সিএবি থেকে নিলেন এনওসি, দরজা খুলে রেখে বঙ্গ বিদায় ঋদ্ধির

Must read

প্রতিবেদন : আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Bengal- Wriddhiman Saha)। বলেছিলেন, ছুটি কাটিয়ে শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই সিএবি থেকে এনওসি আনতে যাবেন। শুক্রবার কলকাতায় ফেরেন। আর শনিবার দুপুরে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে সিএবি আসেন ঋদ্ধিমান। সেই সময় সিএবি-তে ছিলেন সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া এবং সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। এদিনও বারবার সিএবি-র দুই শীর্ষকর্তা ঋদ্ধিকে অনুরোধ করেন সিদ্ধান্ত বদলে বাংলার হয়ে খেলার জন্য। কিন্তু মন গলেনি অভিমানী ঘরের ছেলের।

সিএবি সভাপতি এবং সচিব প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ঋদ্ধিকে বোঝানোর চেষ্টা করেন বাংলায় (Bengal- Wriddhiman Saha) থাকার জন্য। কিন্তু বাংলার হয়ে আর না খেলার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন ঋদ্ধি। সিএবি কর্তাদের অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার বলেন, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। সব কিছু চূড়ান্ত। তাই সিদ্ধান্ত বদল সম্ভব নয়। বাধ্য হয়েই তাঁকে এনওসি দিয়ে দেয় সিএবি।
ছাড়পত্র হাতে পেয়ে ১৫ বছরে বাংলার হয়ে ১২২ ম্যাচ খেলা ঋদ্ধিমান বলেন, ‘‘আমাকে সিএবি-র তরফে আগেও অনুরোধ করা হয়েছিল। এদিনও অনেকবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু আমি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। তাই এনওসি নিলাম। সিএবি-র কারও সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ইগোর লড়াই নেই। বাংলার জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল। ভবিষ্যতে যদি আমাকে প্রয়োজন হয়, পরিস্থিতি ঠিক থাকলে অবশ্যই সাহায্য করতে পারি।’’

আরও পড়ুন: বারাবনিতে নতুন কয়লা খনি গড়ে তুলবে রাজ্য

ত্রিপুরার মেন্টর কাম প্লেয়ার হিসেবে দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিমানকে। তবে তিনি বলেছেন, ‘‘এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। অনেক রাজ্যের সঙ্গেই কথা চলছে।’’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে কি বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া যেত না? ঋদ্ধির জবাব, ‘‘কী হলে কী হত সেটা ভেবে লাভ নেই। তাছাড়া নির্দিষ্ট একটি কারণেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

Latest article