মেঘে ঢাকা তারার নীতা
ছিন্নমূল হয়ে বন্যার স্রোতের মতো ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় এসে উদ্বাস্তু কলোনিতে আশ্রয় নেন মাধববাবু। ওপার বাংলায় শিক্ষক ছিলেন। কলোনিতে এসে তিনি শিক্ষকতার কাজই শুরু করলেন। পরিবারে আছে রুগ্ণ স্ত্রী, বড় মেয়ে নীতা, বেকার ছেলে শঙ্কর আর ছোট মেয়ে গীতা। সামান্য রোজগারে এতগুলো মানুষের ভরণপোষণ কখনওই সম্ভব নয়। সেই সময় বাবার পাশে এসে দাঁড়ায় নীতা। যুবতী নীতা সংসারের জোয়াল টানতে চাকরি নেয়। গানপাগল দাদার খরচ জোগানো, ছোটদের আবদার মেটানো, রুগ্ণ বাবা-মাকে দেখা— সব কাজ একাই করে নীতা। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমে সে খাটতে খাটতে ফুরিয়ে যেতে থাকে। শঙ্কর তার বোনকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে। তাকে স্যানিটারিয়ামে নিয়ে যায়। শঙ্কর একাই নিয়মিত যোগাযোগ রাখে বোনের সঙ্গে। দাদার কাছ থেকেই নীতা জানতে পারে বোন গীতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সনতের। যে সনৎকে নিয়ে একদিন ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিল নীতা। সনৎ-গীতার ছেলে হয়েছে। সেই সন্তানের আধো-আধো কথায় বাড়ি যেন জমজমাট। এসব শুনে দাদা শঙ্করের কাছে নীতা ভেঙে পড়ে, ‘দাদা আমি কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম। দাদা আমি বাঁচব। দাদা আমি বাঁচব।’ আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে নীতার এই আর্তকান্নায়। পাঠকেরা ধরে ফেলেছেন এ-প্রস্তাবনা কোন ছবিকে কেন্দ্র করে— ঠিকই ধরেছেন, ছবির নাম ‘মেঘে ঢাকা তারা’ (১৯৬০)। লেখক শক্তিপদ রাজগুরু। পরিচলনার দায়িত্বে ছিলেন ঋত্বিক ঘটক। তিনি চিত্রনাট্যকারও বটে। নীতার চরিত্রের রূপকার সুপ্রিয়া দেবী। এই ছবিতে তাঁর অভূতপূর্ব অভিনয় মাইলফলক হয়ে থাকবে বাংলা ছবির সাম্রাজ্যে।
আরও পড়ুন-রাজ্যের ক্ষতি করছেন বিরোধী দলনেতা
ছিন্নমূল জীবন
আসল সুপ্রিয়ার ব্যক্তিগত জীবনেও এমন ছিন্নমূল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। জন্ম তাঁর ১৯৩৩ সালের ৮ জানুয়ারি বার্মায় মিয়িতকিনায় (বর্তমানে মায়নামার)। তখন তাঁর নাম কৃষ্ণা। ডাকনাম বেণু। বাবা গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানকার তিনি আইনজীবী ছিলেন। মেয়ের নাচের প্রতি আকর্ষণ দেখে নাচের শিক্ষক রেখে দিয়েছিলেন। বার্মার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বালিকা কৃষ্ণার এক অনুষ্ঠানে নাচ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বাবার পরিচালনায় বালিকা কৃষ্ণা দুটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান জোরপূর্বক বার্মা দখল করে নেয়। ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে কিছুদিন উদ্বাস্তু শিবিরে তাঁরা এসে বসবাস করেন। পরে বাবার হাত ধরে বাঁচতে সদলবলে পায়ে হেঁটে কলকাতা চলে আসেন। সালটা ১৯৪৮। দক্ষিণ কলকাতায় বসবাস শুরু করেন তাঁরা। নাচের প্রতি আগ্রহ থাকার জন্য তিনি নাচ শিখতে শুরু করেন গুরু মারুথাপ্পা পিল্লাইয়ের কাছে। নাচ আরও শিখলেন গুরু প্রহ্লাদ দাসের কাছে। ভারতনাট্যম, কত্থক ইত্যাদি নাচে পারদর্শিনী কৃষ্ণা ছবিতে নাচের দৃশ্যে চূড়ান্ত সাফল্য দেখিয়েছেন। বিশেষ করে ‘আম্রপালি’ ছবিতে নামভূমিকায় নৃত্যপ্রদর্শনে।
