বিশ্বের ক্ষমতাশালী নারীরা

সাম্প্রতিক সময়ে সাফল্যের শীর্ষ ছুঁয়েছেন বিশ্বের কয়েকজন নারী। প্রমাণ করেছেন নিজেদের যোগ্যতা। হয়ে উঠেছেন প্রবল ক্ষমতাশালী। এমন দশজন নারীর কথায় অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

উরসুলা ফন ডেয়ার লায়েন
সাম্প্রতিক সময়ে সারা বিশ্বে সমাদৃত একটি নাম উরসুলা ফন ডেয়ার লায়েন। এই জার্মান রাজনীতিবিদ পেশায় একজন সফল চিকিৎসক। সাতের দশকের শেষে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা শুরু। তবে সেই পাঠ অসম্পূর্ণ রেখে মন দেন চিকিৎসা বিদ্যায়। ১৯৮৭ সালে হ্যানোভার মেডিক্যাল স্কুল থেকে স্নাতক হন। মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি বিশেষভাবে ভাবনাচিন্তা করেন।

আরও পড়ুন-বাঙালি খাদ্যে মজলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

নয়ের দশকের শেষদিকে হ্যানোভার অঞ্চলে স্থানীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে সরকারের মন্ত্রিসভায় পালন করেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ২০০৫-এ প্রথম ফেডারেল মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। পরিবার বিষয়ক ও যুব মন্ত্রীর পদে। এরপর সামলেছেন বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। অ্যাঞ্জেলা ম্যার্কেল ২০০৯ সালে তাঁকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন৷ ২০১৩ সালে দেওয়া হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। ২০১৯-এ নির্বাচিত হন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট। প্রথম মহিলা হিসেবে তিনি এই যোগ্যতা অর্জন করেন। ভোটাভুটিতে ৭৪৭টির মধ্যে তিনি পান ৩৮৩টি ভোট৷ তাঁর বেশকিছু সিদ্ধান্ত বিভিন্ন সময় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তবে বরাবর থেকেছেন নিজের সিদ্ধান্তে অটল। তাই মুঠোয় পুরেছেন সাফল্য। ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, এই মুহূর্তে তিনিই বিশ্বের সেরা ক্ষমতাশালী নারী।

আরও পড়ুন-অশান্ত মণিপুরে ইস্তফার সাজানো নাটক মুখ্যমন্ত্রীর

ক্রিস্টিন ম্যাডেলিন ওডেট লাগার্ড
ক্রিস্টিন ম্যাডেলিন ওডেট লাগার্ড একজন ফরাসি আইনজীবী। রাজনীতিবিদ হিসেবেও সমাদৃত। প্যারিস নান্টেরে ইউনিভার্সিটির আইন স্কুল থেকে স্নাতক হন। ১৯৮১ সালে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা বেকার অ্যান্ড ম্যাকেঞ্জির সহযোগী হিসাবে যোগদান করেন। ছয় বছর পর তাঁকে অংশীদার করা হয় এবং তিনি পশ্চিম ইউরোপে ফার্মের প্রধান হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৯৫ সালে নির্বাহী কমিটিতে যোগদান করেন এবং ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে কোম্পানির প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন।
২০০৫ এবং ২০০৭-এর মধ্যে ফ্রান্সের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসাবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যা রীতিমতো আলোড়ন তুলেছিল। ২০০৭ সালে তাঁকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। কিছুদিন পর ফিলনের মন্ত্রিসভায় অর্থনৈতিক বিষয়, অর্থ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। প্রথম মহিলা হিসেবে তিনি এই দায়িত্ব পান। ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ১১তম ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। প্রথম নারী হিসেবে তিনি আইএমএফের প্রধান নির্বাচিত হন। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্টের গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন ২০১ বার।

আরও পড়ুন-সাংসদকে ভর্ৎসনা কোর্টের

কমলা হ্যারিস
এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের চর্চায় রয়েছেন কমলা হ্যারিস। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্রী তিনি। হেস্টিংস কলেজ অফ দ্য ল, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ১৯৯০ সালে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু। যুক্তরাষ্ট্রে তিনিই প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিনেটর। ২০০৩ সালে সান ফ্রান্সিসকোর জেলা অ্যাটর্নি নির্বাচিত হন। পরে ২০১০ সালে, প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী হিসেবে নির্বাচিত হন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল। ২০১৬ সালের সিনেট নির্বাচনে লরেটা সানচেজকে পরাজিত করে দ্বিতীয় আফ্রিকান আমেরিকান মহিলা এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় আমেরিকান হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে কাজ করেন। ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কাজ করেন ক্যালিফোর্নিয়ার জুনিয়র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর হিসেবে।

