আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্রিকেট সংস্থা বিসিসিআইকে রাজনীতির বাইরে রাখল না বিজেপি

বোর্ড অফ কন্ট্রোল অফ ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াকে বিজেপি কন্ট্রোল ওভার ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া করে ছাড়ল, আর তার সঙ্গে সঙ্গে ঘৃণ্য রাজনীতির চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করল

Must read

বোর্ড অফ কন্ট্রোল অফ ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়াকে বিজেপি কন্ট্রোল ওভার ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া করে ছাড়ল, আর তার সঙ্গে সঙ্গে ঘৃণ্য রাজনীতির চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি শুধু বাংলা বা বাঙালির নয়, সারা দেশের গর্ব, সবার দাদা, যিনি একজন দক্ষ প্রশাসক, ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে যিনি টিম ইন্ডিয়া কনসেপ্ট নিয়ে এসেছিলেন, যিনি ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন ও একাধিক কৃতিত্বের অধিকারী করেছিলেন ভারতীয় দলকে, তিনি আজ বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতির শিকার।

আরও পড়ুন-কথা রাখল পর্ষদ, শুরু ইন্টারভিউ, আবেদনও

মহামান্য আদালত রায় দিয়েছিলেন যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আরও তিন বছর থাকতে পারেন, অথচ আমরা দেখলাম তার বাড়িতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি চর্বচোষ্য করে সদলবলে ডিনার করে গেলেও বিজেপিতে যোগদান না করার কারণে ও তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে প্রার্থী না হওয়ার জন্য এবং বাংলার একাধিক সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকার জন্য ও পশ্চিমবাংলার বাসিন্দা হওয়ার কারণে তাঁকে অন্যায় ভাবে বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।
অথচ যিনি জীবনে কোনওদিন ক্রিকেট ব্যাট ধরেননি, সামান্য সময়ে যাঁর সম্পত্তির পরিমাণ প্রশ্নসূচকভাবে ১৬ হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই অমিত শাহর সুপুত্র জয় শাহকে সম্পাদক-পদে পুনর্বহাল রাখা হল।

আরও পড়ুন-কড়া আক্রমণে বিরোধীদের ফায়দা তোলার চেষ্টা ধূলিসাৎ, করুণাময়ীর কুৎসার জবাব দিল তৃণমূল

শুধু তা-ই নয় বিজেপির বিধায়ককে কোষাধ্যক্ষ করে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের ভাইকে আইপিএলের চেয়ারম্যান করে ও একাধিক বিজেপির নেতা-নেত্রীর আত্মীয়দের বিভিন্ন পদাধিকারী করে বিসিসিআইকে সম্পূর্ণরূপে গৈরিকীকরণ করে ছাড়ল ভারতীয় জুমলা পার্টি।
বাংলার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিকে অনুরোধ করেছিলেন বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য ও ক্ষতিপূরণ হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আইসিসিআই-এর চেয়ারম্যানের পদে ভারতবর্ষ থেকে মনোনীত করার জন্য।
কিন্তু সেখানেও দেখলাম শুধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে পাঠাবেন না বলে এবং আগামী দিনে ক্রিকেট-অজ্ঞ জয় শাহকে হয়তো সেই পদে মনোনীত করবেন বলে এইবার ভারতের চেয়ারম্যান হওয়া প্রায় সুনিশ্চিত থাকলেও আমাদের দেশ থেকে কারও নাম পাঠানো হল না।
ধিক্কার জানাই বিজেপির এই সংকীর্ণমনা রাজনীতিকে।

আরও পড়ুন-ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি বিদ্যুৎ দফতর

দেশের মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে এবং বাংলা ও বাঙালির প্রতি আরও একবার এই চরম অপমান আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।
এর প্রতিবাদ তীব্রভাবে থাকলই।
ছিঃ বিজেপি ছিঃ—

Latest article