এবং অবিবাহিতা-নির্বিশেষে ভারতের প্রতিটি মহিলারই আছে। কিন্তু একটা কৃত্রিম পার্থক্য তৈরির চেষ্টা হচ্ছে বিবাহিতা এবং অবিবাহিতাদের মধ্যে। যা আদৌ যুক্তিসঙ্গত নয়। প্রতিটি মহিলাই যাতে স্বাধীনভাবে তাঁদের এই অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন তা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়া, সন্তানের জন্ম দেওয়া— এ-সব বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধুমাত্র মহিলাদেরই। এখানেই শেষ নয়, শীর্ষ আদালত মনে করে, সন্তানের সুস্থতা মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে নির্ভর করে অনেকাংশেই। তাই গর্ভধারণের জন্য কাউকে বাধ্য করা যায় না।
সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) পর্যবেক্ষণ:
* দেশের প্রতিটি মহিলারই নিরাপদ এবং আইনি গর্ভপাতের অধিকার আছে।
* গর্ভপাতের ব্যাপারে বিবাহিত এবং অবিবাহিতদের মধ্যে প্রভেদ করা যাবে না।
* বিবাহিত মহিলাকে গর্ভধারণে বাধ্য করা হলে তা গণ্য করা হবে ধর্ষণ হিসেবে। যা পরিগণিত হবে অপরাধ হিসেবেই।