আদিবাসী গ্রামে ইকো পার্ক

কিছুদিন আগেই এটি মডেল ভিলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই প্রেমগঞ্জ মৌজার সিংহ ভাগই তফসিলি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ।

Must read

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হতে চলেছে নয়া পালক। আউশগ্রামের ভালকি মাচানের পাশেই গড়ে উঠছে একটি পরিবেশবান্ধব বায়ো ডাইভার্সিটি ইকো পার্ক। প্রায় ২০ বিঘা জমির উপর গড়ে ওঠা এই বায়ো পার্কে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে পাঁচশোরও বেশি কর্মসংস্থান হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন এই প্রকল্প নির্মাণে যুক্ত কর্তারা। ভালকি মাচান ইতিমধ্যেই জাতীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলির তালিকায় স্থান পেয়েছে।

আরও পড়ুন-বিজেপি নেতার প্রলাপ

আউশগ্রাম ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অধীন প্রেমগঞ্জ প্রাকৃতিকভাবেই জঙ্গলে ঘেরা একটি মনোরম এলাকা। কিছুদিন আগেই এটি মডেল ভিলেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই প্রেমগঞ্জ মৌজার সিংহ ভাগই তফসিলি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ। এলাকার দরিদ্র মানুষগুলির স্থায়ী রোজগারের লক্ষ্য নিয়েই এই প্রকল্পটি গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান প্রেমগঞ্জ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস অঞ্চল সভাপতি অরূপ মিদ্যা। তিনি বলেন, মূলত আউশগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দর আলি ও স্থানীয় বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই বাস্তবের মুখ দেখতে চলেছে এই প্রয়াস।

আরও পড়ুন-এনএসডি-তে পড়বেন কেশব

শহরের ধোঁয়া-ধুলো থেকে মুক্তি পেতে যে পর্যটকরা এখানে দিন কয়েকের জন্য বেড়াতে আসবেন, তাঁদের জন্য যেমন নৌকাবিহার, সাঁতার থেকে মাছ ধরার অঢেল আয়োজন থাকবে, পাশাপাশি এখানেই চাষ হবে মাশরুম থেকে দেশি হাঁস-মুরগি। পালন করা হবে বিভিন্ন প্রজাতির উন্নত মানের গরু-ছাগল। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের এই প্রকল্পে শামিল করে তাঁদের স্থায়ী রোজগারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান অরূপবাবু।

তিনি বলেন, এই প্রকল্পের পাশেই দশ হাজারেরও বেশি ড্রাগন ফ্রুট, অ্যালোভেরা এবং লেমন ঘাস লাগানো হয়েছে মূলত পঞ্চায়েত সমিতি ও এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পের অর্থানুকূল্যে। পুজোর পরই সাধারণের জন্য খুলে যাবে ভালকি মাচান ও প্রেমগঞ্জের এই প্রকল্প। পর্যটকদের জন্য কম্বো প্যাকেজের ব্যবস্থা হবে।

Latest article