‘মহাভারতের রচয়িতা কৃত্তিবাস’, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিপাকে বিরোধী দলনেতা

সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের (political personality) মন্তব্য নিয়ে মিম বা ট্রোলিং ভিডিও বানানো একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে

Must read

সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের (political personality) মন্তব্য নিয়ে মিম বা ট্রোলিং ভিডিও বানানো একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বক্তব্য নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। সম্পূর্ণ বক্তব্য না শুনেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় তাঁর বক্তৃতা।

আরও পড়ুন-বৃষ্টিতে প্লাবিত ভারত মণ্ডপম, কেন্দ্রকে নিশানা সাকেতের

ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিবেকানন্দ পড়ুন ও জানুন, পঞ্চানন বর্মা পড়ুন ও জানুন, নজরুল পড়ুন ও জানুন…, মহাভারত, নজরুল ইসলাম লিখেছিলেন, বেদ-বেদান্ত বাইবেল-ত্রিপিটক, গ্রন্থ সাহেব-জেন্দা বেস্তা পড়ে যাও।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যটি ভালো করে শুনলে এটা স্পষ্ট যে তিনি কখনোই বলতে চাননি মহাভারত এর রচয়িতা কাজী নজরুল ইসলাম। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য নিয়েই উষ্কানীমূলক মন্তব্য করতে গিয়ে এবার বিপাকে পড়লেন বিরোধী দলনেতা।

আরও পড়ুন-বর্ধমান ঢুকে নড়ল না বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

সম্প্রতি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে রাজনীতির ময়দানে বিরোধী দলনেতা মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দা করতে গিয়ে নিজের মূর্খতা জনসমক্ষে এনে ফেললেন। আদতে যে তিনি নিজেই জানেন না মহাভারতের রচয়িতা কে সেই কথা প্রকাশ্যে এসে গেল। তিনি বলেন, ‘মহাভারত কৃত্তিবাস ওঝা লিখেছেন, নজরুল ইসলাম নন’। এক্সে (পূর্ববর্তী টুইটার) এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তরফে লেখে হয়, ‘শুভেন্দু অধিকারী আত্মবিশ্বাসের সাথে ঘোষণা করেছেন যে মহাভারত প্রখ্যাত মহাকবি কৃত্তিবাস ওঝা লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে ওঝার প্রধান অবদান ছিল তাঁর রামায়ণ (এবং মহাভারত নয়) বাংলায় অনুবাদ করা। বাঙালির আবেগ, অনুভূতি ও রুচির দিকে লক্ষ্য রেখে সর্বজনবোধ্য পদ্যে মূল সংস্কৃত রামায়ণের ভাবানুবাদ করেন তিনি। কিন্তু দিল্লিতে তার প্রভুদের প্রতি দাসত্ব শুভেন্দু অধিকারীকে সত্যিই শিকড়ের কাছে একেবারেই অপরিচিত করে তুলেছে!’

 

Latest article