আরও পড়ুন-লক্ষ্মী-মঞ্চ
সাংসারিক তিক্ততা
১৯৫৪ সালে সুপ্রিয়ার বিয়ে হয় দিল্লির রাজনৈতিক সংবাদদাতা বিশ্বনাথ চৌধুরির সঙ্গে। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তান সোমা। তবে যেহেতু ইতিপূর্বেই সুপ্রিয়া ছবির জগতে এসেছেন, তাই এই জগতের প্রতি একটা টান আছে। তাই মন চাইল আবার ছবির জগতে ফিরে আসতে। স্বামীর সেখানেই ছিল আপত্তি। অভিনয় নয়, বেণু ঘরসংসার করুক। সাংসারিক এই নিত্য-তিক্ততার হাত থেকে নিজেকে মুক্ত করলেন ১৯৪৮ সালে। মেয়েকে নিয়ে সরে এলেন স্বামীর বন্ধন থেকে। যখন দক্ষিণ কলকাতায় কুমারী কৃষ্ণা বাস করতেন, তখন তাঁদের প্রতিবেশী ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী চন্দ্রাবতী দেবী। তিনি কৃষ্ণাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন ছবির জগতে আসার ব্যাপারে। প্রখ্যাত পরিচালক নীরেন লাহিড়ী তখন ‘নাগপাশ’ নামে একটি ছবি করছিলেন, সেখানে সুযোগ পেলেন। কিন্তু ভাগ্য অতটা অনুকূল নয়। পয়সার অভাবে ছবিটি বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তির আলো দেখেনি ছবিটি। কিন্তু এই ছবিতে কাজের সুবাদে তাঁর নতুন নামকরণ হয় সুপ্রিয়া। তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি নির্মল দে পরিচালিত ‘বসু পরিবার’ (১৯৫২)। সেখানে তিনি উত্তমকুমারের বোনের ভূমিকায়। ওই একই বছর মুক্তি পেল সুপ্রিয়ার আরও দুটি ছবি— ‘মধুরাত্রি’ এবং ‘শ্যামলী’। সাংসারিক কারণে ছবির জগৎ থেকে সরে ছিলেন পাক্কা পাঁচটি বছর।
আরও পড়ুন-বাংলার অগ্রগতি তুলে ধরলেন মুখ্যসচিব
সংগ্রামী সুপ্রিয়া
সংগ্রাম তো অবিরত। সন্তান নিয়ে বাঁচতে আবার পেশা হিসেবে নিলেন অভিনয়কে। পেলেন ‘আম্রপালি’তে নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ। নাচে, অভিনয়ে তিনি সবাইকে মুগ্ধ করলেন। পাশে ছিলেন ছবি বিশ্বাস, অসিতবরণের মতো ডাকসাইটে শিল্পীরা। এবারে ডাক দিলেন ঋত্বিক ঘটক। ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেলেন। চূড়ান্ত সদ্ব্যবহার করলেন। ঋত্বিক ঘটকের পরের ছবি ‘কোমল গান্ধার’-এও তিনি নায়িকা। উত্তমকুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম ছবি ‘সোনার হরিণ’ (১৯৫৯)। বাম্পার হিট ছবি। এই জুটি শুধু রিল লাইফেই (পর্দায়) নয়, রিয়েল লাইফেও (বাস্তবে) ঘর বাঁধলেন। সে-ও এক অভিনব ইতিবৃত্ত। ১৯৬৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর উত্তম-পত্নী গৌরী দেবীর জন্মদিনের সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এমন মনোমালিন্য ঘটেছিল যে, গিরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে আর থাকবেন না প্রতিজ্ঞা করে বসলেন। যাবেন কোথায়? অনেক ভেবেচিন্তে এসে হাজির হলেন সুপ্রিয়া দেবীর ময়রা স্ট্রিটের ফ্ল্যাটে। বললেন, ‘তুমি আমাকে আশ্রয় দেবে?’ স্বামী-বিচ্ছিন্না সুপ্রিয়া কোনও দ্বিধা না করেই হাসিমুখে দরজা উত্তমকুমারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। আত্মজীবনীতে উত্তমকুমারের অকপট স্বীকারোক্তি— ‘ময়রা স্ট্রিটের এই ফ্ল্যাট আমার প্রথম-প্রথম মানসিক শান্তি হিসেবে তুলনাহীন।’
