তদন্তে এসে হস্টেলের খোঁজে ইডির গুগল সার্চ! এজেন্সির উত্তরে স্তম্ভিত লালবাজার

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজার তদন্ত শুরু করতেই প্রবল চাপে পড়ে ফাইল ডাউনলোড করার ব্যাখা দিয়েছে ইডি।

Must read

প্রতিবেদন : তদন্ত করতে এসে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেটের অফিসাররা কম্পিউটারে কোন ফাইল ডাউনলোড করেছিলেন? লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অভিযোগ লালবাজারে জমা পড়ার পর তদন্ত শুরু হতেই যে উত্তর এল তাতে স্তম্ভিত সকলে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসার যে কাজটি করেছেন তা আদৌ করা যায় কি না সে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল চক্রান্ত কি অনেক গভীরে? সে নিয়ে অবশ্য লালবাজার একটি শব্দও করেনি।

আরও পড়ুন-গর্ভবতী মহিলার পেটের মধ্যে তুলো রেখে সেলাই, কাঠগড়ায় বিহার

লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজার তদন্ত শুরু করতেই প্রবল চাপে পড়ে ফাইল ডাউনলোড করার ব্যাখা দিয়েছে ইডি। এটি ড্যামেজ কন্ট্রোল নাকি কিছু আড়াল করার চেষ্টা? ইডির ব্যাখ্যা, সংস্থার কম্পিউটার ঘেঁটে একটি হস্টেলের অনুসন্ধান করতে গিয়ে কোনওভাবে ১৬টি ফাইল ওই সংস্থার অফিসে ডাউনলোড হয়ে গিয়েছে। শনিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি লিখে ফাইল ডাউনলোডের এই কারণ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কারণ ব্যাখ্যা করে জানানো হয়েছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকেও। ইডির তল্লাশির পর সংস্থার কম্পিউটারে ১৬টি অচেনা ফাইল ডাউনলোড হয়েছে, অভিযোগ নিয়ে গত শুক্রবার থানায় গিয়েছিলেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-অস্ট্রেলিয়া সফরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ হাই কমিশনের

এর পর শুক্রবারই পুলিশ আলিপুরে সংস্থার অফিসে যায় এবং প্রাথমিক ভাবে তদন্তের পর সংস্থার দু’টি কম্পিউটার বাজেয়াপ্ত করে লালবাজারে নিয়ে আসে। সংস্থার অভিযোগ ছিল, ইডি আধিকারিকেরা ওই মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইলগুলি তাদের কম্পিউটারে ডাউনলোড করে দিয়ে গিয়েছেন। লালবাজারে অভিযোগ জমা পড়ার পর শনিবারই ইডির তরফে পুলিশের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। এই ব্যাখ্যা কতখানি সমর্থনযোগ্য, সে প্রশ্ন থাকছেই।

Latest article