শূন্য মাঠে মাহি গড়ার স্বপ্ন দেখেন ধোনির কারিগর

করোনার দাপট কমেছে। কিন্তু ধোনি হওয়ার আগ্রহ ফেরেনি রাঁচির।

Must read

প্রতিবেদন : করোনার দাপট কমেছে। কিন্তু ধোনি হওয়ার আগ্রহ ফেরেনি রাঁচির। জওহর বিদ্যামন্দির থেকে অবসর নিয়ে শহরের দুটি স্কুলে এখন ক্রিকেট শেখান কেশব রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন গোটা শহরের ক্রিকেট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া দেখে। বললেন, ছেলে-পুলেরা কেউ মাঠেই আসছে না! কী যে দিনকাল এল।

আরও পড়ুন-মণিপুরের ভোটে এবার নির্দল প্রার্থী মেরি কমের স্বামীও

‘‘আমি ছেলেদের দোষ দেব না। ওদের বাবা-মাকেও নয়। সবাই ভয় পাচ্ছে। এই রোগটা আসলে সব শেষ করে দিয়ে গেল।” রাঁচি থেকে ফোনে বলছিলেন কেশব। যাঁকে সবাই চেনে ধোনির কোচ বলে। সকালে বাড়ির কাছের মাঠে গিয়ে একটু দৌড়ঝাঁপ। বিকেলে একটু হাঁটাহাঁটি। তাঁর মনে হচ্ছে, জীবন যেন খাঁচাবন্দি হয়ে গিয়েছে।
জওহর বিদ্যামন্দিরের গেম টিচার ছিলেন কেশব। জহুরির চোখ দিয়ে সেই স্কুলেরই ছাত্র মাহিকে ঠিক চিনে নিয়েছিলেন। স্কুলের গোলকিপারের হাতে একদিন কিপিং গ্লাভস তুলে দিয়ে বলেছিলেন, উইকেটকিপিং করোগে? গররাজি মাহিকে একটু একটু করে উইকেটের পিছনে টেনে নিয়ে এসেছিলেন কেশব। বাকিটা ইতিহাস।

আরও পড়ুন-সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরল জোড়া বাঘ

তবে এখন যেভাবে ছেলেপুলেরা মাঠে নেমেই আইপিএল, ইন্ডিয়া খেলার স্বপ্ন দেখে, তা বিলকুল না-পসন্দ কেশবের। বললেন, ‘‘একটা ধোনি হতে কত বছর, কত সাধনা লাগে ওরা যদি সেটা বুঝত!” বর্তমানে রাঁচির কে সি রায় মেমোরিয়াল স্কুল ও ফান ক্যাসল স্কুলের কচিকাঁচাদের ক্রিকেট শেখান একদা ধোনির কোচ। কিন্তু দেখতে পাচ্ছেন এখন কোথাও খেলা শিখতে কেউ আসে না। ‘‘মাঝে একদিন দেখি চার-পাঁচজন স্টুডেন্ট। গোটা মাঠ খালি। মন ভেঙে গিয়েছিল। আমি মাঠের লোক। বাড়িতে পড়ে থাকতে পারি?” তবু ক্রিকেটের অমোঘ টানে একাই চলে যান মাঠে। চোখের সামনে ভাসে সেসব দিন। মাহি আর তিনি। সময় যেন কোথা দিয়ে কেটে যেত রোজ।

কেশব শুনেছেন, এপ্রিলে প্র্যাকটিস শুরু হবে। তাই সেদিকেই তাকিয়ে আছেন। শুনতে পাচ্ছেন মাঠের ডাক। আর একটা মাহি গড়ার স্বপ্নে এখনও বিভোর। আর শুধু ক’টা দিন!

Latest article