আরও পড়ুন-ক্রমান্বয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনা, রাজ্যকে অবহেলা, তার মধ্যেও সাফল্য, আবাসে দেশে দ্বিতীয় বাংলা

২০২০ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম দিকেই নির্বাচন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। ২০২১-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে। তিনিই প্রথম নারী, যিনি অস্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার নজির গড়েছেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোলনস্কপির সময় ৮৫ মিনিটের জন্য কমলা এই দায়িত্ব সামলান। রচনা করেন নতুন ইতিহাস।

আরও পড়ুন-যারা মানুষকে ভাতে মেরেছে তাদের একটা ভোটও নয়

মেরি তেরেসা বারা
ব্যবসায় সফল হতে পারেন নারীরাও, প্রমাণ করেছেন মেরি তেরেসা বারা। তিনি একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী। আটের দশকের শুরুতে একজন কো-অপ স্টুডেন্ট হিসেবে জেনারেল মোটরসে কাজ শুরু করেন। তখন বয়স ছিল ১৮ বছর। কাজ ছিল ফেন্ডার প্যানেল চেক করা এবং হুড পরিদর্শন করা। এই কাজ করেই তিনি কলেজে পড়ার খরচ চালাতেন। ১৯৮৫ সালে জেনারেল মোটরস ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন।
২০০৮ সালে তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের। পরের বছর বসেন গ্লোবাল হিউম্যান রিসোর্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে। এই পদে ২০১১ পর্যন্ত আসীন ছিলেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে জেনারেল মোটরসের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি একটি অটোমোবাইল প্রস্তুতকারকের প্রধান হন। অল্প সময়েই বদলে দেন প্রতিষ্ঠানের চেহারা। জেনারেল ডাইনামিক্সের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন তিনি। ডেট্রয়েট ইকোনমিক ক্লাব এবং ডেট্রয়েট কান্ট্রি ডে স্কুলের পরিচালনা পর্ষদেও কাজ করেন। এছাড়াও তাঁকে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বোর্ড অফ ট্রাস্টি, স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল এবং ডিউক ইউনিভার্সিটি বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য হিসেবে দেখা যায়।

আরও পড়ুন-রাজ্যের ৫০৯টি কলেজে স্নাতকে ভর্তির পোর্টাল খুলছে আজ মধ্যরাতের পর থেকেই

অ্যাবিগেল জনসন
সারা বিশ্বে নারী শক্তির ধ্বজা উড়িয়েছেন অ্যাবিগেল জনসন। আমেরিকান বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী তিনি। আরও একটি পরিচয়, ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এডওয়ার্ড সি. জনসন টু তাঁর দাদু। পড়াশোনা কেমব্রিজ, ম্যাসাচুসেটস প্রাইভেট স্কুল বাকিংহাম ব্রাউন অ্যান্ড নিকলস স্কুলে। তারপর ১৯৮৪ সালে হোবার্ট এবং উইলিয়াম স্মিথ কলেজ থেকে শিল্প ইতিহাসে স্নাতক হন।
১৯৮৮ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টে যোগ দেন। কাজ শুরু করেন একজন বিশ্লেষক এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসাবে। ২০০১ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত হন। তখন সিইও ছিলেন বাবা এডওয়ার্ড সি. জনসন থ্রি। একটা সময় বাবার সঙ্গে মতবিরোধ হয়। সেই বিরোধ চরমে পৌঁছয়। তিনি বাবাকে অপসারণের চেষ্টা করেন। যদিও সফল হননি। ২০০৫-এ তিনি খুচরো, কর্মক্ষেত্র এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবসার প্রধান হন। ২০১২ সালে মনোনীত হন প্রেসিডেন্ট। দু’বছর পর, ২০১৪ সালে হন প্রতিষ্ঠানের সিইও, ২০১৬-য় চেয়ারপার্সন। ২০১৮ সালে তিনি ফিডেলিটিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ প্রবর্তন করেন। উপকৃত হন বহু মানুষ। ২০১৫ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছিলেন। প্রথম এবং একমাত্র মহিলা হিসেবে তিনি ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ফোরামের বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন-মুখ্যসচিব পদে দ্বিবেদীর মেয়াদ বাড়ল ৬ মাস

মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস
বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাশালী নারী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তিনি ছিলেন ক্লাসের ভ্যালিডিক্টোরিয়ান। ১৪ বছর বয়সে বাবার মাধ্যমে পরিচয় হয় অ্যাপল টু-র সঙ্গে। এই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি কম্পিউটার গেম এবং বেসিক প্রোগ্রামিং ভাষার প্রতি আগ্রহী হন। ১৯৮২ সালে ডালাসের উরসুলিন অ্যাকাডেমি থেকে ভ্যালিডিক্টোরিয়ান হিসেবে স্নাতক হন। ১৯৮৬ সালে ডিউক ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৭ সালে ডিউকের ফুকুয়া স্কুল অফ বিজনেস থেকে অর্জন করেন এমবিএ। তাঁর প্রথম কাজ ছিল শিশুদের অঙ্ক এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এ শিক্ষা দেওয়া।

আরও পড়ুন-মনোনয়ন নিয়ে কুৎসা চলছে, তথ্য দিয়ে জানাল কমিশন

স্নাতক হওয়ার পর তিনি মাইক্রোসফটের বিপণন ব্যবস্থাপক হন। দীর্ঘ সময় তিনি এক্সপিডিয়াতে কাজ করেন। তাঁর কর্মকুশলতায় এক্সপিডিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় ভ্রমণ বুকিং ওয়েবসাইট হয়ে ওঠে। নয়ের দশকের গোড়ায় তাঁকে তথ্য পণ্যের মহাব্যবস্থাপক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯৯৬ সালে যুক্ত হন ডিউক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে। ২০০৩ সাল পর্যন্ত ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। যোগ দেন বার্ষিক বিল্ডারবার্গ গ্রুপ সম্মেলনে। ২০০৪ সাল থেকে গ্রাহাম হোল্ডিংস-এর পরিচালনা পর্ষদে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন। ২০১৫-য় স্বামী বিল গেটসের সঙ্গে বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। সমাদৃত হন সারা বিশ্বে।

আরও পড়ুন-চিকিৎসক থেকে অভিনেতা শুভেন্দু

জর্জা মেলোনি
বর্তমান সময়ে ইতালির নারীশক্তির উল্লেখযোগ্য নাম জর্জা মেলোনি। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিবিদ। পেশা সাংবাদিকতা। জীবনে এসেছে ঝড়ঝাপটা। বাবা ছিলেন একজন ট্যাক্স অ্যাডভাইসার। তিনি মাদক পাচারের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। ছাত্রী হিসেবে জর্জা ছিলেন বরাবরই মেধাবী। প্রতিটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন সসম্মানে।
১৯৯২ সালে একটি নব্য-ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দল ইতালিয়ান সোশ্যাল মুভমেন্টের যুব শাখা ইয়ুথ ফ্রন্টে যোগ দেন। এই ফ্রন্ট ইতালীয় ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক বেনিতো মুসোলিনির প্রাক্তন অনুসারীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। ২০০৬ সালে জর্জা চেম্বার অব ডেপুটিজের সদস্যা হন। ২০১৪ সাল থেকে ব্রাদার্স অব ইতালি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দেন। পরে ২০২০ সাল থেকে ইউরোপীয় রক্ষণশীল এবং সংস্কারবাদী দলের সভাপতির পদ অলংকৃত করেন। ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর প্রথম মহিলা হিসেবে তিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সারা বিশ্বেই রয়েছে তাঁর জনপ্রিয়তা।

আরও পড়ুন-রাজ্যের স্বার্থবিরোধী কাজের কৈফিয়ত চাইলেন নয়াগ্রামবাসী, গদ্দার নেতাকে দেখে চোর চোর রব

কারেন এস লিঞ্চ
কারেন এস লিঞ্চ একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী। ১৯৮০ সালে স্নাতক হন। পরে বোস্টন কলেজের ক্যারল স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টে পড়াশোনা করেন। অ্যাকাউন্টিংয়ে লাভ করেন স্নাতক ডিগ্রি। আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং-এর বোস্টন অফিসে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রতিষ্ঠানকে দিতে থাকেন একের পর এক সাফল্য। ২০০৪ সালে সিগনা ডেন্টালের সভাপতি নিযুক্ত হন। পরের বছর, বুদ্ধি খাটিয়ে সিগনা গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স এবং সিগনা ডেন্টালের নেতৃত্বকে একত্রিত করেন।

