ধরনা কিংবা রাস্তায় না বসে কেন আদালতে যাচ্ছেন না?

৪০ বছর অতিক্রম করলে সেক্ষেত্রে বয়স সীমায় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার। কারণ, সেক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করতে হবে।

Must read

প্রতিবেদন : প্রাথমিকে নিয়োগের দাবিতে ধরনায় বসা চাকরিপ্রার্থীরা কেন আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না? মঙ্গলবার দুপুর থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষা মহলে। সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই সে নিয়ে মামলা গড়াচ্ছে আদালতে। কার্যত প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই। ফলে সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক উদ্যোগ বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। হাইকোর্টের বিচারপতিও এ দৃশ্য দেখে বলতে বাধ্য হয়েছেন, সব ব্যাপারে যদি মামলাই হয় তাহলে চাকরিটা হবে কীভাবে?

আরও পড়ুন-নির্দিষ্ট সময়ে রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোট করতে চায়

করুণাময়ীতে ধরনার দৃশ্য দেখে পর্ষদের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হচ্ছে, যদি কোনও ভুল পদক্ষেপ করে হয়ে থাকে তার জন্য আদালত রয়েছে। আদালতে কেন যাচ্ছেন না চাকরিপ্রার্থীরা? না যাওয়ার কারণ হল, আন্দোলনকারীরা ভালমতোই জানেন, আদালতে গেলে তাঁদের দাবি নাকচ হয়ে যাবে। তাই ধরনা, অনশন এবং মিডিয়ার র‍্যাডারে থাকতে চলছে নানারকম কৌশল। এই সূত্র ধরেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভপতি ড. গৌতম পাল মঙ্গলবার স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু নিয়োগ হবে নিয়ম মেনেই। প্রার্থীদের ইন্টারভিউয়ে বসতেই হবে। তার কারণ, এঁরা কেউই প্যানেলভুক্ত নন। তাই চলতি বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরা শামিল হন।

আরও পড়ুন-উন্নয়ন চলছে, বিরোধীরা নিজের চরকায় তেল দিক

২০১৬ সালের নিয়োগ নীতি মেনেই নিয়োগ করতে হবে। আজকে যাঁরা নন ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেট তাঁরা পরপর দু’বার ইন্টারভিউ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁরা এমপ্যানেলড হননি। তাই নন ইনক্লুডদের নিয়োগ দেওয়া যাবে না। গৌতম পাল জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও চাকরির দাবিদার। ১৬,১০১ জনের প্রশিক্ষণ রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে টেট পাশ প্রার্থীদের যদি বয়স থাকে তাহলে তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ৪০ বছর অতিক্রম করলে সেক্ষেত্রে বয়স সীমায় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার। কারণ, সেক্ষেত্রে আইন পরিবর্তন করতে হবে।

Latest article