রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ আর তার অদূরে দ্বারকেশ্বর নদের ওপারে আটলা গ্রাম। সেই গ্রামেই জন্মে ছিলেন, বামদেব। অদ্ভুত একমায়া শক্তি জয়ী সাধক ছিলেন তিনি! কখনও বামাচরণ শ্মশানে জ্বলন্ত চিতার কাছে বসে থাকতেন, কখনও বাতাসে কথা বলতেন যেন-বা। আর ছেলেবেলার দৌড় কাটিয়ে এভাবেই তিনি বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছেছেন, আপন মহিমায়। তাঁর বিরোধিতার কারণেই, তাঁর নাম বামাচরণ থেকে ক্রমেই সর্বসাধারণ তাঁকে বামাক্ষ্যাপা বলে ডাকতেন। ক্ষ্যাপা মানে পাগল। তিনিও সারা শ্মশানে এবং তারাপীঠ জুড়ে খ্যাপামিই করতেন। বীরভূমের আটলা গ্রামের মানুষ তাঁকে অর্ধ পাগলই মনে করত। কিন্তু তিনি তা ছিলেন না! তিনি ছিলেন তন্ত্রসাধক বামদেব। শক্তির আরাধনায় তিনি সিদ্ধাই হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-দু’মাসের মধ্যেই নিয়োগ মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে : সুপ্রিম কোর্ট
বাংলার বীরভূমের আটলা নামক একটি গ্রামে বামাচরণ নামে এক শিশুর জন্ম হয়। সন্তানের জন্মের কিছুদিন পরই তার বাবা মারা যান। মাও গরিব, তাই সন্তান লালন-পালনের সমস্যা হয়েছিল। তাই তাঁকে তাঁর কাকার কাছে পাঠানো হয়। মামা থাকতেন তারাপীঠের কাছে এক গণ্ডগ্রামে। সাধারণ অনাথদের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়।
গ্রামের শ্মশানে আসা সাধুবাবাদের সাহচর্যে থাকতে থাকতে বামাচরণেরও দেবীর প্রতি ঝোঁক বাড়তে থাকে। অনুরাগের জন্ম হয়। ধীরে ধীরে সে তারা মাকে, তাঁর বড় মা বলে ডাকে।
আরও পড়ুন-সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু ৪ ডিসেম্বর
সে দিনটি ছিল ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। মঙ্গলবার। ভগবতী তারার সিদ্ধির জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধ মুহূর্ত। তখন গভীর রাত! সে সময় বামাক্ষ্যাপা জ্বলন্ত চিতার পাশে শ্মশানে বসে ছিলেন একাকি। যখন নীল আকাশ থেকে আলো ফুটে চারদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ে, সে সময় গা ছমছম করে ওঠে বামার। শোনা যায়, সেই একই আলোকে বামাচরণ মা তারার দর্শন পেয়েছিলেন। সে কালী মায়ের রূপ ছিল ভয়ঙ্কর! কোমরে বাঘের চামড়া পরা! এক হাতে অস্ত্র। এক হাতে মাথার খুলি, এক হাতে নীল পদ্ম ফুল, আর এক হাতে খড়্গ। মা তারা মাথায় হাত রাখাতে বামাক্ষ্যাপা সেখানে সমাহিত হয়। সমাধি অবস্থায় তিনি ৩ দিন এবং ৩ রাত শ্মশানে অবস্থান করেন। ৩ দিন পর জ্ঞান ফেরে তাঁর এবং জ্ঞান ফেরার সঙ্গে সঙ্গে বামা চিৎকার করে এদিক ওদিক দৌড়াতে থাকেন। গ্রামবাসীরা নিশ্চিত হয় যে বামা সম্পূর্ণ পাগল হয়ে গেছে। বামার এই অবস্থা একমাস ধরে চলল।
আরও পড়ুন-দমবন্ধ অবস্থা থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলল বৃষ্টিস্নাত দিল্লিতে
