অধ্যাপককে হয়রানি বিশ্বভারতীর

মিথ্যা অভিযোগে ২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে শোকজ নোটিশ ধরানো হয় বেণুগোপালকে। ২৭ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দেওয়া হয়। ১৩ মার্চ সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Must read

সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : উচ্চ আদালত আদেশ দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাদের তুঘলকি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। কলকাতা উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় বুধবার বিশ্বভারতীর সংগীতভবনের অধ্যাপক রাজেশ কে বেণুগোপালকে কাজে কাজে যোগ দেওয়া-সহ সমস্ত সুযোগসুবিধা এবং বকেয়া মেটাতে হবে বিশ্বভারতীকে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেণুগোপাল তাঁর কাজে পুনরায় যোগদানের জন্য চিঠি কর্তৃপক্ষকে জমা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন-বিরোধী-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম ২ তৃণমূলকর্মী, বনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ, গ্রেফতার ৫

উচ্চ আদালতের নির্দেশে সাসপেনশন শুধু বাতিলই হয়নি, আদালত স্পষ্ট করে জানায়, উপাচার্যের কোনও লিখিত নির্দেশ ছাড়াই শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিবের এক্তিয়ার নেই কাউকে সাসপেন্ড করার। আদালতের নির্দেশে সাসপেনশন বাতিল হওয়ার পরও বেণুগোপালকে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সহযোগিতা করা হয়নি। ১১ এপ্রিল সাসপেন্ডেড কর্মী হিসেবে বিবেচিত বলে জানতে পারেন অধ্যাপক বেণুগোপাল।

আরও পড়ুন-আহত বিজেপি নেতার পাশে তৃণমূল

এক আবেদনের ভিত্তিতে ‘স্টাডি লিভ’ নামঞ্জুর করে ৪ মে অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, যেহেতু তিনি সাসপেন্ডেড, তাই তাঁকে স্টাডি লিভ দেওয়া যাবে না। কাজে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের আদেশ বহাল থাকা সত্ত্বেও, বেণুগোপালকে কাজে যোগ দিতে দেয়নি। বেণুগোপাল সন্ধে পর্যন্ত অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত ফিরে যান। উল্লেখ্য, কর্তব্যে অবহেলার মিথ্যা অভিযোগে ২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে শোকজ নোটিশ ধরানো হয় বেণুগোপালকে। ২৭ ফেব্রুয়ারি চার্জশিট দেওয়া হয়। ১৩ মার্চ সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

Latest article