‘বিজেপি নেতাদের ওপর সিবিআই-ইডি তল্লাশি কেন হবে না’ বাবুলের টুইটে বিপাকে গেরুয়া শিবির

শক্তিগড় শ্যুটআউটে কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি (BJP) নেতা রাজেশ ওরফে রাজু ঝার মৃত্যুর পর থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।

Must read

শক্তিগড় শ্যুটআউটে কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি (BJP) নেতা রাজেশ ওরফে রাজু ঝার মৃত্যুর পর থেকেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। আর ঠিক তারপরেই শনিবার রাত থেকে একের পর এক বিস্ফোরক টুইট করছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিল রাজু ৷ আসানসোলের বিজেপি সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময় রাজুকে দলে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি করেছিলেন বাবুল। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় কার্যত জোর করে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করিয়ে ছিলেন রাজুকে। আর অনুঘটকের কাজ করেছিলে স্থানীয়রা এক প্রভাবশালী বিজেপি নেতা। যা ছিল দুর্ভাগ্যজনক।

আরও পড়ুন-‘এ বার এরা বলবে চিনি না’ কয়লা মাফিয়া রাজুর বিজেপি যোগ নিয়ে টুইট বাবুলের

কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়, তাই বিজেপি নেতা রাজু ঝার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাবুল৷ পাশাপাশি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূলের গায়ক-মন্ত্রী৷ তিনি লিখেছেন, “আইন ভাঙলে আদালতেই তার বিচার হওয়া উচিত ৷” কেন তিনি এমনটা লিখলেন ? টুইটেই খোলসা করেছেন বাবুল ৷ রাজ্যের মন্ত্রী লেখেন, “এটা লিখছি কারণ এই রাজু ঝাকে নিয়েই আমার সঙ্গে বঙ্গবিজেপির যাঁরা আজ বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে চূড়ান্ত মতবিরোধ হয় ৷ রাজুকে ঘটা করে বিজেপিতে যোগদান করান দিলীপ ঘোষ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয় ৷” এরপর বাবুল ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে লিখেছেন, “এবার এঁরা বলবেন ‘চিনি না’!” প্রসঙ্গত, রাজু ঝা ২০২০ সালে দুর্গাপুরের পলাশডিহায় বিজেপিতে নাম লেখায় ৷ তখন রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ ৷ শনিবার রাতে শক্তিগড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কয়লা মাফিয়া তথা বিজেপি নেতার ৷ তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷

আরও পড়ুন-নান্দনিক ছায়াপথ

এরপর রাজু ঝা’র সঙ্গে বিজেপির তাবড় নেতাদের সম্পর্ক নিয়ে একটি টুইট করেন বাবুল, “রাজুরই হোটেল বিজেপির বড় বড় নেতারা ব্যবহার করতেন ৷” পরের টুইটে আরও বিস্ফোরক বাবুল ৷ তাঁকে দুর্নীতিতে জড়ানোর চেষ্টা করেছিল গেরুয়া শিবির ৷ তাঁর অভিযোগ, “আমাকে বদনাম করার জন্য দুর্গাপুরের একটা রোড শো তে আমার সব ব্যানারের নীচে ‘সৌজন্য রাজু ঝা’ লেখানো হয়েছিল ৷” তাই তাঁর দাবি, “প্রশ্ন এটাই যে এই বিজেপি নেতাদের ওপর সিবিআই-ইডি তল্লাশি কেন হবে না !” তিনি আরও লেখেন, “২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে আসানসোলের সিগনেচার হোটেলে একটি মিটিং হয়েছিল ৷ সেই ঘরে কৈলাসজিও ছিলেন ৷ সবার সামনে আমায় বলা হয়েছিল যে ‘জয়দেব মন্ডল’ নামক ‘জনৈকের’ সাহায্য ছাড়া ২০১৯-এর আসানসোল জিততে পারব না ৷ তিনগুন ভোটে জিতে ওদের জবাব দিয়েছিলাম ৷ তখন সব দুষ্ট নেতা একসাথে খুব ‘দুঃখ’ পেয়েছিলেন ৷”

আরও পড়ুন-গোপন তথ্য জেনে যাওয়ায় কি তবে খুন হতে হল বিজেপি নেতা রাজু ঝাঁকে?

টুইটে বাবুলের আরও প্রশ্ন ,”এই বিজেপি নেতাদের ওপর CBI-ED raid কেন? যাদের বিরুদ্ধে হয়েছে, আদালতে তাদের মামলা আইনের পথে চলছে চলুক। কিন্তু এই ‘দুষ্টু’ লোকগুলি CBI-ED-র লিস্ট থেকে কি করে vanish হচ্ছে? আপনাদের মনে হয় কোনো Logical জবাব দিতে পারবে বিজেপি? লক্ষণ বলে একজন ‘দুষ্টু’ বিধায়ক, যে আসানসোলের সভাপতি হওয়ার জন্য আমার বাড়িতে সকাল থেকে বসে থাকতো, সেই কৈলাশবাবুর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে এবং দিলীপবাবুর সাথে রাজুর ব্যাপারটা ‘ব্রোকার’ করেছিল। আমি ছেড়ে দিতে তাই ৫ লাখি চড় মেরেছে ওদের আসানসোলের জনতা।”

 

Latest article