তারও কিছুদিন পর, ভগবতী তারা সেখানকার রানির কাছে স্বপ্নে আবির্ভূত হন। তিনি তাঁকে নির্দেশ দেন যে শ্মশানের কাছে আমার জন্য একটি মন্দির তৈরি করুন এবং বামাকে পুরোহিত করা হোক সেই মন্দিরের। পরদিন থেকে মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিছু দিনের মধ্যেই মন্দিরের কাজ শেষও হয় এবং বহু চক্রান্তের শেষে বামাকে মন্দিরের পুরোহিত করা হয়। বামা সেদিন খুব খুশি হয়েছিলেন। তাঁর বড় মা তাঁর সঙ্গে আছে জেনে।
অনেক পান্ডা এই অর্ধ পাগলকে এমন মন্দিরের পুরোহিত করতে দেখে পছন্দ করেন। তারা বামাক্ষ্যাপাকে তাড়াবার পথ খুঁজতে, ষড়যন্ত্র শুরু হয়। বামাক্ষ্যাপার কাজগুলো ছিল অদ্ভুত অদ্ভুত। কখনো কখনো সারাদিন তিনি মন্দিরে বসে পুজো করতেন তারার। কখনও কখনও তিনি দু’-তিনদিন পুজো করতেন না। কখনও দেবীকে মালা পরাতেন আবার কখনও নিজে মালা পরতেন। এই প্রক্রিয়াগুলির কোনওটিই পুরোহিতদের সঙ্গে, শাস্ত্রীয় পুজো পদ্ধতির সঙ্গে ঠিক মিলত না।
আরও পড়ুন-কর্মসূচির দিনই ডাকছে, এজেন্সি দিয়ে হেনস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ অভিষেকের
একদিন এমন হল যে, যখন প্রসাদ তৈরি হল এবং মন্দিরে পৌঁছানোর পরে, দেবীকে ভোগ নিবেদনের আগেই, বামাক্ষ্যাপার মনে চিন্তা এল যে এটির স্বাদ নেওয়ার দরকার আছে। এটি মায়ের খাবারের যোগ্য কি না, দেখতে হবে। এরপর আর কোনও চিন্তা ছিল না। প্রসাদের থালায় হাত ঢুকিয়ে মুখে দিলেন স্বাদ নিতে। চেখে দেখার পর যখন ঠিক মনে হল, তখন বাকি প্রসাদটা মাকে দিলেন নিবেদন করে। লোকচক্ষুতে এসব মেনে নিতে পারছিলেন না, মন্দিরের অনেকেই। খেপে উঠলেন তাঁরা। এত বড় সুযোগ পণ্ডিতরা কেন হাতছাড়া করবেন! বামা দেবীর প্রসাদ খেয়েছেন বলে তাঁরা তোলপাড় সৃষ্টি করলেন মন্দির চত্বর। এই ঘটনায় দেবী রাগান্বিত হলেন। সারা গ্রামকে তাঁর ক্রোধ বহন করতে হবে, এমন স্বপ্নাদেশ হল। এই শুনে গ্রামবাসীরা বামাচরণকে কঠোরভাবে মারধর শুরু করেন। তাঁকে মারধর করে, মন্দির থেকে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর মন্দিরটি পুরোহিতদের দখলে চলে যায়। শুদ্ধিকরণসহ সমস্ত প্রক্রিয়া করে শুদ্ধ করা হয় দেবীকে। ওই দিন পুরোহিতদের কথামতো পুজো হয়।
আরও পড়ুন-নজরদারি চালাতে নয়া ফন্দি কেন্দ্রের
এদিকে বামার যখন জ্ঞান ফিরল, তখন বামাক্ষ্যাপা মায়ের উপর ভীষণ রেগে গেলেন। আর চিৎকার করে বললেন, আমি কী দোষ করেছি মা যে আমাকে মারধর করলি। মাকে দেওয়ার আগে খাবারটি সুস্বাদু কি না তা পরীক্ষা করছিলাম। এতে আমার কী ভুল ছিল, বল মা! আমি তোকে সুস্বাদু খাবার দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম এবং চেয়েছিলাম ভাল স্বাদের প্রসাদ পান মা। স্বাদ খারাপ হলে ফেলে দিতাম আর একটা বানিয়ে ফেলতাম, তবে তুই অকারণে আমাকে মারধর খাওয়ালি মা। আমি এখন থেকে আর তোর কাছে আসব না। বামাক্ষাপার মনের অবস্থা ছিল ঠিক যেমন শিশুরা তাদের মায়ের উপর রাগ করে, কোণে লুকিয়ে থাকে ঠিক তেমন। বামাচরণ আর তাঁর তারা মায়ের সম্পর্ক ছিল রক্তমাংসের মা-ছেলের মতো। তারা মা তাঁর সন্তানের যন্ত্রণা সইতে পারেননি। সেই রাতেই রানির