ভোটারদের প্রশ্নে দিশেহারা বিজেপি

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : পুরভোটে প্রচারের কৌশল ঠিক করবেন কী, ভোটারদের সামনে তাঁদের তোলা প্রশ্নের মুখে পড়ে রীতিমতো ঢোঁক গিলতে বাধ্য হচ্ছেন বিজেপি (BJP) নেতা-প্রার্থীরা। পুরুলিয়ার ভোটাররা গলা তুলে বিজেপির প্রচারের দলকে নিজেরাই সমঝে দিচ্ছেন, তাঁরা কতটা সচেতন। শুনিয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড কোথায় কী কী কাজ করেছে। কোথায় কতখানি উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচার করতে গেলে বিজেপির প্রতিনিধিদের মানুষ শুনিয়ে দিচ্ছেন, আপনারা কী উন্নয়ন করবেন? তৃণমূলের উন্নয়নযজ্ঞের খতিয়ান মুখের উপর পেশ করছেন মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসকে নিজেদের সপক্ষে কিছুই বলতে হচ্ছে না। তৃণমূলের (TMC) বক্তব্য, খেলা চলছে। জনগণ বনাম বিজেপির খেলা। আমরা এখন দর্শকের ভূমিকায়।

আরও পড়ুন: স্বনির্ভররা এগিয়ে এলেন অন্যদের দাঁড় করাতে

শুক্রবার বিজেপির (BJP) একটি দল বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়েছিল। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাজেশ সহিস, রাজু লোহার, ঝুলন রাজোয়াড়, বাপি দাস পরিষ্কার তাঁদের মুখের উপর বলে দেন, বিজেপি কী উন্নয়ন করবে? সব তো তৃণমূল বোর্ড করে দিয়েছে। আরও অনেক প্রকল্পের কাজ চলছে। এই ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁকেই মানুষ প্রশ্ন করছেন, এলাকা উন্নয়নে তিনি কী কাজ করেছেন? বিজেপির মালুম হল, এলাকার মানুষ কতটা সচেতন। স্পষ্ট হয়ে উঠল, প্রচারে জৌলুস হারিয়ে ফেলে তারা এখন সত্যিই দিশাহারা। এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী বিদায়ী পুর প্রশাসক চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি। তিনি বলেন, বিদায়ী পুরবোর্ডের সবচেয়ে বড় সাফল্য বাড়ি বাড়ি নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া। এখন শহরে আর জলের সমস্যা নেই। সাহেব বাঁধের ধারে থাকা নিকাশি নালার আউটলেট থেকে জল ফিল্ট্রেশনের ব্যবস্থা চালু হয়েছে। পুরসভার সমস্ত কাজ অনলাইনে হচ্ছে। মানুষের হয়রানি কমেছে। রাস্তাঘাট, নিকাশি, সাফাই নিয়ে মানুষের কোনও সমস্যা নেই। পানীয় জলের বাকি সংযোগের কাজ শিগগিরই হয়ে ষাবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইস্যু নেই বলে বিজেপি লাফঝাঁপ করতে পারছে না। ভোট ভাগাভাগির স্বপ্ন দেখছিল ওরা। নির্দলদের বহিষ্কার করে আমরা ওদের সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছি। এলাকার মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন।

Latest article