অভিযোগ যথার্থই ছিল, প্রমাণ করেছেন অভিজিতই

এর আগেও একাধিকবার তাঁর সম্পর্কে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে প্রশ্ন করা হলে তিনি একই উত্তর দিয়েছেন।

Must read

প্রতিবেদন : ওঁর সম্বন্ধে যত কম বলা যায় ততই ভাল। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারব্যবস্থাকে ‘এক্সপোজ’ করেছেন। এতদিন আমরা যে অভিযোগ করতাম, অভিজিৎবাবু তা সঠিক প্রমাণ করেছেন। উনি বিচারপতির চেয়ারে থেকে বিজেপিকে অ্যাপ্রোচ করেছিলেন। বিজেপি তা অ্যাকসেপ্ট করেছে। তমলুকের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এভাবেই প্রাক্তন বিচারপতি ও বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও একাধিকবার তাঁর সম্পর্কে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে প্রশ্ন করা হলে তিনি একই উত্তর দিয়েছেন।

আরও পড়ুন-আজ মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের সভা ও রোড-শো

তার কারণ, যিনি বিচারপতির চেয়ারে বসে অন্য রং মুখে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন, রায় দেন এবং পরিশেষে দেখা যায় তিনি বিজেপিতে যাবেন সেটা অনেক আগেই স্থির হয়ে আছে তখন তাঁর দেওয়া রায়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন। কিন্তু তখন তা নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা ছাড়া বিশেষ কিছুই হয়নি। কিন্তু বিচারপতির চেয়ার থেকে সরে গিয়ে সটান বিজেপিতে যোগ দেওয়া এবং পরে তমলুক থেকে প্রার্থী হওয়া, সবটাই আগেই বোঝা গিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্ররা এনিয়ে বারবার অভিযোগ করেছিলেন। এবং তাঁর দেওয়া রায় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেটাই পরবর্তীকালে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিচারব্যবস্থার প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের, একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু সাম্প্রতিককালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো আরও দু’একজন বিচারপতি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছেন বলেই পরবর্তী অধ্যায়গুলি তৈরি হয়েছে। এবং রায় দিতে গিয়ে যেসব বাছাই করা শব্দবন্ধ অবজারভেশনের নামে নিজের মনের মতো করে সবটা করাব তা তো হতে পারে না! ফলে অদূর ভবিষ্যতে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় চলে গেলেও তাঁর ছায়া রয়ে গিয়েছে। এবং কোনও কোনও ক্ষেত্রে একটু বেশিই। তাঁরাও রায় দিতে গিয়ে অবচেতন মনে এবং নিজেদের তথাকথিত মনের ডাক শুনে রায় দিয়েছেন। তাই সকলের না হলেও কোনও কোনও বিচারপতির রায় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই সেই পথ প্রশস্ত করে গিয়েছেন।

Latest article