আসন সমঝোতা নিয়ে তৎপরতা, তৃণমূলের সঙ্গে বৈঠক করতে চায় কংগ্রেস

Must read

প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আগামী দু’দিনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC- Congress) এবং জেডিইউের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চায় কংগ্রেস। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই কথা জানানো হয়েছে। লোকসভা ভোটের আসন সমঝোতা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে কংগ্রেসকে তিনটি আসন ছাড়তে রাজি আম আদমি পার্টি। দিল্লিতে আপের আহ্বায়ক গোপাল রাই বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, গোয়া, হরিয়ানা এবং গুজরাতে জোট করেই আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব। কিছু রাজ্য এবং কয়েকটি দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা থাকলেও সার্বিকভাবে ইন্ডিয়ার জোট হিসেবেই আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়ার ব্যাপারে আশাবাদী কংগ্রেসও। বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা বাকি রয়েছে বলে স্বীকার করেছে কংগ্রেস। জটিলতা ছাড়াই ভালভাবে আসন সমঝোতা পর্ব সম্পন্ন হবে বলে দাবি কংগ্রেসের।

বিহারের দুই দল আরজেডি এবং জেডিইউয়ের সঙ্গে আরও একপ্রস্থ কথা বলতে চায় কংগ্রেসের (TMC- Congress) শীর্ষ নেতৃত্ব। বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে লালুপ্রসাদের দল আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের একদফা আলোচনা হয়েছে। দলের পক্ষে জানানো হয়েছে, এবার আসন সমঝোতা নিয়ে জেডিইউর সঙ্গে আলোচনা হবে। বিহারের যে ফর্মুলা নিয়ে কথা চলছে তা হল, জেডিইউ ও আরজেডি ১৭টি করে আসনে লড়বে, কংগ্রেস লড়বে চারটিতে এবং সিপিআইএমএল ও সিপিআই একটি করে আসন পাবে। কংগ্রেস রাজ্যসভার একটি আসন পাবে। গত রবিবার আরজেডির সঙ্গে বৈঠক করে বিহারে শাসক জোটের কমিটি। যদিও সেদিনের বৈঠকে জেডিইউ ছিল না। ফলে জেডিইউয়ের সঙ্গে আলাদা করে একবার আলোচনায় বসতে চায় বিহারের জোট কমিটি। তৃণমূলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, সমস্ত দিক আলোচনা করেই এ রাজ্যে জোট চূড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বাংলা নিয়ে জটিলতা তৈরির অন্যতম কারণ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি-সহ একাংশের কট্টর তৃণমূল বিরোধী মনোভাব। বিশেষত অধীর চৌধুরী কার্যত বিজেপির সুরে বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসকে ধারাবাহিকভাবে আক্রমণ করে চলেছেন।
এদিকে আম আদমি পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, গোয়া, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, দিল্লিতে তাদের ভাল ভোট রয়েছে। দিল্লি ও পাঞ্জাবে আপ ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে সেখানে তাদের কথাই প্রাধান্য পাওয়া উচিত। তবে দিল্লি ও পাঞ্জাব ছাড়া আরও দুই রাজ্যের নাম নিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর আম আদমি পার্টি পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বলে দাবি। শুক্রবার সমাজবাদী পার্টি এবং আম আদমি পার্টির সঙ্গে বৈঠক হবে জাতীয় নির্বাচনী জোট কমিটির। উত্তরপ্রদেশে আসন সমঝোতা নিয়ে চাপে রয়েছে কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টি যদি কংগ্রেসকে এখানে আটটি আসন ছাড়ে তাহলে তারা মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে আসন চাইবে। ছত্তিশগড়ে দান্তেওয়াড়া চায় সিপিআই। সুতরাং শুক্রবারের বৈঠকেই উত্তরপ্রদেশের ইন্ডিয়া জোটের গতিপ্রকৃতি অনেকাংশে নির্ধারিত হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন- বিচারপতি সিনহার নির্দেশের সমালোচনায় ডিভিশন বেঞ্চ

Latest article