গত বছরের ১৫ জানুয়ারি বলিউডের নামী অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া একটি কন্যাসন্তানের মা হন। সারোগেসির মাধ্যমে তিনি পেয়েছিলেন মাতৃত্ব। শুনতে সহজ মনে হলেও মা হতে প্রিয়াঙ্কাকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। সম্প্রতি কিছুদিন আগে প্রিয়াঙ্কা প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর সন্তানের জন্মের আসল রহস্য। তিনি বলেন মা মধু চোপড়ার পরামর্শে তিনি ৩০ বছর বয়সেই নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। তিনি এই বিষয়ে বলেছিলেন, ‘‘যখন আমার বয়স ৩০, সেসময়ই আমি ডিম্বাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সেইসময় কোয়ান্টিকোর শ্যুটিং করছিলাম। এটা ভীষণই কষ্টকর একটা পদ্ধতি, এক মাসের বেশি সময় ধরে ইঞ্জেকশন নিতে হয়েছে। যে কারণে হরমোনের ইমব্যালেন্সিং হয়েছে। পাগল পাগল লাগত। ওজন বেড়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গে এই পদ্ধতি ব্যয়বহুলও বটে। যে জন্য সঞ্চয় প্রয়োজন ছিল। বিষয়টা মোটেও সহজ ছিল না।’’
আরও পড়ুন-বিশ্বের ক্ষমতাশালী নারীরা
এগ ফ্রিজিং বা ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলেন আর এক বলিউডি সুন্দরী। তিনি হলেন বিউটি কুইন ডায়না হেডেন৷ তিনি তাঁর ডিম্বাণুকে ফ্রিজ করে রাখার আটবছর পর সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে ৪২ বছরে মা হন ডায়না।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে নামী দক্ষিণী অভিনেতা রামচরণের স্ত্রী উপাসনার ডিম্বাণু সংরক্ষণ থেকে মাতৃত্ব পাওয়ার বিষয়টিও।
বলিউডের বহু পরিচিত নাম এবং মুখ যাঁরা তাঁদের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছেন যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন একতা কাপুর, মোনা সিং, রাখি সাওয়ান্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুন-তুমি ফিরে জানি আসবে না কোনও দিন
শুধু হলিউড, বলিউডের সেলেব্রিটি কেন, সাধারণ মহিলারাও এখন ডিম্বাণু সংরক্ষণের দিকে ঝুঁকছেন। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী ৩৩-এর রাধিকার (নাম বদলে) বিদেশ যাওয়ার বড় সুযোগ সামনেই। চলে যাওয়ার আগে তড়িঘড়ি বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে চায় তাঁর। কিন্তু রাধিকা চান না। কেরিয়ার ছাড়া এইমুহূর্তে কোনওকিছুর প্রায়োরিটি নেই তাঁর কাছে। তাই ডিম্বাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। যাতে ভবিষ্যতে দেরিতে বিয়ে করলেও সমস্যা না হয়।
ডিভোর্সের মামলা চলছে, সন্তান হয়নি আগে সমাপ্তির (নাম বদলে)। কিন্তু ভবিষ্যতে তিনি সন্তানধারণ করতে চান। তাই নিজের ডিম্বাণু তৈরি বন্ধ হওয়ার আগেই তা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সমাপ্তি। বর্তমানে শহরের এক নামজাদা ইনফার্টিলিটি সেন্টারে চলছে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন-বাঙালি খাদ্যে মজলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
এগ ফ্রিজিং-এ লাভ
