জোড়া পঞ্চাশেও শ্রেয়স হতাশ সেঞ্চুরি না পেয়ে, প্লেয়ারদের টেনশন না থাকলেও চিন্তায় ছিলেন দ্রাবিড়

এই এক তথ্যেই পরিষ্কার, তিনি ধারাবাহিকভাবে একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তবে ২০২২-এ এসে ছবিটা একটু বদলেছে।

Must read

পোর্ট অফ স্পেন, ২৫ জুলাই : ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পা রেখে প্রথম দুটি একদিনের ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি করলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু দু’বারই এই রানকে সেঞ্চুরি পর্যন্ত নিয়ে যেতে না পারায় তিনি কিছুটা হতাশ। শ্রেয়স নিজের ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু একইসঙ্গে বড় রানে যেতে পারছেন না বলে নিজের হাতাশাও প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন-চারজনের ফাঁসি

কুইন্স পার্ক ওভালে প্রথম ম্যাচে শ্রেয়স করেছিলেন ৫৪ রান। রবিবার দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৩ রান। ভারত যে দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজে ২-০-তে এগিয়ে গেল, তাতে শ্রেয়সের বড় অবদান রয়েছে। বিরাট কোহলি না থাকায় শ্রেয়স এখন তিনে নামার সুযোগ পাচ্ছেন। ২০১৭-তে অভিষেকের পর থেকে শ্রেয়স এখনও পর্যন্ত ২৯টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। এই এক তথ্যেই পরিষ্কার, তিনি ধারাবাহিকভাবে একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তবে ২০২২-এ এসে ছবিটা একটু বদলেছে।

আরও পড়ুন-জারি সতর্কতা

রবিবার ম্যাচের শেষে শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘রান পেয়ে ভাল লাগলেও যেভাবে আমি আউট হয়েছি তাতে একদমই খুশি নই। আমি দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম। একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিলাম, কিন্তু আউট হয়ে গেলাম। আশা করি পরের ম্যাচে আরও ভাল করব, সেঞ্চুরিও পাব। আমি ভাগ্যবান যে পরপর ম্যাচে পঞ্চাশ করেছি। তবে এগুলোকে একশোতে টেনে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কারণ, এমন শুরু বারবার করতে পারব না। এখানে এটা আমার জন্য ভাল দিন ছিল।” শ্রেয়স আরও জানিয়েছেন, রাহুল দ্রাবিড় একটা সময় বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাঠের মধ্যে তাঁরা যখন খেলছিলেন, কারও কোনও টেনশন ছিল না।

আরও পড়ুন-সফল অস্ত্রোপচার

এখন তিনে খেলার সুযোগ পেলেও বিরাট এলে শ্রেয়সকে এই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। যা নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দলে থাকার ব্যাপারটা আমার হাতে নেই। আমি বড় জোর কঠিন ট্রেনিং করতে পারি, আর সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে পারি। মাঠে একশোভাগ দিই। তারপর আর কোনও আক্ষেপ থাকতে পারে না। আমার কাজ হল নিজেকে মোটিভেট করা। আর নিজের কাজটুকু করে যাওয়া”

Latest article