বিটিং দ্য রিট্রিট: এবার বাদ গান্ধীজির প্রিয় গান!

এবার ফের তা বাদ। এটি ১৯ শতকে স্কটল্যান্ডের অ্যাংলিকান হেনরি ফ্রান্সিস লাইট লিখেছিলেন। খ্রিস্টান প্রার্থনা সংগীত হিসাবে এটির জনপ্রিয়তা রয়েছে।

Must read

অনন্ত গুছাইত, নয়াদিল্লি : দেশের সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের সমাপ্তি অনুষ্ঠান ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’-এ এবার শোনা যাবে না ‘অ্যাবাইড উইথ মি’ গানটি। এই গানটি জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর খুব পছন্দের ছিল। ১৯৫০ সাল থেকে ২৯ জানুয়ারি বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানে গানটি বাজানো হয়। মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাক্কালে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার তাতেও কোপ বসাল কেন্দ্রের মোদি সরকার। শনিবার বিটিং দ্য রিট্রিট-এ অন্তর্ভুক্ত করা যে ২৬টি গানের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে নেই গান্ধীজির প্রিয় ‘অ্যাবাইড উইথ মি’ গানটি। বিজেপি জমানায় যেভাবে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়েছে এরকম নানা কাজে সেই মানসিকতারই প্রতিফলন দেখছেন অনেকে। যেভাবে সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে নিভিয়ে দেওয়া হল ঐতিহাসিক অমর জওয়ান জ্যোতির শিখা, তেমনভাবেই এবার বাদ গান্ধীর প্রিয় সংগীতও।

আরও পড়ুন-বিজেপিতে ডামাডোল

প্রসঙ্গত, বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানটি সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনের সমাপ্তি চিহ্নিত করে৷ প্রতি বছর ২৯ জানুয়ারি বিজয় চকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঠিক যখন সূর্য রাইসিনা পাহাড়ের উপর অস্ত যায়, সেই সময় রাজপথে সামরিক ব্যান্ডের মাধ্যমে সংগীতের মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এই প্রথমবারই গানটিতে কোপ পড়ল এমন নয়। এর আগে, এই বিজেপি জমানাতেই ২০২০ সালে বিটিং দ্য রিট্রিটের অনুষ্ঠান থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গানটি। কিন্তু বহু সমালোচনার পর অ্যাবাইড উইথ মি’কে গত বছরের উদযাপনে আবার যুক্ত করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন-বিরাটকে শো-কজ, ওড়ালেন সৌরভ

এবার ফের তা বাদ। এটি ১৯ শতকে স্কটল্যান্ডের অ্যাংলিকান হেনরি ফ্রান্সিস লাইট লিখেছিলেন। খ্রিস্টান প্রার্থনা সংগীত হিসাবে এটির জনপ্রিয়তা রয়েছে। ১৯৫০ সালে ভারত সাধারণতন্ত্র ঘোষিত হওয়ার পর বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠানটি দু’বার বাতিল করতে হয়েছিল। ২৭ জানুয়ারি ২০০৯-এ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কটরমন-এর মৃত্যুর কারণে এবং ২৬ জানুয়ারি ২০০১-এ গুজরাত ভূমিকম্পের কারণে বাতিল হয়েছিল বিটিং দ্য রিট্রিট অনুষ্ঠান। সরকারি কর্মসূচি অনুযায়ী, এবারের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিউগল দিয়ে। এর পরে সৈনিকদের গণ ব্যান্ড এবং ছয়টি সুরের পর পাইপস এবং ড্রামস ব্যান্ড হবে। কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ব্যান্ডের তিনটি সুর বাজবে। এরপর এয়ারফোর্স ব্যান্ডের চারটি সুর বাজবে, যার মধ্যে থাকবে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট এল এস রূপচন্দ্রের একটি বিশেষ ফাইটার টিউন।

Latest article