পাঁচ বছরে হয়েছে পঁচিশ কোটির দুর্নীতি, হলদিয়ায় তোলা আদায়ের পর্দাফাঁস

Must read

সংবাদদাতা, হলদিয়া : হলদিয়া (Haldia) বন্দরে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ কোটি টাকার দুর্নীতি ও তোলা আদায় হয়েছে বলে জানাল হলদিয়া মহকুমা পুলিশ। সাংবাদিক সম্মেলন করে হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পান্ডের দাবি, এই সময়ে হলদিয়া বন্দরে যত পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকত তাদের একটা স্লিপ দেওয়া হত। সেই স্লিপ তৎকালীন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদকের অফিস থেকে ইস্যু করা হত। যাদের কাছে স্লিপ থাকত কেবল তারাই লোডিং-এর সুযোগ পেতেন। সেই সময় প্রতিদিন ৭০০ এর বেশি ট্রাক বন্দরে ঢুকত। সেই স্লিপ এর মূল্য প্রথমে ৫০ টাকা দিয়ে শুরু হলেও, তা ব্ল্যাকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হত। যারা স্লিপ নিত না, তাদের পেশি শক্তি ব্যবহার করে বন্দরে ঢুকতে দেওয়া হত না। এর পেছনে সেই সময়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক শক্তিশালী ও প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। আর সেই প্রভাবশালী নেতার জন্যই এতদিন কেউ সাহস করে অভিযোগ জানাতে পারেনি। মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের আরও দাবি, পুলিশ ২০২১-এর জুলাইয়ের পর তদন্তে ৫০-এর অধিক ব্যক্তিকে নোটিশ দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ৬ জনের বেশি ব্যক্তির গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত সমস্ত নথি দ্রুত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চায় পুলিশ।

আরও পড়ুন-শ্রমদিবস সৃষ্টিতে দ্বিতীয় বাংলা

উল্লেখ্য, হলদিয়ার (Haldia) পরিবহণ ব্যাবসায়ী মুবারক আলির অভিযোগের ভিত্তিতে হলদিয়া থানার পুলিশ ২০২১ সালের ১২ জুলাই একটি মামলা রুজু করে। তৎকালীন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক সহ তার দুই অনুগামী রাজীব পাল ও কালুর বিরুদ্ধে এই মামলায় সরাসরি অভিযোগ ছিল। তদন্তে নেমে রাজীব পাল ও কালুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরা দুজন তদন্তে সাহায্য করে। ফলে অনেক নথি ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পুলিশ সিজ করেছে। এরপরই শ্যামল আদক হলদিয়া থানার তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি রক্ষাকবচের দাবিও করেন। সেই আর্জিতে সায় দেয় আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর তদন্ত করতে আসরে নামে সিবিআই। হলদিয়া থানার কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র চান সিবিআই আধিকারিকরা। হলদিয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাহুল পান্ডে বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সমস্ত নথি এবং তদন্তের কপি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Latest article