থিমের ভিড়েও সগর্ব উপস্থিতি জরি শিল্পের

Must read

অনুরাধা রায়: থিমের ভিড়ে হারিয়ে যাননি তাঁরা। বরং বেড়েছে কাজের পরিমাণ। ভাল আছেন কুমোরটুলির জরি শিল্পীরা। দু’বছর করোনার কারণে ভাটা পড়েছিল কাজে। কিন্তু এই বছর ফিরে এসেছে চেনা ব্যস্ততা। প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলছে তাঁদের কাজ। তৈরি হচ্ছে মুকুট, কানবালা, সীতাহার। কয়েক পুরুষ ধরে জরি শিল্পের (Brocade Industry) সঙ্গে যুক্ত শিল্পী প্রদীপ দের পরিবার। এখন তাঁর ছেলে প্রসূন দেও এসেছেন বাবা-ঠাকুরদা-র এই শিল্পে। কুমোরটুলির কয়েকটি গলি পেরিয়ে তাঁদের জরি (Brocade Industry) কারখানায় এখন চরম ব্যস্ততা। কাঠের টুলের ওপর বসে আর্ট পেপারে একের পর এক নকশা নিমেষে এঁকে ফেলছেন ষাটোর্ধ্ব প্রদীপ দে। জরি বসিয়ে সেই ডিজাইন কোনওটা হচ্ছে প্রতিমার মুকুট, কোনটা আবার হার, বা রতনচূড়। বছর ২০-২২-এর ছেলেমেয়েদের সেই গয়না তৈরির তালিম দিচ্ছেন প্রদীপবাবুর ছেলে প্রসূন। এখন তো থিমের রমরমা। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই হয় প্রতিমার গয়না। জরির বাজার কেমন? শিল্পী প্রদীপ দে নকশা আঁকতে আঁকতেই বললেন, আমাদের বাজারে কোনও ভাটা পড়েনি। বরং দিন দিন বেড়েছে ব্যস্ততা। থিম যতই হোক প্রতিমার সাজে জরি লাগেই। তবে করোনার সময় খুব খারাপ দিন গিয়েছে। এবার আবার সব স্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে গিয়েছে আমাদের কাজ। এরপর যাবে মধ্যপ্রদেশেও। কলকাতা বা জেলায় তো আমাদের তৈরি প্রতিমার গয়না প্রচুর যায়। শিল্পীদের জন্য এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। নতুন প্রজন্মও জরির গয়না তৈরিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার ছেলে তার উদাহরণ। আগামী প্রজন্মের আগ্রহ তৈরি করতে পারছি, এটাই আমাদের কাছে বড় পাওনা।

আরও পড়ুন: কাশীপুরে তরুণের আত্মহত্যা নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা, এবার কেন নিশ্চুপ

Latest article