ক্যাগ রিপোর্টে ফেঁসে গেল বামেদের বেলুন

Must read

প্রতিবেদন : নিয়োগ দুর্নীতির শুরু বাম আমলেই। তৃণমূলের এই অভিযোগকে সিলমোহর দিল ক্যাগের (CAG report) আইটি অডিট রিপোর্ট। সেই সঙ্গে ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ল বেড়াল। সামনে এল সিপিএম নেতাদের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। ওই রিপোর্টেই পরিষ্কার— মেধাতালিকায় গরমিল থেকে শুরু করে তথ্যবিকৃতি, নম্বর বাড়ানো— সবই হয়েছে ২০০৯ ও ২০১০ সালে বাম আমলের স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষায়। ২০০৯ সালের স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির পর্দাফাঁস হয়ে গেল এই রিপোর্টে। সেই সঙ্গে সামনে এল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের কীর্তি! বৃহস্পতিবার এই রিপোর্টটি সামনে আনেন তৃণমূল মুখপাত্র ও কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী। সেই রিপোর্টে পরিষ্কার ২০০৯ ও ২০১০ সালে স্কুলে হেডমাস্টার নিয়োগ, ২০০৯ ও ২০১০ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ, ২০১০ সালে স্কুলে কেরানি নিয়োগ, ২০১০ সালে গ্রুপ-ডি নিয়োগ আর ২০১০ সালে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগের পুরোটাই অনিয়ম, বেনিয়মে ভরা। বাম আমলে এই সব নিয়োগই হয়েছিল অবৈধভাবে। সেটাই উঠে এসেছে এই আইটি অডিট রিপোর্টে (CAG report)। রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৫০ হাজার প্রার্থীর স্কোরশিট অডিট রিপোর্টের সঙ্গে মিলছে না। এতেই পরিষ্কার, বাম আমলেও নিয়োগে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। ক্যাগের রিপোর্টের পাতায় পাতায় এই তথ্য ফুটে উঠেছে। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে শুধু একটি পরীক্ষাতেই ৩২,৯৭০ জন প্রার্থীর নম্বর রহস্যজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছিল। এ-ছাড়া পরীক্ষায় না বসেও গ্রুপ ডি-র প্যানেলে ঠাঁই হয়েছে একাধিক প্রার্থীর। পরীক্ষায় পাশ করার পরও যোগ্য প্রার্থীদের পার্সোনালিটি টেস্টে ডাকা হয়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। সবমিলিয়ে বাম আমলে স্কুলে নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির ছবি সামনে উঠে এসেছে। এখন কী বলবেন সকাল-সন্ধে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের দিকে আঙুল-তোলা বাম নেতারা?

আরও পড়ুন: বাম আমলে চিরকুটে চাকরির প্রথম প্রমাণ

Latest article