আত্মজাদের গুরু

ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি ছিলেন এ পি জে আবদুল কালাম। শিক্ষক এবং মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসেবে রেখেছিলেন বিশেষ অবদান। নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন ছাত্রসমাজকে। আজ ১৫ অক্টোবর, তাঁর জন্মদিনে সারা পৃথিবী জুড়ে পালিত হচ্ছে 'বিশ্ব ছাত্র দিবস'। বাবা-মাকে গুরু হিসেবে পেয়েছেন অনেকেই। বিশ্ব ছাত্র দিবসে এমনই কয়েকজন সফল 'ছাত্রী'র সঙ্গে কথা বললেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

নতুন প্রজন্মের ছাত্রসমাজই উপহার দিতে পারে সুন্দর পৃথিবী। কারণ তাদের মধ্যেই পুঞ্জীভূত রয়েছে আসল শক্তি। মনে করতেন এ পি জে আবদুল কালাম। আজীবন ছিলেন ছাত্রদরদী।
ছাত্রসমাজের প্রতি তাঁর আহ্বান ছিল, অন্যভাবে চিন্তা করতে হবে। ডুবে থাকতে হবে আবিষ্কারের নেশায়। এমন পথে চলতে হবে, যে-পথে আগে কেউ চলেনি। করতে হবে অসম্ভবকে সম্ভব।
রাষ্ট্রপতি, বিজ্ঞানীর মতো গুরুদায়িত্ব পালন, তার মধ্যেও করেছেন শিক্ষকতা। নিজের শিক্ষক পরিচয়ই ছিল তাঁর কাছে প্রধান। অনুপ্রাণিত করেছেন নতুন প্রজন্মকে। দেশ-বিদেশের ছাত্রছাত্রীদের কাছে ছিলেন আদর্শ।

আরও পড়ুন-রান্নাঘরের গপ্পো

১৯৩১-এর ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্ম। ২০১০ সালে জাতিসংঘ এ পি জে আবদুল কালামকে বিশেষ সম্মান জানাতে তাঁর জন্মদিনের তারিখটিকে ‘বিশ্ব ছাত্র দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর পালিত হচ্ছে বিশ্ব ছাত্র দিবস।
আজ সেই দিন। সারা পৃথিবীর ছাত্রছাত্রীদের উদযাপনের দিন। নতুনভাবে তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়ার দিন।
ছাত্রছাত্রীদের কাছে শিক্ষক বা গুরুরা বহু ক্ষেত্রেই মা-বাবার সমতুল। আজ কয়েকজন কৃতী ‘ছাত্রী’র সঙ্গে কথা বলব। যাঁরা বিখ্যাত বাবা-মাকে ‘গুরু’র আসনে বসিয়ে পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। আত্মজাদের এই আলোকিত গুরু-বন্দনার মধ্যে দিয়েই শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদিত হবে আজকের দিনে জন্ম নেওয়া অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বের প্রতি।

আরও পড়ুন-আমরা সবাই এক-একজন বিয়ার গ্রিলস

শ্রাবণী সেন

আমি আজ যতটুকু গাইতে পারছি এর পিছনে আমার মা সংগীতশিল্পী সুমিত্রা সেনের অবদান বিরাট। বলা যায় পুরোটাই। ছোটবেলায় গান শিখেছি তাঁর কাছেই। যত্ন করে শেখাতেন। কোথাও কোনও সমস্যা হলে দেখিয়ে দিতেন। ভুল শুধরে দিতেন। মনে পড়ছে, আমার যখন ৮-৯ বছর বয়স, সেই সময় থেকে আমি গান শেখা শুরু করেছি। প্রথম প্রথম মা যে ঘরে ক্লাস করাতেন, তার পাশের ঘরে বসে শুনে শুনে গান শিখতাম। পরে বসেছি মায়ের ক্লাসে। সেটাও অল্প কিছুদিনের জন্য। কারণ ভয় পেতাম খুব। আমি মেয়ে বলে ক্লাসে মা কখনও বিশেষ পক্ষপাতিত্ব দেখাতেন না। অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের যেভাবে শেখাতেন, আমাকেও ঠিক সেভাবেই। পরবর্তী সময়ে আমি গান শিখেছি গীতবিতানে এবং মায়া সেনের কাছে। সেটাও মূলত মায়েরই উৎসাহে। এখনও প্রয়োজন পড়লে মায়ের কাছে গিয়ে বসি। কোনও গান আটকে গেলে মা দেখিয়ে দেন। আজও বাধ্য ছাত্রীর মতো প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করি। আগেও আমি মায়ের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। আজও আছি। ভবিষ্যতেও থাকব।

