দূষণ থেকে রেহাই নেই দিল্লিবাসীর

Must read

প্রতিবেদন : ভয়াবহ বায়ুদূষণের হাত থেকে এই মুহূর্তে রেহাই পাচ্ছে না রাজধানীবাসী (Air Pollution- Delhi)। বৃষ্টিতে যে সাময়িক স্বস্তি মিলেছিল তা আপাতত উধাও। সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে দেদার আতশবাজি ফাটানো হয়েছে দীপাবলিতে। তারপর থেকেই প্রবল ধোঁয়াশার দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। বাতাসের গুণমানের ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে রেহাইয়ের আশা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। দূষণের জেরে শ্বাসকষ্ট-সহ একাধিক শারীরিক উপসর্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের রিপোর্ট অনুসারে, বুধবার দিল্লির আনন্দ বিহারে একিউআই লেভেল ছিল ৪৩০, আর কে পুরমে ছিল ৪১৭, পাঞ্জাবি বাগে ৪২৩ এবং জাহাঙ্গীর পুরীতে ৪২৮। সবগুলিই অতি বিপজ্জনক স্তরে।
একদিকে প্রতিকূল আবহাওয়া, অন্যদিকে বিষাক্ত ধোঁয়াশায় ঢেকেছে রাজধানীর (Air Pollution- Delhi) আকাশ। দুইয়ে মিলে দমবন্ধকর পরিস্থিতি দিল্লিতে। এরই মধ্যে রাজ্যের আম আদমি পার্টির সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকার পারস্পরিক দোষারোপে ব্যস্ত। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সরকার বাজি ফাটানো বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই বলেছেন, বিজেপির নিয়ন্ত্রণে থাকা দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আতশবাজির আমদানি রোধ করার জন্য। তা করতে তাঁরা ব্যর্থ। উল্টে, আতশবাজি ব্যবহারের জন্য সাধারণ মানুষকে প্ররোচিত করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তাই দীপাবলির পর দিল্লির দূষণের এই মারাত্মক অবস্থা। এদিকে রাজধানীতে বাতাসের মান ক্রমাগত খারাপ হওয়ার কারণে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী তাঁর চিকিৎসকের পরামর্শে কয়েকদিনের জন্য দিল্লি ছেড়ে জয়পুরে চলে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের অমানবিক আচরণে কর্মচ্যুত ১০০ দিনের শ্রমিকরা, শতাধিক মানুষের কাজ ফেরাল রাজ্য

Latest article