বকেয়া আদায়ে মোদিকে চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক জানলেন ‘দম হ্যায় তো রোখকে দিখাও’

Must read

বাংলার মানুষের টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বারবার অনুরোধেও টাকা মেটানো হয়নি। বকেয়া আদায়ে এবার কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি জানালেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বকেয়া আদায়ে দিল্লি চলো অভিযান হবে। কোনও নেতার ক্ষমতা নেই বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রাখার। দম হ্যায় তো রোখকে দিখাও।”

শনিবার পুরুলিয়ায় বাঘমুণ্ডিতে তৃণমূলের জনসভা থেকে অভিষেক (Abhishek Banerjee) জানান, “আপনারা বিধানসভায় পুরুলিয়ায় ৬ টি আসনে বিজেপিকে জিতিয়েছেন, ফলস্বরূপ ১০০ দিনের কাজের সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা ওরা আটকে দিয়েছে। ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার যোগ্য প্রাপকের বাড়ির তালিকা দিয়েছিল সরকার, সে টাকাও ওরা আটকে দিয়েছে। এই বিজেপি বাংলায় জিততে পারেনি বলে একমাত্র বাংলার টাকা আটকেছে। এখন টাকা আদায়ে বাংলার মানুষের কাছে ৩টে রাস্তা আছে অনুরোধ, পায়ে পড়া ও অধিকারের লড়াই। ইতিমধ্যেই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, পঞ্চায়েত মন্ত্রী, সাংসদদের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন কিন্তু কাজ হয়নি। সৌজন্যতা অনেক দেখিয়েছি। বাকি রয়েছে পায়ে পড়া ও অধিকারের লড়াই।” একিসঙ্গে অভিষেক বলেন, “নরেন্দ্র মোদি ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়ে উত্তর প্রদেশে রামমন্দির বানাচ্ছে। ৫ হাজার কোটি দিয়ে নিজের প্রচার করেছে। আবাসের ৮ হাজার কোটি দিয়ে মোদি নিজের বিমান কিনেছে। বাংলার টাকা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে দেওয়া হচ্ছে।”

আরও পড়ুন- রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই অনুব্রতকে গ্রেফতার! অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর

এরপরই মেরুদণ্ড শক্ত রেখে অধিকারের লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে গর্জে ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এদের উদ্দেশ্য দুর্নীতি আটকানো নয়, ইডি সিবিআইকে লাগিয়ে দিয়ে এরা মানুষকে দুটো অপশন দেয় হয় বিজেপিতে এসো নাহলে জেলে যাও। ১০ লক্ষ লোক দিল্লি গেলে কোনও নেতার ক্ষমতা নেই টাকা আটকায়। আপনাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমার, লড়াই আমি সংগঠিত করব। অনেক সৌজন্যতার রাজনীতি হয়েছে আর নয়, এবার চোখের সামনে থেকে অধিকার ছিনিয়ে আনব। দম হ্যায় তো রোখকে দিখাও। আমি চ্যালেঞ্জ করছি কোনও নেতার ক্ষমতা নেই টাকা আটকে রাখার। প্রয়োজনে শীর্ষ আদালতে যাব। কোর্টের করিডোরেও যাব, মানুষের দরবারেও যাব। কিন্তু মানুষের প্রাপ্য টাকা ছিনিয়ে আনব।”

Latest article