টোল-বকেয়া ২ কোটির উপর আদায়ে সক্রিয় পূর্ত দফতর

পূর্ত দফতরকে দ্রুত বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময় নিয়েও প্রতিশ্রুতি পালন না করেই ফের ৯০ লক্ষ টাকারও বেশি বকেয়া রাখে সে।

Must read

সংবাদদাতা, কাটোয়া : বারবার আবেদন করেও ফল না মেলায় ২ কোটি টাকার উপর বকেয়া আদায়ে মঙ্গলকোটের অজয় নদের উপর লোচনদাস সেতুর ইজারাদার সামসুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পূর্ত দফতর। সেই সঙ্গে সেতুর টোল আদায়ও বন্ধ করে দেওয়া হল।

আরও পড়ুন-নবজোয়ারের এক মাস পূর্তিতে কলকাতায় সমাবেশ তৃণমূলের

দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগকারী অন্যতম এই সেতুর একদিকে পূর্ব বর্ধমান, অন্যদিকে বীরভূম জেলা। সেতু পার হয়ে বাদশাহি সড়ক ধরে অনায়াসে কলকাতা থেকে বর্ধমান হয়ে উত্তরবঙ্গ যাতায়াত করা যায়। এই সেতুটি বিভিন্ন কারণে বীরভূম, মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমানের মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সেতুর টোল আদায়ের জন্য পূর্ত দফতরের সঙ্গে চুক্তি হয় ইজারাদার সামসুদ্দিন শেখের। অভিযোগ, বকেয়া না মিটিয়েই দিনের পর দিন সেতু থেকে টোল আদায় করছে ইজারাদার। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে দরপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। তারপরও সামসুদ্দিন টোল আদায় করছিল।

আরও পড়ুন-আকাশ ম্যাজিকে জিতল মুম্বই

সূত্রের খবর, নতুন ইজারাদার নিয়োগের পর ফের চালু হবে টোল আদায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের অক্টোবরে লোচন দাস সেতুর টোল আদায়ের ইজারা পায় সামসুদ্দিন। দরপত্রের নিয়ম অনুসারে ২০২০ সালে ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও সে ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা বাকি রাখে। পূর্ত দফতরকে দ্রুত বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সময় নিয়েও প্রতিশ্রুতি পালন না করেই ফের ৯০ লক্ষ টাকারও বেশি বকেয়া রাখে সে। সব মিলিয়ে পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকায়। সেই টাকা মেটানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয় সামসুদ্দিন শেখকে। সদুত্তর না মেলায় জেলা পূর্ত দফতর মঙ্গলকোট থানার দ্বারস্থ হয়।

Latest article