আরও পড়ুন-একাধিক স্কচ অ্যাওয়ার্ড বাংলার, শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

পৌলমী চট্টোপাধ্যায়

আমার বাবা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন প্রকৃত অর্থে আমার শিক্ষক। ওঁর কাছেই আমি সমস্ত কিছু শিখেছি। বাবার জীবনটাই ছিল একটা মস্তবড় উদাহরণ। জীবনে কোনো কিছু আমাদের উপর চাপিয়ে দেননি। দিয়েছেন অবাধ স্বাধীনতা। তবে ওঁকে দেখে, কাছে থেকে ওঁর জীবন-যাপন, রুচিবোধ সমস্তটাই আমাদের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। সময় পেলেই বই পড়তেন। প্রতি মুহূর্তে জানার চেষ্টা করতেন। নিজেকে ডুবিয়ে রাখতেন নানারকম সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে। আমাদের বলতেন, ‘চুপচাপ বসে না থেকে নিজেদের কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখো।’ কথাগুলো আমরা প্রতিমুহূর্তে মেনে চলার চেষ্টা করতাম। শিক্ষা নিয়েছি বই থেকে, জীবন থেকে। উনি বিদেশে যাওয়ার কথা কোনদিনই বলেননি। বলতেন, ‘নিজের দেশকে জানো। ভারতবর্ষে এত ঘোরার জায়গা আছে, দুচোখ মেলে ঘুরে দেখো। জানার চেষ্টা করো, বোঝার চেষ্টা করো নিজের দেশের মানুষকে। ভারতবর্ষের শিক্ষা সংস্কৃতিকে আপন করে নাও।’ ওঁর জন্যই বিদেশের প্রতি আমাদের তেমন কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি। বিভিন্ন ধরনের মিউজিক শুনতে শিখিয়েছেন। ওয়েস্টার্ন ক্লাসিক্যাল, হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল, সাউথ ইন্ডিয়ান ক্লাসিক্যাল। বই পড়ার পাশাপাশি কবিতা পড়ার প্রতিও ভালোবাসা জন্মেছিল ওঁর জন্যই। থিয়েটারের খুঁটিনাটি শিখেছি ওঁর কাছে। প্রকৃত অর্থেই উনি আমার শিক্ষক ছিলেন। আমি ছিলাম বাধ্য ছাত্রী।

আরও পড়ুন-ভবানীপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী

খেয়ালি দস্তিদার

আমার বাবা জোছন দস্তিদার, মা চন্দ্রা দস্তিদার। দু’জনেই অভিনয় জগতের মানুষ। এঁদের দেখেই আমি অভিনয় জগতে এসেছি। ছোটবেলায় মা আমাদের পড়াতেন। বাবা খুব একটা পড়ানোর সময় পেতেন না। নাটকের রিহার্সাল নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। রিহার্সাল হত আমাদের বাড়িতেই। ঘরটি ছোটবেলা থেকে আমাকে আকৃষ্ট করত। একটু বড় হওয়ার পর মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, থিয়েটার করব। মা ও বাবার মতো। টেন পাশ করার পর রিহার্সাল ঘরের দরজা আমার জন্য খুলে যায়। তখন বাবা-মাকে পেলাম অন্য রূপে। ওঁরা শিক্ষক-শিক্ষিকা, আমি ছাত্রী। যতদিন দু’জন বেঁচে ছিলেন, ততদিন ওঁদের কাছে শিখেছি। বরাবর ওঁরা আমার কাজের খুঁত ধরে গেছেন। করে গেছেন সমালোচনা। আমিও চেষ্টা করেছি নিখুঁত হওয়ার। বাবা যদিও কখনও সখনও ভাল বলতেন, মায়ের মুখে কোনওদিন ভাল শুনিনি। আজ আমি প্রতি মুহূর্তে দু’জনের অভাব অনুভব করি। কারণ এখন আর খুঁত ধরার কেউ নেই। আমাদের অ্যাক্টিং স্টাইলটা হল নন অ্যাক্টিং স্টাইল। বাবা যত্ন করে সেটা আমাদের বুঝিয়েছিলেন। আমরাও সেটা মনের মধ্যে গেঁথে নিয়েছিলাম। দূরদর্শনের ‘তেরো পার্বণ’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময় বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, ক্যামেরার সামনে কীভাবে অভিনয় করব। বাবা বলেছিলেন, ‘‘যেভাবে আমার সঙ্গে কথা বলছ, ঠিক সেভাবেই কথা বলবে।” তখন আমাদের সামনে ধারাবাহিকে অভিনয়ের কোনও বেঞ্চমার্ক ছিল না। বাবার পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে মেনে আমরা সাফল্য পেয়েছি। মঞ্চে অভিনয়ের আগে বাবা বলতেন, ‘‘এমনভাবে কথা বলতে হবে যাতে লাস্ট রোয়ে বসা দর্শকরাও শুনতে পান।” এইভাবে শেখাতেন কত কিছু। মন দিয়ে শিখতাম। আমি তাঁদের কাছে যতটুকু শিখেছি, পরবর্তী প্রজন্মকে আজ ততটুকু শেখানোর চেষ্টা করি।