আরও পড়ুন-খেজুরির কর্মিসভায় ঐক্যের বার্তা তৃণমূলের
সম্মানেও, অসম্মানে
অসম্মান জুটেছে এই সূত্রে। উত্তমকুমার অসুস্থ হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন ময়রা স্ট্রিটের ফ্ল্যাট থেকে। তাঁর ডেডবডি কিন্তু পৌঁছেছিল গিরিশ মুখার্জি রোডে গৌরী দেবীর কাছে। সতেরো বছরের একসঙ্গে ঘরবাঁধা সত্ত্বেও গিরিশ মুখার্জি রোডের বাড়িতে সুপ্রিয়ার কিন্তু কোনও এক্তিয়ার ছিল না। সম্পত্তি নিয়েও কম ঝামেলা হয়নি। সুপ্রিয়া-কন্যা সোমাকে দত্তক নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু সংগ্রামের মাঠ ছেড়ে কখনওই সরেননি সুপ্রিয়া।
আরও পড়ুন-নবম-দশমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু
উত্তমের নায়িকা
নায়িকা সুপ্রিয়া উত্তমের বিপরীতে কাজ করেছেন মোট ৩০টি ছবিতে। ছবিগুলি হল : সোনার হরিণ, উত্তর মেঘ, শুন বরনারী, অগ্নিসংস্কার, নিশীথে, উত্তরায়ণ, সূর্যশিখা, লাল পাথর, শুধু একটি বছর, কাল তুমি আলেয়া, জীবনমৃত্যু, তিন অধ্যায়, সবরমতী, মন নিয়ে, চিরদিনের, বিলম্বিত লয়, জীবন জিজ্ঞাসা, অন্ধ অতীত, ছিন্নপত্র, বন পলাশীর পদাবলী, রক্ততিলক, বাঘবন্দী খেলা, সন্ন্যাসী রাজা, মোমবাতি, বহ্নিশিখা, ভোলা ময়রা, দুই পুরুষ, দুই পৃথিবী, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী, ইমন কল্যাণ। এর মধ্যে অধিকাংশ ছবি আজকের ভাষায় সুপার ডুপার হিট। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ না পেলেও, ঋত্বিক ঘটক-সহ সেই সময়ের বাংলার সব বিখ্যাত পরিচালকের ছবিতে তিনি নায়িকা। যে তালিকায় আছেন অগ্রদূত (চিরদিনের, অগ্নিসংস্কার, উত্তরায়ণ), অগ্রগামী (নিশীথে, বিলম্বিত লয়), অজয় কর (শুন বরনারী), অসিত সেন (স্বরলিপি, স্বয়ম্বরা), যাত্রিক (ছিন্নপত্র, নগর দর্পণে, যদি জানতেম), মঙ্গল চক্রবর্তী (সোনার হরিণ, তিন অধ্যায়), হীরেন নাগ (জীবনমৃত্যু, সবরমতী), সুশীল মজুমদার (লাল পাথর), পীযূষ বসু (জীবন জিজ্ঞাসা, সন্ন্যাসী রাজা, বাঘবন্দী খেলা, সিস্টার, দুই পৃথিবী), সলিল সেন (মন নিয়ে), সলিল দত্ত (সূর্যশিখা), শচীন মুখোপাধ্যায় (কাল তুমি আলেয়া), রাজেন তরফদার (আকাশছোঁয়া), পিনাকী মুখোপাধ্যায় (চৌরঙ্গী) প্রমুখ পরিচালক। উত্তমকুমার যে তিনটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন (শুধু একটি বছর, বনপলাশীর পদাবলী এবং কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী) তিনটিতেই নায়িকা সুপ্রিয়া দেবী। তিনি নায়িকা হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে (অয়নান্ত, স্বরলিপি, স্বয়ম্বরা, যদি জানতেম), বিশ্বজিতের বিপরীত (চৌরঙ্গী), নির্মলকুমারের বিপরীতে (বিষকন্যা, অভিসারিকা, হারানো প্রেম), অনিল চট্টোপাধ্যায়ের বিপরীতে (সম্রাট, অগ্নিসংস্কার), অসীম কুমারের বিপরীতে (কাজল, সুরের পিয়াসী), দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে (আকাশছোঁয়া) প্রমুখ নায়কের বিপরীতে সুপ্রিয়া নায়িকার চরিত্রে নিজেকে ঠিক মানিয়ে নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-কানপুরে শৈত্যপ্রবাহ, ঠান্ডার জেরে একদিনে মৃত ২৫