স্বপ্নে দেখা দিলেন দেবী তারা মা। রাগান্বিত মা রানিকে ভর্ৎসনা করলেন, তোমার পুরোহিতরা আমার ছেলেকে আঘাত করেছে। আমি তোমার মন্দির ছেড়ে চলে যাচ্ছি, এও বললেন মা তারা। এবার তোমাকে আর তোমার রাজ্যকে আমার ক্রোধ সইতে হবে। তুমি যদি তা এড়াতে চাও, কাল আমার ছেলেকে ফিরিয়ে এনে আবার মন্দিরে আমার পুজোর দায়িত্ব দাও। নইলে কিন্তু পরিণতি ভোগ করতে প্রস্তুত থাকো। রানি আতঙ্কে বিছানায় উঠে বসে পড়লেন। সেই রাতে রানির রাত্রি যাপন করাও কঠিন হয়ে পড়ল। সারা রাত জেগে কাটালেন তিনি। পরের দিনই তিনি ছুটে গেলেন মন্দিরে। সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়ার সঙ্গে রানি তাঁর লোকজন নিয়ে মন্দিরে পৌঁছে যান। এই ঘটনায় তিনি সমস্ত পান্ডাকে তিরস্কার করলেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করলেন। সেইসঙ্গে তিনি তাঁর ভৃত্যদের আদেশ দিলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বামাক্ষ্যাপাকে নিয়ে আসতে হবে মন্দিরে ফিরিয়ে। তারা বামাক্ষ্যাপাকে খুঁজতে লাগল। এক ভৃত্য তাঁকে গুহায় বসে থাকতে দেখে, ভৃত্য গিয়ে বিষয়টি রানিকে জানাল। অবশেষে রানি নিজেই পৌঁছে গেলেন গুহায়। বামা তাঁর উপরও রাগ প্রকাশ করলেন। তারপর রানির কথায় ফিরে এসে, মন্দিরের সেবাপুজোর দায়িত্ব নেন তিনি।
আরও পড়ুন-তুমি আশেপাশে থাকলে
শক্তিরঙ্গ বঙ্গভূমের অন্যতম প্রধান শাক্তপীঠ তারাপীঠ। ঠিক কবে এই পীঠস্থান আবিষ্কৃত হয়, তা যেমন সঠিক জানা যায় না। তেমনই সুস্পষ্ট নয় তারাদেবী সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়গুলিও। অতিপ্রাচীন দেবী-শিলা মা উগ্রতারা, বশিষ্ঠদেবের পরম্পরা, সর্বোপরি দিব্যপুরুষ বামাচরণ চট্টোপাধ্যায় বা বামাক্ষ্যাপাকে ঘিরে চলিত রয়েছে অসংখ্য কিংবদন্তি। রহস্যের পরে রহস্য আবৃত রেখেছে এই শক্তিপীঠকে আজও। তারাপীঠ ৫১ পীঠের অন্তর্বর্তী নয়। ‘মহাপীঠপুরাণ’-এ উল্লিখিত পীঠস্থান-তলিকায় তারাপীঠের উল্লেখ নেই। জনমানুষে অবশ্য একথা অনেকদিন ধরেই প্রচলিত রয়েছে যে, সতীর তৃতীয় নয়ন এখানে পড়েছিল। তবে পুরাণাদি গ্রন্থে কোনও সমর্থন পাওয়া যায় না। এই ‘তৃতীয় নয়ন’-এর কাহিনিকে প্রতীকী ধরে বিচার করলে একথা বোঝাই যায়, তারাপীঠ এক মহাশক্তির কেন্দ্র। পরবর্তী কালে গণবিশ্বাস এবং পুরাণ একত্র হয়ে তারাপীঠ-মহিমাকে অন্য মাত্রা প্রদান করে। বীরভূমের এই তারাপীঠ আসলে একটি ‘সিদ্ধপীঠ’। সুদূর অতীত থেকে এখানে বহু সাধক এসেছেন তপস্যা করার জন্য। তাঁদের সিদ্ধিলাভেই ধন্য হয়েছে এই পীঠ। এই পীঠের মহিমা অন্য শক্তিপীঠগুলির চাইতে একেবারেই আলাদা।
আরও পড়ুন-যত আঙুল তুলবে ততই সংঘবদ্ধ হবে তৃণমূল: চন্দ্রিমা
তারার উল্লেখ মূলত রয়েছে বজ্রযানী বৌদ্ধ ধর্মে। আবার দশমহাবিদ্যা স্তোত্রেও তিনি উপস্থিত। ‘তারারহস্য’ ও অন্যান্য তন্ত্রগ্রন্থ পাঠে বোঝা যায়, তারা কাল্ট অতি প্রাচীন। বজ্রযান গড়ে উঠেছিল মহাযানবাদ এবং লোকধর্মের মিশ্রণে। সেখানে দেবী তারার অবস্থিতি বেশ গুরত্বপূর্ণ। দশমহাবিদ্যা স্তোত্র অবশ্য অনেক পরের রচনা। সেখানে তারার উল্লেখ থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।