আরও পড়ুন-শিক্ষক নিয়োগে বারবার মামলায় প্রকাশ্যেই অসন্তোষ বিচারপতিদের

ইন্দ্রাণী হালদার

আমার বাবা ছিলেন সঞ্জয় হালদার। তিনি অভিনয় করতেন। থিয়েটারে, ধারাবাহিকে। পাশাপাশি করতেন চাকরি। প্রযোজনাও করেছেন। তিনিই ছিলেন আমার প্রথম শিক্ষাগুরু। আমি অভিনয় জগতে আসার সুযোগ পেয়েছি ওঁর জন্যই। আমার উচ্চারণ যাতে স্পষ্ট হয়, সেই ব্যাপারে ছিল বাবার সজাগ দৃষ্টি। তার জন্য অবলম্বন করতেন বিভিন্ন পন্থা। বসতেন রবীন্দ্র রচনাবলী নিয়ে। বলতেন, ‘জোরে জোরে রিডিং পড়ো।’ আমি তাঁর সমস্ত কথা মেনে চলতাম। এইসব কারণে ছোটবেলা থেকে আমার উচ্চারণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। আমি অভিনেত্রী হবো বলেই যে বাবা এগুলো করাতেন তা কিন্তু নয়। আজ যখন অন্যদের মুখে আমার উচ্চারণের প্রশংসা শুনি, বাবার কথা খুব মনে পড়ে। খুব ভালো কবিতা বলতেন বাবা। আমরা ওঁর কাছে কবিতা বলা শিখেছি। কবিতার পাশাপাশি খুব সুন্দর গল্পও বলতেন। সেই পাঠের মধ্যে মিশে থাকতো নাটকের টুকরো টুকরো উপাদান। প্রতি রবিবার বসত গল্প বলার আসর। বাবা গল্পের বিভিন্ন চরিত্রকে অসামান্য দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলতেন। মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। এইভাবে আমি ভয়েস অ্যাকটিং শিখেছি বাবার কাছে। নিউ আলিপুরে ক্লাবের দুর্গা পুজোর সময় প্রতি বছর নাটক হত। বাবার পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছি। ওঁর মধ্যে ছিল বহু গুণের সমাহার। ছিলেন আমার জীবনের মস্ত বড় শিক্ষক, পথপ্রদর্শক। আজ তিনি নেই। তবু প্রতি মুহূর্তে তাঁর উপস্থিতি টের পাই। আমি আজ যতটুকু হতে পেরেছি, তার পিছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। পরবর্তী সময়ে অনেক বিখ্যাত মানুষকে গুরু হিসেবে পেয়েছি। তবে বাবাই শুরুতে আমার ভিতটা তৈরি করে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-বাজি পোড়ানোতে একাধিক নিষেধাজ্ঞা