আধুনিক মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে এগ ফ্রিজিং বা ডিম্বাণুকে সংরক্ষণ করে রাখবার প্রবণতা। এখনকার মেয়েরা ভীষণভাবেই কেরিয়ার সচেতন। ফলে বিয়েটা তাঁদের কাছে হয়ে যাচ্ছে সেকেন্ড, থার্ড চয়েস। লেট থার্টিজে বা লেট ফর্টিজে বিয়ে ইদানীং আর কোনও ব্যাপার নয়। এরপর বেশি বয়সে যখন বিয়ে করছেন, সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। কারণ যত বয়স বাড়ে, ডিম্বাণুর গুণগতমান কমতে থাকে। ফলে সন্তানধারণে আসছে জটিলতা। প্রচুর অর্থব্যয় করেও সফল হচ্ছেন না। ফলে ডিম্বাণু সংরক্ষণের জনপ্রিয়তাও বেড়ে চলেছে। কারণ এর চেয়ে ভাল উপায় আর কী হতে পারে! রেস্ত থাকলে একটু কষ্ট করতে রাজি আধুনিকারা। বিনিময়ে তাঁরা পাচ্ছেন ভবিষ্যতে সুস্থ সন্তানের মা হওয়ার অ্যাসিওরেন্স। ডিম্বাণু সংরক্ষণ, যাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘সোশ্যাল এগ ফ্রিজিং’ বা ‘ম্যাচিউর ওয়োসাইট ক্রায়োপ্রিজার্ভেশন’। এক্ষেত্রে সেই মহিলার কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। এই মুহূর্তে সন্তান নিতে চাইছেন না তাই নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখছেন ভবিষ্যতের জন্য।
আরও পড়ুন-সাংসদকে ভর্ৎসনা কোর্টের
আরও কিছু কারণে এগ ফ্রিজিং হয়। কোনও দুরারোগ্য ব্যাধি, যেমন কোনও মহিলার ক্যানসার হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি শুরু হবে, সেই কারণে ভবিষ্যতে বন্ধ্যাত্ব আসার সম্ভাবনা রয়েছে বা কারও যদি এনডোমেট্রোসিস থেকে থাকে বা বাড়িতে মা বা অন্য কারও আর্লি মেনোপজের ইতিহাস রয়েছে তাঁদের জন্য এই পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকরী হতে দেখা গিয়েছে। এরাও এগ ফ্রিজিং করে রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
কীভাবে হয়
বিশেষজ্ঞের মতে, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর মহিলাদের ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং মান দুই-ই কমতে থাকে। তাই বেশি বয়সে বিয়ে করলে সন্তানধারণে সমস্যা আসে কাজেই ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং মান ভাল থাকতে থাকতে যদি ডিম্বাণু সংরক্ষণ করা যায়, তা হলে একটু বেশি বয়সে বিয়ে করলেও কৃত্রিম উপায়ে
সেই ডিম্বাণু নিষেক করে
সৃষ্ট ভ্রূণ গর্ভে স্থাপন (আইভিএফ) করে যে কোনও মহিলাই গর্ভবতী হতে পারেন৷
এগ ফ্রিজিং হল একটি পদ্ধতি যেখানে মহিলাদের ডিম্বাণু হিমায়িত করা হয়। এরপর সময়মতো সেই ডিম্বাণু পুনরুদ্ধার করে শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিয়ে তা ইউটেরাসে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-১০লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে বাংলার বকেয়া আদায় করে আনার চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
যে কোনও ঋতুমতী নারী আগে থাকতে তাঁর ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন ভবিষ্যতের জন্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগ ফ্রিজিংয়ের আদর্শ বয়সসীমা ২৭ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত। কারণ একজন মহিলা যখন ৩০ বছর পেরিয়ে যান, তখনই ধীরে ধীরে ফার্টিলিটি রেশিও হ্রাস পেতে থাকে। একই সঙ্গে ডিম্বাণুগুলির গুণগত মানও হ্রাস পায়। তাই যদি কেউ দেরি করে সন্তানের পরিকল্পনা করেন তবে তাঁকে ৩০-৩৪ বছরের মধ্যেই এগ ফ্রিজিং করে ফেলতে হবে। এগ ফ্রিজিংয়ের পদ্ধতি অনেকটাই ‘আইভিএফ’-এর মতো। এর অনেকগুলো স্তর রয়েছে। প্রথমে সিন্থেটিক হরমোনের সাহায্যে একটি পিরিয়ডিক্যাল সাইকেলের মধ্যে একাধিক ডিম্বাণু ওভারিতে তৈরি হয়। এরপর ডিম্বাণুগুলি কতটা উন্নত তা দেখার জন্য একাধিক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে ডিম্বাণুর গুণগত ও সংখ্যাগত মান খতিয়ে দেখেন চিকিৎসকেরা। এক্ষেত্রে প্রায় ১০-১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে।
