মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় ফিরেছে তাঁতের সুদিন, জমে উঠেছে হাট, ৭৫ হাজার তাঁতির মুখে চওড়া হাসি

বিক্রিবাটা প্রায় ছিল না বলেই বহু তাঁতি অন্য পেশায় চলে যান। খরা কাটিয়ে এবার ছন্দে ফিরেছে কালনার ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরের সরকারি তাঁত হাট

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : গত দু’বছর করোনার জন্য তাঁতিদের মুখে হাসি ছিল না। উৎসবের মরশুমে তাঁতের হাটগুলি ছিল শুনশান। বিক্রিবাটা প্রায় ছিল না বলেই বহু তাঁতি অন্য পেশায় চলে যান। খরা কাটিয়ে এবার ছন্দে ফিরেছে কালনার ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরের সরকারি তাঁত হাট। সমুদ্রগড় গণেশচন্দ্র কর্মকার বেসরকারি হাটেও পাইকারি ও খুচরো ক্রেতার ঢলে হাসি চওড়া হয়েছে তাঁতিদের।

আরও পড়ুন-দাদাসাহেব ফালকে আশা পারেখকে

অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত এই তিন তাঁতের হাটে ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি বিক্রি হয়েছে। সেই সঙ্গে তন্তুশ্রী রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় শিবির গড়ে তাঁতিদের কাছ থেকে সরাসরি কেনাকাটা করছে। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতায় বাংলায় তাঁতের সুদিন ফিরেছে। তাঁতের হাটগুলি আধুনিক হয়েছে।’’ এসটিকেকে রোড লাগোয়া ধাত্রীগ্রাম ও শ্রীরামপুরে বুধ ও শনিবার তাঁত কাপড়ের হাট বসে। উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের খুচরো ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা এখানকার সরকারি ও বেসরকারি হাট থেকে ম্যাটাডর, ট্রাক ভর্তি করে কাপড় নিয়ে যাচ্ছেন। কালনা মহকুমায় ৭৫ হাজারের উপর মানুষের জীবিকা তাঁত বোনা।

আরও পড়ুন-কোপ গরিব কল্যাণ যোজনায়

এলাকার তাঁতি পরিমল বসাক, প্রশান্ত বসাকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আগে মহাজনদের কাছে তাঁতবস্ত্র বিক্রি করতে হত। কারণ মহাজনরা আগাম টাকা দিয়ে রাখতেন তাঁতিদের। ফলে তাদের ঠিক করা দামেই বাধ্য হয়ে উৎপন্ন বস্ত্র তাদের হাতে তুলে দিতে হত। তাতে লাভ হওয়া দূরে থাক, কোনওক্রমে খরচটা উঠত। এখন সরকার তাঁতিদের থেকে সরাসরি কেনার ব্যবস্থা করায় লাভের মুখ দেখছেন তাঁতিরা। সমুদ্রগড় তাঁত কাপড় হাটের পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য সুবীর কর্মকার বলেন, ‘‘করোনার জন্য দু’বছর সাঙ্ঘাতিক মন্দা চলে। এবার ভাল ব্যবসা হচ্ছে।’’

Latest article