বঞ্চনা তবু বাংলার জিএসটি সংগ্রহ পথ দেখাচ্ছে দেশকে

সবচেয়ে বড় কথা জিএসটি ফাঁকি রুখতে এবং সময়মতো জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নিশ্চিত করেছে রাজ্যের সাফল্যকে।

Must read

প্রতিবেদন : অজস্র প্রতিকূলতা, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার অর্থনৈতিক বুনিয়াদ কতটা সুদৃঢ় হয়েছে, তার ফের প্রমাণ মিলল জিএসটি আদায়ের অঙ্কে। গত বছরের তুলনায় রাজ্যে ১৭ শতাংশ বেড়েছে জিএসটি আদায়। বাংলা পেছনে ফেলে দিয়েছে মোদিরাজ্য গুজরাতকেও। শতাংশের অঙ্কে টেক্কা দিয়েছে দেশের সার্বিক জিএসটি বৃদ্ধির হারকেও।

আরও পড়ুন-BREAKING অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগেই বাগমুন্ডি থেকে উদ্ধার তলোয়ার

বাংলার এই অসাধারণ সাফল্যের ছবি ফুটে উঠেছে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যেই। তথ্য বলছে, ২০২২-এর জুনে বাংলায় জিএসটি আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩-এর জুনে এই অঙ্কটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকায়। অর্থাৎ জিএসটি আদায় বেড়েছে ১৭ শতাংশ। কিন্তু গুজরাতে ঠিক একই সময়ে আদায় বেড়েছে ১০ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলার থেকে জিএসটি আদায়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে মোদিরাজ্য। সারাদেশে এই আদায়ের অঙ্ক বেড়েছে ১০ শতাংশ। এখানেও এগিয়ে বাংলা।

আরও পড়ুন-শুভেন্দুর সভায় বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ দায়ের হল বনগাঁ থানায়

কিন্তু বাংলার এই অসাধারণ সাফল্যের কারণটা কী? অর্থনীতিবিদদের ব্যাখ্যা, সিমেন্ট এবং চর্মশিল্পে ব্যবসার প্রসার এ-ব্যাপারে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে বাংলাকে। সামগ্রিকভাবে ক্ষুদ্রশিল্পে সাফল্যও মসৃণ করেছে অগ্রগতির পথকে। স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়ও এ-বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা জিএসটি ফাঁকি রুখতে এবং সময়মতো জিএসটি আদায়ের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ নিশ্চিত করেছে রাজ্যের সাফল্যকে।

Latest article