আরও পড়ুন-অভিষেক আসছেন উন্মাদনা সালানপুরে

২০০৯ সালে সিগনা ছেড়ে ম্যাগেলান হেলথ সার্ভিসে যোগ দেন। পান প্রেসিডেন্ট পদ। ২০১২ পর্যন্ত ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানেই। পরবর্তী সময়ে তিনি কভেন্ট্রি হেলথ কেয়ারের নেতৃত্ব দেন। যেটা ছিল সেই সময়ে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা অধিগ্রহণ। ২০২১-এ সিভিএস হেলথের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এইভাবে তিনি একের পর এক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং নিজেকে তুলে ধরেন সাফল্যের শীর্ষে। পেয়েছেন বেশকিছু পুরস্কার ও সম্মাননা।

আরও পড়ুন-ইদের বার্তা ইদের শিক্ষা

জুলি টেরেস সুইট
জুলি টেরেস সুইট একজন আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহী এবং অ্যাটর্নি। পড়াশোনা তুস্টিন হাই স্কুলে। বক্তা হিসেবে তুখড়। ছাত্রী জীবনে অংশ নিয়েছেন বহু বিতর্কে। ক্লেরমন্ট ম্যাককেনা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। একটা সময় আইন সংস্থা ক্রাভাথ, সোয়াইন এবং মুরের অ্যাটর্নি ছিলেন। ফার্মে ১৭ বছর কাজ করেছেন এবং ১০ বছর ছিলেন অংশীদার।
২০১০ সালে অ্যাকসেঞ্চার তাঁকে সাধারণ কাউন্সেল হিসেবে নিয়োগ করে। দায়িত্ব পালন করেন কোম্পানির গ্লোবাল ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে। এই কোম্পানি তাঁকে সিইও নির্বাচিত করে ২০১৯ সালে। তিনিই এই পদে অধিষ্ঠিত প্রথম মহিলা। অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড রোল্যান্ডের স্থলাভিষিক্ত হন। জুলি কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরোধিতা করেন। আওয়াজ তোলেন নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে। পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানবিশ আন্দোলনকে সমর্থন করেন। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের নিউ রুলস সামিটে যোগ দেন। সম্মানিত হয়েছেন বিভিন্ন সময়।

আরও পড়ুন-ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার রাজভবনকে, সীমা ছাড়াচ্ছেন রাজ্যপাল

জেন ফ্রেজার
জেন ফ্রেজার একজন ব্রিটিশ-আমেরিকান ব্যাঙ্কিং এক্সিকিউটিভ। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজের গিরটন কলেজে পড়াশোনা করেন। অর্থনীতিতে স্নাতক হন। ১৯৯০ পর্যন্ত লন্ডনের গোল্ডম্যান স্যাক্সে অধিগ্রহণ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯২ সালে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলে ভর্তি হন, ১৯৯৪ সালে এমবিএ অর্জন করেন।

আরও পড়ুন-আপত্তিকর বর্ধিত পার্কিং ফাইন হঠাৎ লাগু নিউটাউনে, খবর পেয়েই বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী

তারপর ম্যাককিনসি অ্যান্ড কোম্পানিতে যোগ দেন। বেশ কিছুদিন কাজ করার পর অবশেষে অংশীদার হন। প্রথম ছয় বছর নিউ ইয়র্কে এবং শেষ চার বছর লন্ডনে কাজ করেন। ২০০৪ সালে তাঁকে সিটি গ্রুপের বিনিয়োগ এবং বৈশ্বিক ব্যাঙ্কিং বিভাগে ক্লায়েন্ট স্ট্র্যাটেজির প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। তিন বছর পর গ্লোবাল হেড অফ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড মার্জারস অ্যান্ড অ্যাকুইজিশন হিসেবে পদোন্নতি পান। এই পদে ছিলেন ২০০৯ পর্যন্ত। পরে তিনি সিটি গ্রুপের সিইও পদে আসীন হন। বহু নিবন্ধ লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বই। বক্তৃতা করেছেন বিভিন্ন বিজনেস সামিটে। হয়েছেন সম্মানিত।

Latest article