যে কারণে তৃণমূলকে ভোট দেবেন

Must read

মণীশ কীর্তনীয়া : রবিবার ২৭শে আবার রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার মানুষ সকাল সকাল লাইনে দাঁড়াবেন। তবে নোটবন্দির কারণে লাইনে দাঁড়ানো নয়। নিজের এলাকার উন্নয়নের জন্য নিজের এলাকার জনপ্রতিনিধিকে বেছে নিতে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য আরও একবার লাইনে দাঁড়ানো। যেভাবে কিছুদিন আগে কলকাতা কর্পোরেশন ও এরপরে সদ্য হয়ে যাওয়া চার পুরনিগম নির্বাচনে মানুষ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের বিপুল জনাদেশ দিয়ে জিতিয়েছেন তাতে ১০৮টি পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রার্থীদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। মানুষ তাঁদের আশীর্বাদ করবেন। হতে পারে পুরসভার ভোট। কিন্তু ২০২৪-কে লক্ষ্য রেখে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এগোচ্ছে তাতে এই পুরসভার নির্বাচনগুলিই আগামীর ভিত শক্ত করছে, করবে। শক্তিশালী ভিতের ওপরই গড়ে ওঠে গগনচুম্বী ইমারত। এ তো গোড়ার কথা। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। কলকাতা কর্পোরেশন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। চারটি পুরনিগম তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার ১০৮টি পুরসভাতেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের নির্বাচিত করলে আখেরে যে লাভ তাঁদেরই। একসুতোয় গাঁথা যাবে উন্নয়ন। আর্থিক বরাদ্দের ক্ষেত্রেও সমান ভারসাম্য বজায় থাকবে পুরসভাগুলিতে সমন্বয় বজায় রেখে। এলাকার উন্নয়নের কাজেও সমন্বয় বজায় রাখা সহজ হবে জনপ্রতিনিধিদের। কারণ সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলর, পুরপ্রশাসন সবই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। যে কোনও সমস্যা মেটাতে তাই অযথা জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে না। পরিষেবা হবে মসৃণ। বিষয়টা অনেকটা যখন চাই তখন পাই-এর মতো। কাজ পেতে জুতোর শুকতলা খইবে না।

আরও পড়ুন – বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে ভোট দিন তৃণমূলে : কুণাল ঘোষ

দলনেত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের জন্য একের পর এক জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, যুবশ্রী, বার্ধক্য ভাতা, বেকার ভাতা, দুয়ারে সরকারের মতো জনমুখী প্রকল্প চালু করে সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চাহিদাগুলির সুরাহা করেছেন। এছাড়া রয়েছে ২ টাকা কেজি চাল, বিনামূল্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা। কলকাতার ঠান্ডা ঘরে বসে নয়, গোটা সরকারকে নিয়ে জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করে উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করা। কোনও কারণেই যাতে উন্নয়নের কাজ আটকে না থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিক জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধ করা। সর্বসমক্ষেই প্রয়োজনে পুরস্কার ও তিরস্কার দুই-ই করে থাকেন। এসব বাম সরকার কোনওদিন ভাবেওনি। আর বিজেপির ভাবার কোনও সুযোগ নেই। বাংলার মানুষ ২০২১-এর মেগা নির্বাচনে পদ্মকে বাতিল করেছে বাংলা। নেত্রী লড়াই করছেন বাংলার জন্য। আবারও বিশ্ব দরবারে শীর্ষে নিয়ে গিয়েছেন। দেশে একা দলনেত্রী কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন৷ সে নোটবন্দি হোক কিংবা এনআরসি কিংবা পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। দেশে বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে একজোট করেছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলিকে। এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে তিনিই গ্রহণযোগ্য প্রধান মুখ। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে তাঁর অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ কাজে লাগিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদবরা। নেত্রী লখনউয়ে গিয়েছেন। ২ মার্চ যাবেন বেনারস। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে চোখে চোখ রেখে। যে লড়াইয়ে দেশের মুখ হবেন দলনেত্রী।

Latest article