আরও পড়ুন-তুমি আশেপাশে থাকলে
তারাপীঠ মন্দিরের স্থাপত্য খুই সাধারণ। তবে এই মন্দির-স্থাপত্যে বাংলার নিজস্ব স্থাপত্য ভাবনার ছাপ আছে। চালা ডিজাইনের মন্দির বাংলার ঐতিহ্যকেই ব্যক্ত করে। এখানে মায়ের শিলারূপ ঢাকা থাকে একটি আচ্ছাদনে। সেই আচ্ছাদনকেই মাতৃরূপের প্রতীক ধরা হয়। এই মূর্তিই তারামূর্তি হিসেবে ঘরে ঘরে পূজিতা। তারাপীঠ মহাঋষি বশিষ্ঠের সাধনপীঠ হিসেব প্রসিদ্ধ। ঐতিহাসিকভাবে এই বশিষ্ঠ ঠিক কে, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। তিনি কি মাহাকাব্য-পুরাণে উল্লিখিত বশিষ্ঠ! সম্ভবত বশিষ্ঠ একটি সাধক-পরম্পরা। এই পরম্পরারই কোনও মহাত্মা এখানে সিদ্ধিলাভ করেন। তারাপূজার অন্তর্গত গুরুপঙতি পূজায় বশিষ্ঠানন্দনাথের পূজা করতে হয়, আমার ধারণা ইনি কোনও নাথযোগী-তারাসাধক! ইনিই সেই বশিষ্ঠ, শ্রী রামচন্নের গুরু বশিষ্ঠ নয়। তারাপীঠ মহাশ্মশান আজও বহু তান্ত্রিকের বিচরণক্ষেত্র। তন্ত্রে উল্লিখিত শ্মাশানক্রিয়া সমাধা করতে সারা দেশ থেকে শাক্ত সাধকরা এখানে আসেন। তারাপীঠ দ্বারকা নদের তীরে অবস্থিত। দ্বারকা উত্তরবাহিনী জলধারা। উত্তরবাহিনী জলস্রোত কুলকুণ্ডলিনীর ঊর্ধ্বগতির প্রতীক। এর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বিপুল।
আরও পড়ুন-মা কালী অতীত ও ভবিষ্যৎ
তারাপীঠের অদুরেই ‘মলুটী’-তে মা তারার আর একটি সাধনক্ষেত্র বামদেব বাবার লীলাক্ষেত্রও বটে। তারাপীঠে প্রাচীন কালীক্ষেত্র। বহু সাধক সেখানে সিদ্ধিলাভ করেন। এটি একটি প্রাচীন সিদ্ধপীঠ। ১৬৯২ খ্রিস্টাব্দে নাটোরের রানি অন্নদাসুন্দরী বীরভূমের আশাদুল্লার সঙ্গে রাজত্ব বিনিময় করে তারাপীঠ এলাকাটি নেন। সে সময় তিনি মন্দিরটি সংস্কার করান। রানিই নিত্যভোগ আর নিত্যপুজোর ব্যবস্থা করেন। তিনিই সেবাইত প্রবর্তন করেন। ২০০১-এ মন্দিরের নাটমন্দির এবং ২০০৫ সালে নতুন মন্দির হয় মন্দিরস্থলে। জীয়ৎকুণ্ড বা জীবিত কুণ্ড বাঁধানো হয়। এই পুকুরের নানা গল্প রয়েছে। বশিষ্ঠের সিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ।
আরও পড়ুন-ভূত চতুর্দশীতে সে আসছে…
তারাপীঠ শ্মশানে শ্বেত শিমুলের তলায় পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে চীনাচার মতে মদ-মাংস সহযোগে, সাধনা করলেই নাকি সিদ্ধিলাভ হয়। এই শ্মশানে বশিষ্ঠের পর বিশেক্ষ্যাপা, আনন্দনাথ, মোক্ষদানন্দ, কৈলাসপতি, বামাক্ষ্যাপা, নগেনকাকা, তাপাক্ষ্যাপা নিগমানন্দ, শঙ্করবাবা এখানে সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছেন। তারাপীঠ মন্দির, জীবিতকুণ্ড, ছোটবাবার সাধন পীঠ, মুক্তমালিনীতলা, সন্তান সংঘের কালীতলা, জয় দত্তের স্মৃতিমন্দির, বামদেবের মন্দির, রথ, আনন্দময়ী আশ্রম, শ্মশানের শিমুলতলা, দূরে নিমতলা দর্শনীয় স্থান। হাজারের কাছাকাছি হোটেল গড়ে উঠেছে এখন তারাপীঠে।
বর্তমানে একটি ব্যবসায়িক স্থান তারাপীঠ।