বিদীপ্তা চক্রবর্তী

আমার বাবা বিপ্লবকেতন চক্রবর্তী। তিনি ছিলেন অভিনয় জগতের মানুষ। তাঁর ছায়াতেই বড় হয়েছি। হাওড়ায় আমাদের ছিল একান্নবর্তী সংস্কৃতিমনস্ক পরিবার। পরিবারে ছিল গানবাজনা, যাত্রা, নাটকের চল। চেতনা নাট্যগোষ্ঠীর জন্মলগ্ন থেকেই বাবা জড়িত ছিলেন। নাটক মারিচ সংবাদ এবং সেই সঙ্গে মেরি বাবার গানের জন্য কলকাতা সহ সর্বত্র বাবা জনপ্রিয়তা পান। নাটকটা আমরাও দেখেছি। ছোটবেলা বুঝতাম না কেন সবাই বাবাকে নিয়ে হইহই করেন। বাবা ছিলেন থিয়েটার অন্তপ্রাণ। থিয়েটারের পাশাপাশি সরকারি চাকরি করতেন। খুব ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে বহু থিয়েটার দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। দেখেছি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয়। এইভাবে আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিল থিয়েটার, সংস্কৃতি। ছয় বছর বয়সে প্রথম থিয়েটারে অভিনয় করি কলকাতার অ্যাকাডেমিতে। বাবার হাত ধরেই। সেই শুরু। তারপর আর থামতে হয়নি। পড়াশোনার পাশাপাশি চালিয়ে গেছি। বাবা প্রতিমুহূর্তে উৎসাহ দিয়েছেন। আমি গান গাইতে ভালবাসি। প্রথাগত তালিম নেই। গান ভালবাসার পেছনেও রয়েছে বাবার বড় অবদান। বাবা যে আলাদাভাবে অভিনয় শিক্ষা দিতেন তা নয়। তাঁর অভিনয় দেখে, তাঁর পরিচালনায় কাজ করে অনেকটাই শিখেছি। যদিও বাবার পরিচালনায় অভিনয় করেছি অনেক পরে। পড়াশোনা নিয়ে আলাদাভাবে বাবা চাপ দিতেন না। মন যা চায়, তাই করতে বলতেন। তবে চাকরির কথা বলতেন খুব। সেটা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য। অভিনয়ের পাশাপাশি আমি ১১ বছর চাকরিও করেছি। তারপরে স্বেচ্ছায় সেখান থেকে সরে এসেছি। দুটো একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছিলাম না। কারণ ততদিনে এসে গিয়েছিল মেগা সিরিয়াল। সেখানে অনেকটাই সময় দিতে হতো। বাবা নিজের কাজের প্রতি সৎ থাকার কথা বলতেন। মিথ্যে বলা পছন্দ করতেন না। কোনওদিন কাউকে আঘাত দিয়ে, বঞ্চিত করে এগোতে চাননি। তাঁর উন্নত ভাবনাচিন্তার বীজ তিনি বুনে দিয়েছিলেন আমার বোধের মধ্যে, মননের মধ্যে। তিনি ছিলেন আমার আদর্শ।

আরও পড়ুন-বারাসতে চলমান সিঁড়ির দাবি

সোহিনী সেনগুপ্ত

আমার মা স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। প্রকৃত অর্থেই তিনি ছিলেন আমার গুরু। সবকিছুই শিখেছি তাঁর কাছেই। মা নিজে খুব ভাল ছাত্রী ছিলেন। সেটা তাঁর জীবনে দারুণভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। মায়ের আইকিউ ছিল ভীষণ হাই। ইকিউ, এসকিউ সবকিছুই খুব হাই ছিল। মায়ের রান্নার হাত ছিল চমৎকার। গান গাইতেন অসাধারণ। খুব ভাল এমব্রয়ডারি করতেন। মায়ের আরও একটা মস্ত বড় গুণ, একেবারেই কিপটে ছিলেন না। দু’হাতে খরচ করতেন। হাতে পাঁচ টাকা থাকলে ছ’টাকা খরচ করার কথা ভাবতেন। এই সমস্ত গুণই আমাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। বিশেষত নিজেকে গড়ে তুলতে। বলতে পারি, শুধুমাত্র নাট্য শিক্ষা নয়, পাশাপাশি জীবন-শিক্ষাও আমি পেয়েছি মায়ের কাছে। মায়ের কিছু খারাপ গুণও যে পাইনি তা নয়। যেমন, মা ছিলেন খুব ইমোশনাল। মাঝে মাঝেই রেগে যেতেন। সেগুলোও আমার মধ্যে খানিকটা আছে। মানুষকে অসম্ভব বিশ্বাস করতেন। আমিও ঠিক তাই। অনেকেই জানেন না, মা ছিলেন একজন পশুপ্রেমী। এই গুণটাও আমি পেয়েছি। সব মিলিয়ে মা ছিলেন আমার জীবনের আদর্শ, আমার শিক্ষিকা, গুরু। আজ আমি যেটুকু হতে পেরেছি তার পিছনে মায়ের অবদান কোনওভাবেই অস্বীকার করা যায় না।

Latest article