হিন্দি ছবিতে
হিন্দি ছবির জগতে সুপ্রিয়াকে নিয়ে গিয়েছিলেন কিশোরকুমার। ‘দূর গগন কি ছাঁও মে’ ছবিতে তিনি কিশোরকুমারের বিপরীতে। ডাক পেলেন মোহনকুমারের কাছ থেকে। নায়িকা হলেন ‘আপ কি পরছাইয়া’ ছবিতে। বিপরীতে ধর্মেন্দ্র। ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে আরেকটি ছবিতে নায়িকা হলেন ‘বেগানা’। বোম্বের পাঠ চুকিয়ে আবার কলকাতায় ফিরে এলেন।
চরিত্রাভিনেত্রী হিসেবে
সুপ্রিয়ার জীবন শুরু হল ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ ছবিতে, এখানে তিনি লক্ষ্মীর শাশুড়ির চরিত্রে। এ ছাড়াও কাজ করলেন সোনাম রাজা, নীলাঞ্জনা, ত্রিধারা, লেডি ডাক্তার, মিত্তির বাড়ির ছোট বউ, জীবন নিয়ে খেলা, আত্মীয় স্বজন প্রভৃতি ছবিতে। তাঁর শেষ অভিনীত ছবি (ইংরেজি ছবি)— যার নাম হল ‘দ্য নেমসেক’ (২০০৬)।
আরও পড়ুন-রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে রদবদল, এডিজি পদে মনোজ বর্মা
রঙ্গমঞ্চে
পেশাদারি রঙ্গমঞ্চের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। প্রথমে এলেন বিশ্বরূপা থিয়েটারে বিমল মিত্রের লেখা ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ নাটকে। লক্ষ্মীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় দেখতে মানুষের ঢল নামত। সেই মঞ্চে তিনি নায়িকা হয়েছেন বিমল মিত্রের ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘সব ঠিক হ্যায়’ প্রভৃতি নাটকে। বিশ্বরূপা ছাড়াও স্টার থিয়েটারে বেশ কিছুদিন ‘বালুচরী’ নাটকে নায়িকা হয়েছেন। যাত্রাপালাতেও অংশ নিয়েছিলেন। ‘পাষাণ প্রতিমা’ যাত্রাপালায় তাঁর অভিনয় যাত্রামোদীদের মন ভরিয়ে ছিল।
ছোটপর্দায়
বিভিন্ন ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন সুপ্রিয়া দেবী। ‘জননী’ ধারাবাহিকের নামভূমিকায় তাঁর অভিনয় দর্শকেরা কোনও দিন ভুলতে পারবেন না। এ ছাড়া টিভিতে তাঁর একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘বেণুদির রান্নাঘর’ একসময় খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। রান্না নিয়ে তাঁর লেখা ‘বেণুদির রান্নাবান্না’ পাঠকমহলে সমাদৃত গ্রন্থ। ‘আমার উত্তম’ আরেকটি সাড়াজাগানো গ্রন্থ।
আরও পড়ুন-শিলিগুড়ির উন্নয়নের সহায়তায় ব্রিটিশ হাইকমিশন
শ্রেষ্ঠ সম্মানে
প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন জীবনে। বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিচারে শ্রেষ্ঠ নায়িকা হয়েছেন ‘তিন অধ্যায়’ ছবি থেকে ১৯৬৮ সালে। শ্রেষ্ঠ সহ-নায়িকা হয়েছেন ‘ছিন্নপত্র’ ছবি থেকে ১৯৭২ সালে। রাষ্ট্রপতি-প্রদত্ত পদ্মশ্রী সম্মান পেয়েছেন ২০১৪ সালে। রাজ্য সরকার-প্রদত্ত সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বঙ্গবিভূষণ’ পেয়েছেন ২০১১ সালে। মানুষের ভালবাসার পুরস্কার পেয়েছেন সারা জীবন। তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি।