কালিন্দীপাসে ট্রেকিংয়ে গিয়ে বিপন্ন বৃদ্ধ, বাঁচালেন তিন যুবক

প্রায় তিন ঘণ্টা নেমে ওঁরা সাহায্য নেন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের। বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয় মানার কাছে এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

Must read

সংবাদদাতা, আসানসোল : হিমালয়ের কালিন্দীপাস জয় করতে গিয়ে মৃত্যুমুখে পড়েছিলেন এক বৃদ্ধ। জীবনবিপন্ন করে তাঁকে বাঁচিয়ে ফিরিয়ে আনলেন আসানসোল রূপনারায়ণপুরের তিন যুবক চিন্ময় মিশ্র, কৌশিক মণ্ডল ও বিপ্লব মণ্ডল। কালিন্দীপাস অভিযানে গিয়েছিলেন তিনজন এক এজেন্সির সহযোগিতায়। তার মাধ্যমেই আলাপ হয় দমদমের ৭২ বছর বয়সি অমলকুমার দাসের সঙ্গে। ওঁর পর্বতারোহণের প্রশিক্ষণ নেই জেনে, ওঁকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন চিন্ময়রা। শোনেননি অমল।

আরও পড়ুন-মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে সাহায্য

২ জুন, বৃহস্পতিবার, ওঁরা রওনা হন। উত্তরকাশী থেকে গঙ্গোত্রী, গোমুখ হয়ে গঙ্গোত্রী হিমবাহ ধরে ওঁরা পৌঁছন নন্দনবন। সেখান থেকে খাড়াপাত্থর হয়ে শ্বেতা হিমবাহ। তারপর কালিন্দীপাস। সেখানেই বরফের ফাটলে পড়ে যান অমল। তিন যুবা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু কষ্টে বৃদ্ধকে উদ্ধার করেন। ৮ জুন ওঁরা কালিন্দীপাস পৌঁছন। ফেরার পথে ফের বিপত্তি। তুষারঝড়ে ৩০০ ফুট দড়ি খুলে সবাই ছিটকে পড়েন। সকলেরই আঘাত লাগে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে অমলের। তিন যুবা আবার পরিত্রাতা।

আরও পড়ুন-হাসপাতালের বদলে ওঝা, বেঘোরে মৃত্যু স্কুলছাত্রীর!

পলিথিন শিটে মুড়ে স্লিপিং ব্যাগে ঢুকিয়ে দড়ি বেঁধে স্লেজগাড়ির মতো টেনে দুর্গম পথ দিয়ে নিচে নামাতে থাকেন। প্রায় তিন ঘণ্টা নেমে ওঁরা সাহায্য নেন ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের। বৃদ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয় মানার কাছে এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে সুস্থ হয়ে উঠলে রুদ্রপ্রয়াগ। গত বুধবার হরিদ্বার থেকে তাঁকে দুন এক্সপ্রেসে তুলে দেন চিন্ময়রা। নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছেছেন অমল। চিন্ময়রাও ফিরেছেন বাড়ি।

Latest article