আরও পড়ুন-বিরোধী জোটের বৈঠক বেঙ্গালুরুতে
এই ডিম্বাণুগুলি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রস্তুত হয়। একটি নিডলের মাধ্যমে ফলিকল থেকে এক বা একাধিক ডিম্বাণু পুনরুদ্ধার করা হয়। সব শেষে, এই ডিম্বাণুগুলি শূন্য তাপমাত্রার নিচে ফ্রোজেন ও সংরক্ষিত করা হয়। এই ভিট্রিফিকেশন প্রক্রিয়া আন-ফার্টিলাইজড ডিম্বাণুর উপর আইস ক্রিস্টাল জমতে বাধা দেয়।
বেশি বয়সের অসুবিধে
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, বেশি বয়সেই অর্থাৎ ৪০ অবধি কেন এগ ফ্রিজিং করা যাবে না। এর কারণ হল ৪০ বছর বয়সে এগ ফ্রিজিং মিসক্যারেজ অর্থাৎ গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। আমাদের ওভারির একটি বায়োলজিক্যাল ক্লক রয়েছে। কিন্তু ইউটেরাসে নেই। তাই ৩০ বছর বয়সে যদি এগ ফ্রোজেন করা হয় তাহলে একটি যথাযথ ও স্বাস্থ্যকর গর্ভধারণ সম্ভব। কারণ, অপেক্ষাকৃত কম বয়সের ডিম্বাণু তুলনামূলকভাবে বেশি বয়সের ইউটেরাসের মধ্যে প্রতিস্থাপন করা যায়।
আরও পড়ুন-চিকিৎসক থেকে অভিনেতা শুভেন্দু
খরচ-খরচা
এগ ফ্রিজিং-কে কেউ কেউ কেরিয়ার হিসেবেও ভাবছেন বর্তমানে। এই প্রক্রিয়াটি খুব খরচসাপেক্ষ। ডিম্বাণু সংগ্রহের প্রাথমিক খরচ আনুমানিক ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। সংরক্ষণের বার্ষিক খরচ ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এর চেয়ে কম বা বেশিও হতে পারে। ডিম্বাণু সংরক্ষণের আইনি প্রক্রিয়াটাও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ব্রিটেনে ১০ বছর পর্যন্ত এগ ফ্রিজিং বা ডিম্বাণুকে হিমায়িত করে রাখা যায়। সুইডেনে এই নিয়ম ৫ বছরের জন্য। করোনাভাইরাস অতিমারির প্রভাবে দিনে দিনে আরও বেড়েছে ডিম্বাণু সংরক্ষণ।
শুধু ভারতে নয়, ডিম্বাণু সংরক্ষণ করা নারীর সংখ্যা অতিমারির সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়াতেও একই কারণে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এগ ফ্রিজিং-এর কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত যেমন মহিলাদের একটি যথাযথ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, নিয়ম মেনে চলতে হবে। সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করতে হবে। যাতে কোনও অসুস্থতা সহজে তাঁদের গ্রাস করতে না পারে, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। কারণ এগুলি প্রেগনেন্সির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের ৫০৯টি কলেজে স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল খুলছে আজ মধ্যরাতের পর থেকেই
বিভিন্ন সেলেব্রিটির অভিমত
ইলিনা বণিক, চিত্রশিল্পী
এগ ফ্রিজিং খুব নতুন কিছু নয়, আগেও ছিল তবে এত চর্চা ছিল না। আমার চিকিৎসকেরা তখন আমাকে আইভিএফ করার কথাই বলেন। ২০০৩ সালে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয় তার বেশ কয়েক বছর চলে যাওয়ার পর আমি আইভিএফ করব বলে মনস্থ করি। বাচ্চা নেব এটা আমার বহুদিনের ইচ্ছে ছিল তার জন্য বিয়েটা কোনওদিনই জরুরি ছিল না। প্রথমবার সেই প্রসিডিওর ব্যর্থ হয় দ্বিতীয়বার সফল হয়। বাচ্চা যখন হল তখন আমার বয়স চল্লিশ। এগ ফ্রিজিং করতে গেলে মোটামুটি ৩৫ বছরের মধ্যেই করতে হয় বলে জানি। কিন্তু আমি যখন ভাবনাচিন্তা করছিলাম তখন বয়স ৩৬ হয়ে গেছে। জানি না এগ ফ্রিজিং বিষয়টা নিয়ে ভাবলে কী করতাম তবে তখন। অত ফার্টিলিটি সেন্টার ছিল না আর এগ ফ্রিজিং বিষয়টা