শস্যবিমায় অন্তর্ভুক্ত আরও ১৫ লাখ

চলতি খরিফ মরশুমে এপর্যন্ত রাজ্যের ৫৪ লক্ষ কৃষক বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি।

Must read

প্রতিবেদন : চলতি খরিফ মরশুমে এপর্যন্ত রাজ্যের ৫৪ লক্ষ কৃষক বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় এসেছেন। গত বছরের তুলনায় তা প্রায় ১৫ লক্ষেরও বেশি। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নবান্নে জানিয়েছেন, এবার ৬১ লক্ষ কৃষক বাংলা শস্যবিমা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৫৪ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকিদের নথিভুক্তকরণের কাজ এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। প্রায় ২৩ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমির ফসলবিমার আওতায় এসেছে বলে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ছয় জেলা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, মালদা ও মুর্শিদাবাদের শস্যহানির পরিমাণ নির্ধারণের প্রক্রিয়া বিমা সংস্থাকে দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কাজ শেষ হলেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আরও পড়ুন-নাম বদল করে জালিয়াতি

উল্লেখ্য, খরিফ মরশুমে ধান ও ভুট্টা এই দু’টি ফসলের জন্য রাজ্য সরকারের শস্যবিমা প্রকল্পের সুযোগ মেলে। এই প্রকল্পের প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচ রাজ্য সরকার বহন করে। ব্যাঙ্ক বা সমবায় সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করতে গেলে বিমা করা বাধ্যতামূলক। আগে ঋণের জন্য যে অর্থ দেওয়া হত তার মধ্যে বিমার প্রিমিয়ামের টাকা নেওয়া হত। এখন ঋণ নিয়ে চাষ করলেও যাতে সেটা না হয় তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কৃষি দফতর। রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষিবিমা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার বৃষ্টি কম হওয়ায় যেসব জেলায় ধানচাষ মার খাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় সেখানে শস্যবিমা করানোর জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হয়। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া প্রভৃতি জেলায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হয়েছে। সব জেলাতেই এবার বেশি সংখ্যক চাষিকে শস্যবিমার আওতায় আনতে অতিরিক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তার সুফল পাওয়া গিয়েছে।

Latest article