এখনকার মতো পপুলার হয়ে ওঠেনি। এটা খুব ভাল একটা পদ্ধতি কারণ আইভিএফ সবসময় যে সফল হয় তা নয়, এক্ষেত্রে ডিম্বাণু সংরক্ষণের মাধ্যমে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে পরবর্তীতে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল, যদি সময় থাকতে প্রকৃতিগত ভাবে সন্তান নিয়ে নেওয়া যায় তার চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। কারণ বেশি বয়সে মাতৃত্বে মা অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েন তাঁর ওপর সিঙ্গল মাদার হলে সমস্যা অনেক বেশি। সবসময় সাপোর্ট সিস্টেম থাকে না। আমি সিঙ্গল মাদার হিসেবে আমার মেয়েকে নিয়ে নানাধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি সাপোর্ট সিস্টেম ছিল না বলে। মায়ের বয়স কম থাকলে সন্তানকে বড় করা সুবিধাজনক হয়।
আরও পড়ুন-কমবে বৃষ্টি, বাড়বে তাপমাত্রা
দেবারতি মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক
ডিম্বাণু সংরক্ষণ খুব ভাল একটি পদ্ধতি। বিজ্ঞানের অগ্রগতি কেউ আটকে রাখতে পারে না। যত দিন যাবে তত নতুন পদ্ধতি আসবে যা হয়তো অনেক বড় সমস্যার সমাধান করে দেবে। আগেকার দিনের মানুষদের আমরা খুব বলতে শুনেছি দেরি করে বিয়ে দিচ্ছ, বাচ্চা হতে সমস্যা হবে। ডিম্বাণু সংরক্ষণ পদ্ধতির সাফল্য সেই চিন্তা মুছে দিয়েছে। এটা আগেও ছিল তবে ইদানীং অবিবাহিত মেয়েরা এগ ফ্রিজ করছেন ভবিষ্যতের জন্য। কেরিয়ার নিয়ে তাঁরা সচেতন এটা খুব ভাল দিক। যখন খুশি মা হন নিজের সময়মতো।
আরও পড়ুন-কমবে বৃষ্টি, বাড়বে তাপমাত্রা
ডাঃ রিমা মুখোপাধ্যায়, মনোবিদ
আমার মতে এটা মেয়েদের জন্য খুব ভাল একটা সিদ্ধান্ত হয়ে উঠবে আগামী দিনে। আমি নিজে কেরিয়ারমুখী নারী ছিলাম। মেয়েদের কেরিয়ারের দিকে ফোকাস করা ভীষণভাবেই জরুরি। আমাদের ছোট থেকে বড় হওয়ার এই পুরো সময়টায় কেরিয়ারের সঙ্গে সবকিছুকে ব্যালেন্স করতে হয়েছে। প্রচণ্ড স্ট্রাগল করতে হয়েছে। বিয়ের পর পড়াশুনো, বাচ্চা, কেরিয়ার— সবটা একসঙ্গে ম্যানেজ করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর একটা চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। আমি খুব ফরচুনেট যে চাপটা হ্যান্ডেল করে বেরিয়ে আসতে পেরেছি কিন্তু অনেক মেয়েই পারে না। এগ ফ্রিজিং-এর মতো অপশন থাকলে বিয়ে এবং বাচ্চাজনিত সামাজিক চাপ মেয়েদের ওপর থেকে কমে যাবে।
আরও পড়ুন-বাঙালি খাদ্যে মজলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
রাজনন্দিনী পাল
আমি আমার মাইন্ডসেট দিয়ে বলতে পারি যে কোনও মেয়েই তাঁর হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও বিয়ে এবং সংসার সন্তানের দায়িত্ব নিতে সক্ষম। কেরিয়ারকে প্রায়োরিটি দিলেও। আমরা যেমন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে দেখেছি বহু আগেই এগ ফ্রিজ করে রেখেছিলেন, আবার তেমনই তো আলিয়া ভট্ট বা অনুষ্কা শর্মাকেও দেখলাম। কেরিয়ারের পিক টাইমে খুব সুন্দরভাবে বিয়ে-সন্তান সবকিছু সামলে নিয়েছেন। আমি দু’জনের কথা বললাম, এমন অনেকেই রয়েছেন। এগ ফ্রিজিং বা ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখা ভাল বিষয়। যিনি ভাবছেন এটা করতেই পারেন। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কারণ, মেয়েদের একটা বায়োলজিক্যাল ক্লক রয়েছে এটা তো অস্বীকার করার উপায় নেই তাই সময়মতো সবটা না হলে তখন এই আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিগুলো কাজে আসবে।